৭ দিনের রিমান্ডে দুই আসামি

দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় ২ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পবির্তন করা হয়েছে।

গতকাল বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামির মধ্যে দুই আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত খোকা রাম দাসের ছেলে সান্টু চন্দ্র দাসকে (২৮) কড়া পুলিশ প্রহরায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজির্স্ট্রটে আদালতের পুলিশ হাজতে আনা হয়। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে আসামিদের হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইমাম জাফর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে ডিবি’র পরিদর্শক মো. ইমাম জাফরকে মামলার নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি তদন্ত মমিনুল ইসলাম।

এদিকে মামলার অন্যতম আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার বাগরপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলামকে (৩৫) গতকাল আদালতে হাজির করা হয়নি। সে অসুস্থ থাকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি’র পরিদর্শক মো. ইমাম জাফর জানান, বিজ্ঞ আদালতের কাছে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তিনি বলেন, কিছু দাফতরিক কাজ শেষে সুবিধামতো সময় দুই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে, ওই দুই আসামিকে আদালতে নিয়ে আসার খবরে দিনাজপুর আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

৭ দিনের রিমান্ডে দুই আসামি

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় ২ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পবির্তন করা হয়েছে।

গতকাল বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামির মধ্যে দুই আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত খোকা রাম দাসের ছেলে সান্টু চন্দ্র দাসকে (২৮) কড়া পুলিশ প্রহরায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজির্স্ট্রটে আদালতের পুলিশ হাজতে আনা হয়। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে আসামিদের হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইমাম জাফর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে ডিবি’র পরিদর্শক মো. ইমাম জাফরকে মামলার নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি তদন্ত মমিনুল ইসলাম।

এদিকে মামলার অন্যতম আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার বাগরপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলামকে (৩৫) গতকাল আদালতে হাজির করা হয়নি। সে অসুস্থ থাকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি’র পরিদর্শক মো. ইমাম জাফর জানান, বিজ্ঞ আদালতের কাছে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তিনি বলেন, কিছু দাফতরিক কাজ শেষে সুবিধামতো সময় দুই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে, ওই দুই আসামিকে আদালতে নিয়ে আসার খবরে দিনাজপুর আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।