চলছে মেলার শেষ সপ্তাহ

তালিকা হাতে স্টলে স্টলে ক্রেতারা

দেখতে দেখতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন শেষ সপ্তাহে। গতকাল ছিল মেলার ২২তম দিন। প্রতিবছর মেলার এই সময়টাতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। প্রতিবারের মতো এবারও মেলার শেষ সপ্তাহের দিনগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। বলা যায়, শেষপর্যায়ে এসে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাঙালির প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তালিকা হাতে স্টলে স্টলে ঘুরছেন বইপ্রেমীরা। সংগ্রহ করছেন প্রিয় লেখকের বইগুলো। মেলার আগত ছোট বড় সবার হাতে শোভা পাচ্ছে নতুন বইয়ের ব্যাগ। বইপ্রেমীদের বিপুল এই চাহিদা পূরণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত এভাবেই বিক্রি হবে, এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন প্রকাশকরা। গতকাল কর্মদিবসে মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মেলার শুরু দিকের দিনগুলোর চাইতে অনেক বেশি ছিল। গতকাল সরেজমিন বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলার শুরুর দিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দর্শনার্থীদের সমাগম কম ছিল। হয়নি আশানুরূপ বিকিকিনি। এবারের মেলায় পরিসরের সঙ্গে সঙ্গে স্টলের সংখ্যা ও বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দর্শনার্থীদের চাহিদার ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। মেলায় প্রবীণ প্রসিদ্ধ লেখকের পাশাপাশি নবীন লেখকদের বইয়ের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। সবার আগ্রহের জায়গায় পরিণত হয়েছে প্রাণের বইমেলা।

মোহাম্মদপুরের আবদুল আলিম, পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বিকেলে সপরিবারে মেলায় এসেছেন তিনি। তার কাছে মেলায় আসার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও এর চেতনাকে যারা ধারণ করার জন্যই বইমেলার সৃষ্টি। এ চেতনা তরুণদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়া উচিত। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এসেছি। এমন করে সবাই যেন মেলায় আসে। মেলা থেকে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য বই কিনব। বইমেলায় আসার অনুভূতিই অন্যরকম। একই স্থান থেকে মেলায় আসা শহীদুল্লাহ আগে থেকেই বইয়ের তালিকা ঠিক করে এনেছেন। তিনি বলেন, আগে থেকেই বেশ কয়েকটি বই পছন্দ করা রয়েছে। সেগুলোর তালিকা ধরে বই কিনব।

স্টলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, শেষ মুহূর্তে এসে বইয়ের বিক্রি বেশ ভালো। যারা আসছেন তারা আগে থেকেই বিভিন্নভাবে ভালো বইগুলোর নাম সংগ্রহ করেছেন। সেগুলোর তালিকা করে এসে এখন বইগুলো সংগ্রহ করছেন। যুব জাগরণ প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা মো. আরশাদুল ইসলাম বলেন, মেলার শেষ দিকে হওয়াতে ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও বেশ ভালো। এখন মেলায় যারা আসছেন সবাই বই কিনছেন।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জনি বলেন, মেলায় আজ বিক্রি বেশ ভালো। শেষ অবধি এমন বিক্রি হোক এটাই কামনা করি। শব্দশৈলীর বিক্রয়কর্মী মাহফুজ অর্ণব বলেন, আজ মেলায় অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে। আর বিক্রিও ভালো। শেষদিন পর্যন্ত বিক্রির এমন ধারাবাহিকতা থাকুক এটাই চাই। সন্ধ্যায় তাম্রলিপি প্রকাশনীতে গিয়ে দেখা যায়, বইপ্রেমীদের চাপে বসা ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছেন সবাই। এ প্রকাশনীতে দর্শনার্থীদের এতই চাপ ছিল যে, বিক্রয়কর্মীদের কেউ কেউ চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের কথা শুনছেন ও তাদের পছন্দের বই খুঁজে দিচ্ছেন। এ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রাব্বি বলেন, আজকে অনেক ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি সামনের প্রতিটি দিন এমন ভালো বিক্রি হবে।

আগ্রহ বাড়ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ে : বইমেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে পাঠকদের। এ পর্যন্ত মেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নতুন ১১৯টি বই এসেছে। লেখক-গবেষকরা নানা মাত্রায় মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্লেষণ করে লিখেছেন এসব বই। কথাশিল্পীরা গল্প-উপন্যাসে রূপায়ণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্তর। কবিদের কবিতাতেও আপন বিভায় উঠে আসছে মুক্তিযুদ্ধ। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের স্মৃতিচারণারও নানান বই প্রকাশ পাচ্ছে। মেলার লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণেই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রকাশনার সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর ১১৯টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই এলেও আগের বছর এ ধরনের প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ১০৪টি। ২০১৮ সালে ৯১, ২০১৭ সালে ৯৭, ২০১৬ সালে ১০১ ও ২০১৫ সালে ৫৩টি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রকাশকরা জানান, এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে নিয়ে বই প্রকাশ করছেন সবাই। যদিও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসমূহ ঠিকমতোই প্রকাশিত হচ্ছে। আগামী বছর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রকাশনার ব্যাপারে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে বাংলায় প্রথম দার্শনিক গ্রন্থ : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে নতুন বই ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব : দার্শনিক ভাবনা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামানের লেখা এই বই চিন্তার জগতকে আরও প্রসারিত করবে বলে ধারণা করছেন পাঠক শুভানুধ্যায়ীরা। এর আগে চতর্থ শিল্পবিপ্লব বাংলা ভাষায় হাতেগোনা দুয়েকটি বই পাওয়া গেলেও দার্শনিক প্রেক্ষাপটে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বই এটি। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে লেখা এ মৌলিক গ্রন্থটি। বইমেলার ৩০১-৩০৩ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

image
আরও খবর
উন্নয়ন পরিকল্পনা একে অপরের পরিপূরক হবে না প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের কোচিং-এ বাধ্য করবেন না
বিএনপি জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে না তথ্যমন্ত্রী
ঋণখেলাপির দায়ে বিএনপি ও জাপার প্রার্থিতা বাতিল আ’লীগের বৈধ ঘোষণা
প্রবাসীদের জন্য দুদকের হটলাইন
খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি ফখরুল
পাপিয়ার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যবসায়ী আমলা ও রাজনৈতিক নেতা
আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানা
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা
ক্রাইম পেট্রোল দেখে এখন ভিআইপি চোর
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার আহ্বান ঢাবি শিক্ষার্থীদের
পাবনায় লালন স্মরণোৎসব
রাজবাড়ীতে কবিতা উৎসব
শিল্পকলায় জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

চলছে মেলার শেষ সপ্তাহ

তালিকা হাতে স্টলে স্টলে ক্রেতারা

আবদুল্লাহ আল জোবায়ের

image

দেখতে দেখতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন শেষ সপ্তাহে। গতকাল ছিল মেলার ২২তম দিন। প্রতিবছর মেলার এই সময়টাতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। প্রতিবারের মতো এবারও মেলার শেষ সপ্তাহের দিনগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। বলা যায়, শেষপর্যায়ে এসে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাঙালির প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তালিকা হাতে স্টলে স্টলে ঘুরছেন বইপ্রেমীরা। সংগ্রহ করছেন প্রিয় লেখকের বইগুলো। মেলার আগত ছোট বড় সবার হাতে শোভা পাচ্ছে নতুন বইয়ের ব্যাগ। বইপ্রেমীদের বিপুল এই চাহিদা পূরণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত এভাবেই বিক্রি হবে, এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন প্রকাশকরা। গতকাল কর্মদিবসে মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মেলার শুরু দিকের দিনগুলোর চাইতে অনেক বেশি ছিল। গতকাল সরেজমিন বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলার শুরুর দিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দর্শনার্থীদের সমাগম কম ছিল। হয়নি আশানুরূপ বিকিকিনি। এবারের মেলায় পরিসরের সঙ্গে সঙ্গে স্টলের সংখ্যা ও বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দর্শনার্থীদের চাহিদার ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। মেলায় প্রবীণ প্রসিদ্ধ লেখকের পাশাপাশি নবীন লেখকদের বইয়ের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। সবার আগ্রহের জায়গায় পরিণত হয়েছে প্রাণের বইমেলা।

মোহাম্মদপুরের আবদুল আলিম, পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বিকেলে সপরিবারে মেলায় এসেছেন তিনি। তার কাছে মেলায় আসার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও এর চেতনাকে যারা ধারণ করার জন্যই বইমেলার সৃষ্টি। এ চেতনা তরুণদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়া উচিত। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এসেছি। এমন করে সবাই যেন মেলায় আসে। মেলা থেকে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য বই কিনব। বইমেলায় আসার অনুভূতিই অন্যরকম। একই স্থান থেকে মেলায় আসা শহীদুল্লাহ আগে থেকেই বইয়ের তালিকা ঠিক করে এনেছেন। তিনি বলেন, আগে থেকেই বেশ কয়েকটি বই পছন্দ করা রয়েছে। সেগুলোর তালিকা ধরে বই কিনব।

স্টলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, শেষ মুহূর্তে এসে বইয়ের বিক্রি বেশ ভালো। যারা আসছেন তারা আগে থেকেই বিভিন্নভাবে ভালো বইগুলোর নাম সংগ্রহ করেছেন। সেগুলোর তালিকা করে এসে এখন বইগুলো সংগ্রহ করছেন। যুব জাগরণ প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা মো. আরশাদুল ইসলাম বলেন, মেলার শেষ দিকে হওয়াতে ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও বেশ ভালো। এখন মেলায় যারা আসছেন সবাই বই কিনছেন।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জনি বলেন, মেলায় আজ বিক্রি বেশ ভালো। শেষ অবধি এমন বিক্রি হোক এটাই কামনা করি। শব্দশৈলীর বিক্রয়কর্মী মাহফুজ অর্ণব বলেন, আজ মেলায় অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে। আর বিক্রিও ভালো। শেষদিন পর্যন্ত বিক্রির এমন ধারাবাহিকতা থাকুক এটাই চাই। সন্ধ্যায় তাম্রলিপি প্রকাশনীতে গিয়ে দেখা যায়, বইপ্রেমীদের চাপে বসা ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছেন সবাই। এ প্রকাশনীতে দর্শনার্থীদের এতই চাপ ছিল যে, বিক্রয়কর্মীদের কেউ কেউ চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের কথা শুনছেন ও তাদের পছন্দের বই খুঁজে দিচ্ছেন। এ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রাব্বি বলেন, আজকে অনেক ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি সামনের প্রতিটি দিন এমন ভালো বিক্রি হবে।

আগ্রহ বাড়ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ে : বইমেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে পাঠকদের। এ পর্যন্ত মেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নতুন ১১৯টি বই এসেছে। লেখক-গবেষকরা নানা মাত্রায় মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্লেষণ করে লিখেছেন এসব বই। কথাশিল্পীরা গল্প-উপন্যাসে রূপায়ণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্তর। কবিদের কবিতাতেও আপন বিভায় উঠে আসছে মুক্তিযুদ্ধ। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের স্মৃতিচারণারও নানান বই প্রকাশ পাচ্ছে। মেলার লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণেই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রকাশনার সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর ১১৯টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই এলেও আগের বছর এ ধরনের প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ১০৪টি। ২০১৮ সালে ৯১, ২০১৭ সালে ৯৭, ২০১৬ সালে ১০১ ও ২০১৫ সালে ৫৩টি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রকাশকরা জানান, এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে নিয়ে বই প্রকাশ করছেন সবাই। যদিও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসমূহ ঠিকমতোই প্রকাশিত হচ্ছে। আগামী বছর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রকাশনার ব্যাপারে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে বাংলায় প্রথম দার্শনিক গ্রন্থ : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে নতুন বই ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব : দার্শনিক ভাবনা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামানের লেখা এই বই চিন্তার জগতকে আরও প্রসারিত করবে বলে ধারণা করছেন পাঠক শুভানুধ্যায়ীরা। এর আগে চতর্থ শিল্পবিপ্লব বাংলা ভাষায় হাতেগোনা দুয়েকটি বই পাওয়া গেলেও দার্শনিক প্রেক্ষাপটে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বই এটি। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে লেখা এ মৌলিক গ্রন্থটি। বইমেলার ৩০১-৩০৩ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।