গাম্বিয়াকে সহায়তা দিতে চায় ওআইসি

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ঘটনায় মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করা গাম্বিয়াকে সব ধরনের সহায়তা দিতে পুনরায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। এজন্য তহবিল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় ইসলামিক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এই তহবিল সংগ্রহ করা হবে। গতকাল সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আগামী এপ্রিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে নাইজারে এবং সেটির প্রস্তুতির জন্য এই বৈঠকটির আয়োজন করা হয়। বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের আর্ন্তবর্তীকালিন সিদ্ধাস্তকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, গাম্বিয়াকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন আছে ইসলামী দেশগুলোর। এছাড়া তহবিল সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে ওআইসি সচিবালয় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে, আগ্রহী রাষ্ট্রগুলো এখানে তাদের সহায়তার অর্থ জমা দিতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আইসির বিস্তৃত সংস্কারের জন্য অনুষ্ঠিত ২য় ব্রেইনস্টর্মিং সেশনটির জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানায়। এ বিষয়ে বৈঠকে ব্রেইনস্টর্মিং সেশনের ফলাফলের জন্য অনুসরণীয় প্রক্রিয়াটির রূপরেখার একটি খসড়া প্রস্তাবও চূড়ান্ত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘শতাব্দীর চুক্তি’, ওআইসির অ-সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিম সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘুদের অবস্থান, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, কায়রো মানবাধিকার ঘোষণার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত ইস্যু, ‘পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যস্থতা ও মধ্য অবস্থানের মূল্যবোধ’, মানবিক, আইনি/বিধিবদ্ধ ও প্রশাসনিক/আর্থিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মক্কার দলিল ইত্যাদি বিষয়ে খসড়া রেজোলিউশন নিয়েও আলোচনা করেছেন ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত খসড়া রেজোলিউশনগুলো এপ্রিলে নাইজারে অনুষ্ঠিত ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভায় (সিএফএম) গৃহীত হবে।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৯ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

রোহিঙ্গা গণহত্যা

গাম্বিয়াকে সহায়তা দিতে চায় ওআইসি

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ঘটনায় মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করা গাম্বিয়াকে সব ধরনের সহায়তা দিতে পুনরায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। এজন্য তহবিল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় ইসলামিক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এই তহবিল সংগ্রহ করা হবে। গতকাল সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আগামী এপ্রিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে নাইজারে এবং সেটির প্রস্তুতির জন্য এই বৈঠকটির আয়োজন করা হয়। বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের আর্ন্তবর্তীকালিন সিদ্ধাস্তকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, গাম্বিয়াকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন আছে ইসলামী দেশগুলোর। এছাড়া তহবিল সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে ওআইসি সচিবালয় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে, আগ্রহী রাষ্ট্রগুলো এখানে তাদের সহায়তার অর্থ জমা দিতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আইসির বিস্তৃত সংস্কারের জন্য অনুষ্ঠিত ২য় ব্রেইনস্টর্মিং সেশনটির জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানায়। এ বিষয়ে বৈঠকে ব্রেইনস্টর্মিং সেশনের ফলাফলের জন্য অনুসরণীয় প্রক্রিয়াটির রূপরেখার একটি খসড়া প্রস্তাবও চূড়ান্ত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘শতাব্দীর চুক্তি’, ওআইসির অ-সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিম সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘুদের অবস্থান, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, কায়রো মানবাধিকার ঘোষণার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত ইস্যু, ‘পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যস্থতা ও মধ্য অবস্থানের মূল্যবোধ’, মানবিক, আইনি/বিধিবদ্ধ ও প্রশাসনিক/আর্থিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মক্কার দলিল ইত্যাদি বিষয়ে খসড়া রেজোলিউশন নিয়েও আলোচনা করেছেন ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। ওআইসি’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত খসড়া রেজোলিউশনগুলো এপ্রিলে নাইজারে অনুষ্ঠিত ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভায় (সিএফএম) গৃহীত হবে।