বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে সমগ্র উপকূলভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলে গত দু’দিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছে। এত জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্য বৃষ্টিপাত প্রাকৃতিকভাবে লকডাউন কার্যকর করছে। বর্ষণে বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাটকে সয়লাব করে দিচ্ছে। এ নগরীর বিপর্যস্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা যে এখন বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতকেও সামাল দেবার মতো ক্ষমতা রাখে না তা নগরবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলার সাগরসংলগ্ন উপজেলা কলাপাড়ায় ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বরিশাল নগরীতে বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাটই সয়লাব হয়ে গেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে।
তবে আগামী শনিবার পর্যন্ত এ বর্ষণ অব্যাহত থাকলেও রোববার থেকে পরিস্থিতির উন্নতির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমন বীজতলা তৈরির জন্য এখনও উপযোগী থাকলেও উঠতি আউশের জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।
বরিশালসহ উপকূলভাগে গত দু’দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা থেকে এক ঘণ্টায় বরিশালে প্রায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর রাতভরই হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ অব্যাহত ছিল। গত বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে প্রায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গত বুধবার দিনভরই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি রাতের বেশিরভাগ সময়ই ভারি বর্ষণের রূপ নেয়। ফলে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গড়ে বরিশাল। তবে এ সময় পটুয়াখালীর কলাপাড়াতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৮ মিলিমিটার। গতকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশালে আরও প্রায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে সমগ্র উপকূলভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলে গত দু’দিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছে। এত জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্য বৃষ্টিপাত প্রাকৃতিকভাবে লকডাউন কার্যকর করছে। বর্ষণে বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাটকে সয়লাব করে দিচ্ছে। এ নগরীর বিপর্যস্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা যে এখন বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতকেও সামাল দেবার মতো ক্ষমতা রাখে না তা নগরবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলার সাগরসংলগ্ন উপজেলা কলাপাড়ায় ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বরিশাল নগরীতে বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাটই সয়লাব হয়ে গেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে।
তবে আগামী শনিবার পর্যন্ত এ বর্ষণ অব্যাহত থাকলেও রোববার থেকে পরিস্থিতির উন্নতির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমন বীজতলা তৈরির জন্য এখনও উপযোগী থাকলেও উঠতি আউশের জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।
বরিশালসহ উপকূলভাগে গত দু’দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা থেকে এক ঘণ্টায় বরিশালে প্রায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর রাতভরই হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ অব্যাহত ছিল। গত বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে প্রায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গত বুধবার দিনভরই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি রাতের বেশিরভাগ সময়ই ভারি বর্ষণের রূপ নেয়। ফলে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গড়ে বরিশাল। তবে এ সময় পটুয়াখালীর কলাপাড়াতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৮ মিলিমিটার। গতকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশালে আরও প্রায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।