বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে দলটির নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্বৈরতন্ত্র চলছে। আর এ কারণে তারা প্রতিবাদও করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন।
গতকাল পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি বলেই বারবার যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই ফ্যাসিস্ট সরকার আদালতও নিয়ন্ত্রণ করে। খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ আদালতেও ন্যায় বিচার পাননি। এতে করে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। কোথাও কোন ন্যায় বিচার নেই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। যদি গণতন্ত্র থাকে তাহলে স্বৈরতন্ত্র থাকে না। যদি স্বৈরতন্ত্র থাকে তাহলে সেই সমাজে সেই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র থাকে না। এখন যে অবস্থায় আমরা পড়েছি সে অবস্থাটা খুবই ভয়ঙ্কর। আওয়ামী লীগ বাকশাল বিশ্বাস করে। বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে গণতন্ত্রের কথা বলে। ক্ষমতায় গেলে একদল করে। আমরা বিরোধী দলে থাকলেও গণতন্ত্রের কথা বলি ক্ষমতায় থাকলেও গণতন্ত্রের কথা বলি।
আমির খসরু বলেন, সামাজিকভাবে বলেন, রাজনৈতিকভাবে বলেন, যেখানেই যাবেন নেত্রী কবে মুক্তি পাবেন এই প্রশ্নে আমাদের দৈনন্দিন সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আজকে তাদের (সরকার) ভয়ের কারণে আমাদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এই ভয়কে ‘ভয়’ হিসেবে মেনে নেয়ার কারণে শক্তিশালী অবস্থানে থেকেও প্রতিবাদ করতে পারছি না। আমদের ভয়কে জয় করতে হবে। আইনের শাসন শুধু নয়, তাদের (সরকার) মধ্যে যে ভয় কাজ করছে, সেই ভয়ের কারণে খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না।
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে দলটির নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্বৈরতন্ত্র চলছে। আর এ কারণে তারা প্রতিবাদও করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন।
গতকাল পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি বলেই বারবার যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই ফ্যাসিস্ট সরকার আদালতও নিয়ন্ত্রণ করে। খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ আদালতেও ন্যায় বিচার পাননি। এতে করে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। কোথাও কোন ন্যায় বিচার নেই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। যদি গণতন্ত্র থাকে তাহলে স্বৈরতন্ত্র থাকে না। যদি স্বৈরতন্ত্র থাকে তাহলে সেই সমাজে সেই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র থাকে না। এখন যে অবস্থায় আমরা পড়েছি সে অবস্থাটা খুবই ভয়ঙ্কর। আওয়ামী লীগ বাকশাল বিশ্বাস করে। বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে গণতন্ত্রের কথা বলে। ক্ষমতায় গেলে একদল করে। আমরা বিরোধী দলে থাকলেও গণতন্ত্রের কথা বলি ক্ষমতায় থাকলেও গণতন্ত্রের কথা বলি।
আমির খসরু বলেন, সামাজিকভাবে বলেন, রাজনৈতিকভাবে বলেন, যেখানেই যাবেন নেত্রী কবে মুক্তি পাবেন এই প্রশ্নে আমাদের দৈনন্দিন সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আজকে তাদের (সরকার) ভয়ের কারণে আমাদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এই ভয়কে ‘ভয়’ হিসেবে মেনে নেয়ার কারণে শক্তিশালী অবস্থানে থেকেও প্রতিবাদ করতে পারছি না। আমদের ভয়কে জয় করতে হবে। আইনের শাসন শুধু নয়, তাদের (সরকার) মধ্যে যে ভয় কাজ করছে, সেই ভয়ের কারণে খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না।