‘কাব্যিক ঋদ্ধতায় মানবিক শুদ্ধতা’ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাভাষার সঠিক চর্চার প্রয়াসে গত শনিবার ১১তম কবিতা উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘একজ’। উৎসব প্রাঙ্গণে ১৯৫২টি মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকীর মহিউদ্দন আনসার ক্লাব প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে এবারের কবিতা উৎসবে আবৃত্তি করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফাসহ দেশের ১১টি জেলার গুণী আবৃত্তি শিল্পীরা।
আয়োজনের শুরুতে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীদের সঙ্গে উপস্থিত সব অতিথি ও সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর সব ভাষা শহীদ স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘একজ’ আহ্বায়ক সুজন সরওয়ারের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। আমন্ত্রিত সংগঠন, স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণী পেশার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
এই আবৃত্তি উৎসবে শিমুল মুস্তাফা ছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, ইকবাল আহমেদ, ত্রিলোক বাচিক পাঠশালার সভাপতি মাসুম আজিজুল বাসার, কন্ঠশৈলীর সভাপতি নাঈমা রুম্মান, চট্টগ্রামের তরুণ্যের উচ্ছ্বাস সাধারণ সম্পাদক মু. মুজাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুরের উদ্ভাস, ধৈবত আবৃত্তি ভূমি, গোপালগঞ্জের অনুনাদ আবৃত্তি পাঠশালা, কুষ্টিয়ার আবৃত্তি পরিষদ, শরীয়তপুরের স্বরবৃত্ত, বাগেরহাটের স্বরবিন্যাস ও ‘একজ’ আবৃত্তি পরিবার।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কবিতা উৎসবে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার শত শত মানুষ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবিতা প্রেমীরা উপস্থিত থেকে উৎসব উপভোগ করেন।
বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফা কবিতা উৎসব সম্পর্কে বলেন, একটি উপজেলা শহরে এমন আয়োজন সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। গভীর রাত পর্যন্ত উৎসব প্রাঙ্গণ দর্শকঠাশা, এতেই প্রমাণিত হয় কবিতার দর্শক আজও আছে। এ সময় তিনি প্রতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি এই উৎসবে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।
‘একজ’-এর আহ্বায়ক সুজন সারওয়ার বলেন, গোয়ালন্দের সাংস্কৃতিক জাগরণে ‘একজে’র এই ধারাবাহিক আয়োজন বরাবরই অবদান রাখার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। এছাড়াও প্রতিবারের ন্যায় এবারও ‘একজ’ আয়োজন করে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী বইমেলার। ‘একজে’র কবিতার মধ্য দিয়ে এক সমৃদ্ধ পরিচিতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে এবং চলবে।
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
‘কাব্যিক ঋদ্ধতায় মানবিক শুদ্ধতা’ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাভাষার সঠিক চর্চার প্রয়াসে গত শনিবার ১১তম কবিতা উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘একজ’। উৎসব প্রাঙ্গণে ১৯৫২টি মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকীর মহিউদ্দন আনসার ক্লাব প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে এবারের কবিতা উৎসবে আবৃত্তি করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফাসহ দেশের ১১টি জেলার গুণী আবৃত্তি শিল্পীরা।
আয়োজনের শুরুতে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীদের সঙ্গে উপস্থিত সব অতিথি ও সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর সব ভাষা শহীদ স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘একজ’ আহ্বায়ক সুজন সরওয়ারের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। আমন্ত্রিত সংগঠন, স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণী পেশার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
এই আবৃত্তি উৎসবে শিমুল মুস্তাফা ছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, ইকবাল আহমেদ, ত্রিলোক বাচিক পাঠশালার সভাপতি মাসুম আজিজুল বাসার, কন্ঠশৈলীর সভাপতি নাঈমা রুম্মান, চট্টগ্রামের তরুণ্যের উচ্ছ্বাস সাধারণ সম্পাদক মু. মুজাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুরের উদ্ভাস, ধৈবত আবৃত্তি ভূমি, গোপালগঞ্জের অনুনাদ আবৃত্তি পাঠশালা, কুষ্টিয়ার আবৃত্তি পরিষদ, শরীয়তপুরের স্বরবৃত্ত, বাগেরহাটের স্বরবিন্যাস ও ‘একজ’ আবৃত্তি পরিবার।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কবিতা উৎসবে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার শত শত মানুষ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবিতা প্রেমীরা উপস্থিত থেকে উৎসব উপভোগ করেন।
বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফা কবিতা উৎসব সম্পর্কে বলেন, একটি উপজেলা শহরে এমন আয়োজন সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। গভীর রাত পর্যন্ত উৎসব প্রাঙ্গণ দর্শকঠাশা, এতেই প্রমাণিত হয় কবিতার দর্শক আজও আছে। এ সময় তিনি প্রতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি এই উৎসবে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।
‘একজ’-এর আহ্বায়ক সুজন সারওয়ার বলেন, গোয়ালন্দের সাংস্কৃতিক জাগরণে ‘একজে’র এই ধারাবাহিক আয়োজন বরাবরই অবদান রাখার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। এছাড়াও প্রতিবারের ন্যায় এবারও ‘একজ’ আয়োজন করে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী বইমেলার। ‘একজে’র কবিতার মধ্য দিয়ে এক সমৃদ্ধ পরিচিতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে এবং চলবে।