দরপত্র আহ্বান
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবার ২৩টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। দক্ষিণ সিটিতে ১৪টি হাটের জন্য এবার দরপত্রে ইজারামূল্য ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৩৭ টাকা আহ্বান করা হয়েছে। গতবার পাওয়া রাজস্ব থেকে যা প্রায় ৫০ লাখ টাকা বেশি। উত্তরের ৯টি হাটের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ১১১ টাকা চেয়েছে করপোরেশন। অথচ গতবার ৯টি হাট থেকে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা পেয়েছিল করপোরেশন। ফলে হাট থেকে দক্ষিণে আয় বাড়লেও কমছে উত্তরের।
গত ১৪ জুন ১৪টি হাটের অস্থায়ী ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দরপত্রে উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালি জায়গার ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকা, যা গত বছর ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার ইজারা মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার টাকা, যা গত বছর ৯৮ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে দক্ষিণ বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা, যা গত বছর ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা, যা গত বছর ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৮ টাকা। কিন্তু হাটটির সরকারি মূল্য না পাওয়ায় ইজারা দেয়া হয়নি। পরে খাস আদায়ের মাধ্যমে এ থেকে রাজস্ব আদায় করে ডিএসসিসি। মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছর হাটটি ইজারা দেয়া হয় এক কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা। আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা। গত বছর এই হাটটি ইজারা দেয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। গোপীবাগে বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ৮৭ লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ টাকা। গত বছর হাটটি এক কোটি ৮১ লাখ ৮১ হাজার ১৮১ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা, যার গত বছর হাটটি এক কোটি ১২ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য নির্ধারিত ছিল ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর ইজারা দেয়া হয় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক-স্ট্যান্ড এলাকা ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮০৭ টাকা। গত বছর এর সরকারি মূল্য ছিল এক কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আর ইজারা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ টাকা ৭৭ হাজার টাকা এবং ৫১০ টাকা। আফতাব নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) বক ই, এফ, জি ও এইচ এবং সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গা ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আর ইজারা দেয়া হয়েছে ৭০ লাখ টাকায়। আশুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু এই দর কেউ না দেয়ায় পরে হাটটিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাস আদায় করে ডিএসসিসি। এতে মাত্র ৬ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া যায়। লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা। গত বছর এর সরকারি মূল্য ছিল ১০ লাখ ৭০ হাজার ১২৩ টাকা। হাটটি ইজারা হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ১৫০ টাকায়।
ডিএনসিসি এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী পশুরহাট ছাড়া অস্থায়ীভাবে ৯টি পশুরহাট বসবে। অস্থায়ী হাটগুলো হলো- উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশে ও দুই নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের ফাঁকা জায়গা ৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৪ টাকা, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইনের খালি জায়গা ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৭ টাকা, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬ এর (ইস্টার্ন হাউসিং) খালি জায়গা ১ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ টাকা, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুরহাট ১ কোটি ৭৪ লাখ ১ হাজার ৬৬৭ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৭ টাকা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউসিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই, আফতাবনগর সেকশন-৩ এর খালি জায়গা ১ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৪৩২ টাকা, কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯০০ টাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেকটরের বৃন্দাবন থেকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৪ টাকা, ভাসানটেক সড়কের খালি জায়গা ৪১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। গত বছর ডিএনসিসি উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের খালি ৩ কোটি ৭০ লাখ ১ হাজার টাকায়, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন (বছিলা) এলাকা ১ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৬ টাকায়, মিরপুর সেকশন-৬ এর খালি জায়গা ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট ২৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকায়, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তরপাশের সেতু প্রপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গা ৪৭ লাখ টাকায়, ৯৬ লাখ টাকায় বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই খালি জায়গা, ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভাষানটেকের খালি জায়গা ইজারা দিয়েছিলো।
সব মিলিয়ে দক্ষিণ সিটি ১৪টি হাট থেকে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৩৭ টাকা আয় করতে চায়। যেখানে গতবার সংস্থাটি আয় করেছিল ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা। অন্যদিকে উত্তর সিটি ৯টি হাটের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ১১১ টাকা চেয়েছে। যেখানে গতবছর ৯টি হাট থেকে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা পেয়েছিল করপোরেশন।
হাট থেকে আয় কমার বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক সংবাদকে বলেন, আমরা দরপত্র আহ্বান করেছি। ইজারা মূল্য আইন অনুযায়ী হয়েছে। গত তিনবছরের মূল্যেও গড় হিসেবেই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে করপোরেশনের কিছু করার নেই। দ্রুতই হাটগুলোর ইজারাদার চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন জানান, ডিএসসিসি এলাকার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র প্রকাশ করে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট পরিচালনা করা হবে।
শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১
দরপত্র আহ্বান
ইমদাদুল হাসান রাতুল
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবার ২৩টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। দক্ষিণ সিটিতে ১৪টি হাটের জন্য এবার দরপত্রে ইজারামূল্য ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৩৭ টাকা আহ্বান করা হয়েছে। গতবার পাওয়া রাজস্ব থেকে যা প্রায় ৫০ লাখ টাকা বেশি। উত্তরের ৯টি হাটের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ১১১ টাকা চেয়েছে করপোরেশন। অথচ গতবার ৯টি হাট থেকে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা পেয়েছিল করপোরেশন। ফলে হাট থেকে দক্ষিণে আয় বাড়লেও কমছে উত্তরের।
গত ১৪ জুন ১৪টি হাটের অস্থায়ী ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দরপত্রে উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘ মাঠ এলাকার খালি জায়গার ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকা, যা গত বছর ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার ইজারা মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার টাকা, যা গত বছর ৯৮ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। কামরাঙ্গীরচরের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে দক্ষিণ বুড়িগঙ্গা বাঁধ পর্যন্ত খালি জায়গা ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা, যা গত বছর ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার খালি জায়গা ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা, যা গত বছর ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৮ টাকা। কিন্তু হাটটির সরকারি মূল্য না পাওয়ায় ইজারা দেয়া হয়নি। পরে খাস আদায়ের মাধ্যমে এ থেকে রাজস্ব আদায় করে ডিএসসিসি। মেরাদিয়া বাজারের আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বছর হাটটি ইজারা দেয়া হয় এক কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা। আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা। গত বছর এই হাটটি ইজারা দেয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। গোপীবাগে বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ৮৭ লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ টাকা। গত বছর হাটটি এক কোটি ৮১ লাখ ৮১ হাজার ১৮১ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা, যার গত বছর হাটটি এক কোটি ১২ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য নির্ধারিত ছিল ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর ইজারা দেয়া হয় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক-স্ট্যান্ড এলাকা ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮০৭ টাকা। গত বছর এর সরকারি মূল্য ছিল এক কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আর ইজারা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ টাকা ৭৭ হাজার টাকা এবং ৫১০ টাকা। আফতাব নগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) বক ই, এফ, জি ও এইচ এবং সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গা ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আর ইজারা দেয়া হয়েছে ৭০ লাখ টাকায়। আশুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা, যার গত বছর সরকারি মূল্য ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু এই দর কেউ না দেয়ায় পরে হাটটিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাস আদায় করে ডিএসসিসি। এতে মাত্র ৬ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া যায়। লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠের আশপাশের খালি জায়গা ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা। গত বছর এর সরকারি মূল্য ছিল ১০ লাখ ৭০ হাজার ১২৩ টাকা। হাটটি ইজারা হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ১৫০ টাকায়।
ডিএনসিসি এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী পশুরহাট ছাড়া অস্থায়ীভাবে ৯টি পশুরহাট বসবে। অস্থায়ী হাটগুলো হলো- উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশে ও দুই নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের ফাঁকা জায়গা ৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৪ টাকা, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইনের খালি জায়গা ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৭ টাকা, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬ এর (ইস্টার্ন হাউসিং) খালি জায়গা ১ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ টাকা, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুরহাট ১ কোটি ৭৪ লাখ ১ হাজার ৬৬৭ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৭ টাকা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউসিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই, আফতাবনগর সেকশন-৩ এর খালি জায়গা ১ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৪৩২ টাকা, কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯০০ টাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেকটরের বৃন্দাবন থেকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৪ টাকা, ভাসানটেক সড়কের খালি জায়গা ৪১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। গত বছর ডিএনসিসি উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের খালি ৩ কোটি ৭০ লাখ ১ হাজার টাকায়, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন (বছিলা) এলাকা ১ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৬ টাকায়, মিরপুর সেকশন-৬ এর খালি জায়গা ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট ২৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকায়, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তরপাশের সেতু প্রপার্টি ও সংলগ্ন খালি জায়গা ৪৭ লাখ টাকায়, ৯৬ লাখ টাকায় বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই খালি জায়গা, ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভাষানটেকের খালি জায়গা ইজারা দিয়েছিলো।
সব মিলিয়ে দক্ষিণ সিটি ১৪টি হাট থেকে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৩৭ টাকা আয় করতে চায়। যেখানে গতবার সংস্থাটি আয় করেছিল ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা। অন্যদিকে উত্তর সিটি ৯টি হাটের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ১১১ টাকা চেয়েছে। যেখানে গতবছর ৯টি হাট থেকে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা পেয়েছিল করপোরেশন।
হাট থেকে আয় কমার বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক সংবাদকে বলেন, আমরা দরপত্র আহ্বান করেছি। ইজারা মূল্য আইন অনুযায়ী হয়েছে। গত তিনবছরের মূল্যেও গড় হিসেবেই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে করপোরেশনের কিছু করার নেই। দ্রুতই হাটগুলোর ইজারাদার চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন জানান, ডিএসসিসি এলাকার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র প্রকাশ করে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট পরিচালনা করা হবে।