দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন

আম আদমির কাছে বিজেপির ভরাডুবি

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গড়তে চলেছেন কেজরিওয়াল

ভারতের রাজধানী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি)। গত শনিবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ৭০টি আসনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল এএপি ৬৩টি আসন পেয়েছে। আর কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মাত্র ৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, দেশটির অন্যতম বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসসহ অন্য দলগুলো কোন আসনেই জয়লাভ করতে পারেনি। এই হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে দিল্লিতে সরকার গড়তে চলেছেন এএপির শীর্ষ নেতা কেজরিওয়াল। এ জয়কে ‘ভারত মাতা’র জয় বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।

সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, দিল্লিবাসীর জন্য কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির নানা প্রতিশ্রুতির বিপরীতে বিজেপির জাতীয়তাবাদী প্রচারণার মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ), নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) এবং শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে তিক্ত প্রচারণা এবার দিল্লিতে দলটির শোচনীয় এ পরিণতি এনে দিয়েছে বলে অভিমত রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। গতকাল সকাল থেকে ২১টি গণনাকেন্দ্রে ভোটগণনা চলে। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই এগিয়ে ছিল কেজরিওয়ালের দল। বেলা যত গড়িয়েছে ভোটের ব্যবধানও ততই বাড়তে শুরু করে। ভোটে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার খবর প্রকাশ হতেই দলীয় কার্যালয়ে ভিড় করতে শুরু করেছেন উচ্ছ্বসিত দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা।

বিকেল ৪টার মধ্যে বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে এএপি’র আসন সংখ্যা ৬৩-তে গিয়ে পৌঁছে। আর বিজেপির আসন সংখ্যা কমতে কমতে এসে ঠেকে ৭টিতে। আর কংগ্রেস পার্টি কোন আসনই পায়নি। সন্ধ্যার মধ্যেই ফল ঘোষণার কথা। এবারের জয়ের খবর আসতেই, নীল-সাদা বেলুন নিয়ে উৎসবে মাতেন এএপি’র নেতা কর্মী-সমর্থকরা। দিল্লির দলীয় সদর দফতরে হোলিখেলাও শুরু হয়।

এরপরই দিল্লিতে এক সমাবেশে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে কেজরিওয়াল বলেন, ‘এ জয় মানুষের জয়। কাজে বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছেন সবাই। নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা করেছেন।’ এ সময় দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বার আম আদমি পার্টির ওপর ভরসা রাখার জন্য দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ। যারা আমাকে নিজের ছেলে বলে মনে করেন, যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন, আজকের এই জয় তাদের জয়।’ এ সময় দলীয় নেকাকর্মীরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন। সাধারণভাবে এএপি দলীয় সমাবেশে এমন স্লোগান শোনা যায় না।

দিল্লির সরকারি বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন, সাশ্রয়ী মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন এবং স্বল্পমূল্যে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দিল্লিবাসীর কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন দুই মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। প্রচারে কেন্দ্রের কাছ থেকে পুলিশ বাহিনী ও ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিতে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে জনমত চেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপি ভারতের বিতর্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লির মুসলিমপ্রধান এলাকা শাহিনবাগের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ‘তিক্ত’ প্রচার চালিয়েছে।

শনিবারের ভোটের পর সব বুথফেরত জরিপই বলেছে, এবারও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসছে আম আদমি পার্টি। এতে ৫৬টি আসন এএপি ও ১৪ আসন বিজেপি জিতবে বলে আভাস দেয়া হয়। এরপর জয়ের খবর আসতেই, নীল-সাদা বেলুন নিয়ে উৎসবে মাতেন আপের নেতা কর্মী-সমর্থকরা। কংগ্রেসসহ অন্যদের ভাগে পড়েছে শূন্য। ভোট গণনা শুরুর পর প্রবণতা তাই বলছে। এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালের জন্মদিন ছিল। ফলে কেজরিওয়াল এদিন দুটি উৎসব উদযাপনের আমেজে ছিলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

২০১৫ সালের বিধানসভার নির্বাচনেও দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টিতে জয়ী পায় আম আদমি পার্র্টি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে চিত্রটা উল্টে যায়। লোকসভার সাতটি আসনের সাতটিতেই জেতে বিজেপি। ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি, পাঁচটিতে কংগ্রেস, এএপি একটিতেও নয়।

এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভার যে নির্বাচনে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি, সেই নির্বাচনেও বিজেপি দিল্লির সাত আসনেই জয় পায়। কিন্তু পরের বছরই বিধানসভার নির্বাচনে আম আদমি পার্টির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে জয়ী হয়ে জোট বেঁধে প্রথম সরকার গঠন করেছিল আম আদমি পার্টি। তবে দুর্নীতিবিরোধী আইন পাশে শরিকদের অসহযোগিতার কারণ দেখিয়ে ৪৯ দিন পর দিল্লির মসনদ ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।

কেন্দ্রের শাসনের পর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির বিধানসভার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ জয় নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন কেজরিওয়াল। এবারও ক্ষমতায় ফিরছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি সরকার।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৬ ভোটারের মধ্য থেকে ভোট পড়ে ৬২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। রাজধানীর বিধানসভার সাধারণ ৫৮টি ও তফসিলভুক্ত জাতের ১২টি আসনের বিধায়ক বাছাই করেন এ ভোটাররা। এ দিনের নির্বাচনে দিল্লির ৭০ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৭২ জন প্রার্থী। আম আদমি পার্টি (এএপি) সব আসনেই প্রার্থী দেয়। বিজেপি লড়ছে ৬৭ আসনে, বাকি তিনটিতে তাদের জোট শরিক জেডিইউ ও এলজেপি প্রার্থী আছে। এছাড়া ৬৬ আসনে কংগ্রেস ও বাকি চারটি আসনে জোটসঙ্গী আরজেডি প্রার্থী দেয়।

দিল্লির শাহিনবাগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী (সিএএ) বিক্ষোভকে টার্গেট করে তিক্ততায় ভরা নির্বাচনী প্রচার চালায় বিজেপি। এদিকে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবার পর নির্বাচন কমিশন ভোটের হিসাব দিতে দেরি করায় বির্তকের সৃষ্টি হয়। এ সময় আম আদমি পার্টি ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলে। তবে সে অভিযোগ খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৯ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন

আম আদমির কাছে বিজেপির ভরাডুবি

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গড়তে চলেছেন কেজরিওয়াল

সংবাদ ডেস্ক |

image

ভারতের রাজধানী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি)। গত শনিবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ৭০টি আসনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল এএপি ৬৩টি আসন পেয়েছে। আর কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মাত্র ৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, দেশটির অন্যতম বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসসহ অন্য দলগুলো কোন আসনেই জয়লাভ করতে পারেনি। এই হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে দিল্লিতে সরকার গড়তে চলেছেন এএপির শীর্ষ নেতা কেজরিওয়াল। এ জয়কে ‘ভারত মাতা’র জয় বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।

সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, দিল্লিবাসীর জন্য কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির নানা প্রতিশ্রুতির বিপরীতে বিজেপির জাতীয়তাবাদী প্রচারণার মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ), নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) এবং শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে তিক্ত প্রচারণা এবার দিল্লিতে দলটির শোচনীয় এ পরিণতি এনে দিয়েছে বলে অভিমত রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। গতকাল সকাল থেকে ২১টি গণনাকেন্দ্রে ভোটগণনা চলে। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই এগিয়ে ছিল কেজরিওয়ালের দল। বেলা যত গড়িয়েছে ভোটের ব্যবধানও ততই বাড়তে শুরু করে। ভোটে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার খবর প্রকাশ হতেই দলীয় কার্যালয়ে ভিড় করতে শুরু করেছেন উচ্ছ্বসিত দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা।

বিকেল ৪টার মধ্যে বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে এএপি’র আসন সংখ্যা ৬৩-তে গিয়ে পৌঁছে। আর বিজেপির আসন সংখ্যা কমতে কমতে এসে ঠেকে ৭টিতে। আর কংগ্রেস পার্টি কোন আসনই পায়নি। সন্ধ্যার মধ্যেই ফল ঘোষণার কথা। এবারের জয়ের খবর আসতেই, নীল-সাদা বেলুন নিয়ে উৎসবে মাতেন এএপি’র নেতা কর্মী-সমর্থকরা। দিল্লির দলীয় সদর দফতরে হোলিখেলাও শুরু হয়।

এরপরই দিল্লিতে এক সমাবেশে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে কেজরিওয়াল বলেন, ‘এ জয় মানুষের জয়। কাজে বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছেন সবাই। নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা করেছেন।’ এ সময় দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বার আম আদমি পার্টির ওপর ভরসা রাখার জন্য দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ। যারা আমাকে নিজের ছেলে বলে মনে করেন, যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন, আজকের এই জয় তাদের জয়।’ এ সময় দলীয় নেকাকর্মীরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন। সাধারণভাবে এএপি দলীয় সমাবেশে এমন স্লোগান শোনা যায় না।

দিল্লির সরকারি বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন, সাশ্রয়ী মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন এবং স্বল্পমূল্যে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দিল্লিবাসীর কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন দুই মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। প্রচারে কেন্দ্রের কাছ থেকে পুলিশ বাহিনী ও ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিতে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে জনমত চেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপি ভারতের বিতর্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লির মুসলিমপ্রধান এলাকা শাহিনবাগের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ‘তিক্ত’ প্রচার চালিয়েছে।

শনিবারের ভোটের পর সব বুথফেরত জরিপই বলেছে, এবারও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসছে আম আদমি পার্টি। এতে ৫৬টি আসন এএপি ও ১৪ আসন বিজেপি জিতবে বলে আভাস দেয়া হয়। এরপর জয়ের খবর আসতেই, নীল-সাদা বেলুন নিয়ে উৎসবে মাতেন আপের নেতা কর্মী-সমর্থকরা। কংগ্রেসসহ অন্যদের ভাগে পড়েছে শূন্য। ভোট গণনা শুরুর পর প্রবণতা তাই বলছে। এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালের জন্মদিন ছিল। ফলে কেজরিওয়াল এদিন দুটি উৎসব উদযাপনের আমেজে ছিলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

২০১৫ সালের বিধানসভার নির্বাচনেও দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টিতে জয়ী পায় আম আদমি পার্র্টি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে চিত্রটা উল্টে যায়। লোকসভার সাতটি আসনের সাতটিতেই জেতে বিজেপি। ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি, পাঁচটিতে কংগ্রেস, এএপি একটিতেও নয়।

এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভার যে নির্বাচনে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি, সেই নির্বাচনেও বিজেপি দিল্লির সাত আসনেই জয় পায়। কিন্তু পরের বছরই বিধানসভার নির্বাচনে আম আদমি পার্টির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে জয়ী হয়ে জোট বেঁধে প্রথম সরকার গঠন করেছিল আম আদমি পার্টি। তবে দুর্নীতিবিরোধী আইন পাশে শরিকদের অসহযোগিতার কারণ দেখিয়ে ৪৯ দিন পর দিল্লির মসনদ ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।

কেন্দ্রের শাসনের পর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির বিধানসভার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ জয় নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন কেজরিওয়াল। এবারও ক্ষমতায় ফিরছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি সরকার।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ১৩৬ ভোটারের মধ্য থেকে ভোট পড়ে ৬২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। রাজধানীর বিধানসভার সাধারণ ৫৮টি ও তফসিলভুক্ত জাতের ১২টি আসনের বিধায়ক বাছাই করেন এ ভোটাররা। এ দিনের নির্বাচনে দিল্লির ৭০ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৭২ জন প্রার্থী। আম আদমি পার্টি (এএপি) সব আসনেই প্রার্থী দেয়। বিজেপি লড়ছে ৬৭ আসনে, বাকি তিনটিতে তাদের জোট শরিক জেডিইউ ও এলজেপি প্রার্থী আছে। এছাড়া ৬৬ আসনে কংগ্রেস ও বাকি চারটি আসনে জোটসঙ্গী আরজেডি প্রার্থী দেয়।

দিল্লির শাহিনবাগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী (সিএএ) বিক্ষোভকে টার্গেট করে তিক্ততায় ভরা নির্বাচনী প্রচার চালায় বিজেপি। এদিকে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবার পর নির্বাচন কমিশন ভোটের হিসাব দিতে দেরি করায় বির্তকের সৃষ্টি হয়। এ সময় আম আদমি পার্টি ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলে। তবে সে অভিযোগ খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।