সর্ষের মধ্যে ভূত তাড়াতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ সড়কমন্ত্রীর

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনিয়ম বন্ধে চেয়ারম্যানকে কঠোর নিদের্শনা দিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবার আওতা বাড়ানো গেলে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমিয়ে আসতে বাধ্য। আমরা সেটা লক্ষ্য করেছি। তবে এখানেও আমাদের বিআরটিএ অফিসগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। ভিতরের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে দালালরা কি করে তাদের দৌরাত্ম্য প্রদর্শন করে এবং লাইসেন্স নিয়ে জনগণকে হয়রানির মুখে ঠেলে দেয় এবং এখানে একটা নয়ছয় হয়। যেটা সর্ষের মধ্যে ভূত। আমাদের অবশ্যই সে ভূত তাড়াতে হবে। এজন্য বিআরটিএ’র নতুন চেয়ারম্যানকে শক্তহাতে এসব অনিয়ম বন্ধে নির্দেশনা দেন তিনি। গতকাল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র বিশেষ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই, বিআরটিকে সত্যিকার অর্থে একটি জনসেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে। বিআরটিএ সেবা পেতে এখনও গ্রাহক ভোগান্তির খবর পাই। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে এ ভোগান্তি কমে আসছে অনেক। এ সব অভিযোগের বিপরীতে বিআরটিএ একটি সেবাবান্ধব গতিশীল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে জনবল বাড়ানো হয়েছে। সামনে আরও জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কাউকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি ইতোপূর্বে বলেছি অনেক চেনামুখ ঘুরে ঘুরে মিরপুর উত্তরা, সাভারে কাজ করছে। এদের বদলি করলেও আবার অলিগলি দিয়ে আরাধ্য কর্মস্থলে এসে পৌঁছায়। এখানে নিশ্চয়ই টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয় আছে। সেখানে লাভজনক কিছু বিষয় আছে। সে কারণে এই সব জায়গার অফিসের প্রতি অনেকের আকর্ষণ রয়েছে। এ বিষয়টি বিআরটিএর নতুন চেয়ারম্যানকে স্ট্রংলি মনিটর করার আহ্বান জানান এবং বদলি বাণিজ্য যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক তদবির করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার কাছে আগে খুব আসত, ইদানীং তেমন আসে না। যে দুই চারটা রাজনৈতিকভাবে অনুরোধ আসে আমি সেটা বিআরটিকেই অবহিত করি।

সবাইকে সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একথা ঠিক যে সড়ক নিরাপত্তায় আমাদের আর অনেক কাজ করতে হবে। অনেক পথ আমাদের চলতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা প্রতিদিনই হারাচ্ছি মূল্যবান প্রাণ। আর একটি মৃত্যুও আমরা চাই না, চাই না দুর্ঘটনা। যে সব মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হয়েছে, সেগুলোতে দুর্ঘটনা অনেকটা কম। সড়ক নিরাপত্তা এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা-এটাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। একথা মনে রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করে দেয়ার আহ্বান জানান।

আরও খবর
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘ ব্যর্থ হলে তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের দাবি
বর্জ্য পানিতে করোনা জীবাণুর জীন
খালেদাকে ফের কারাগারে পাঠানোর দাবি উঠতে পারে তথ্যমন্ত্রী
সাড়ে ৯ হাজার শ্রমিককে ৪০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান
নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন : হুমকির মুখে শত শত গ্রাম
অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদ
অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ধরা
বন্ড হাউসের পণ্য বিক্রি, ৫২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি
আদালতে ঘাতক রিফাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
থানায় আটকে টাকা আদায় : ওসিসহ ৫ পুলিশ ক্লোজড
রিমান্ড শেষে কারাগারে স্বাস্থ্যের আবজাল
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ডিএসসিসির
ডেমরায় স্টিল মিলে চুল্লি বিস্ফোরণ : ৫ শ্রমিক দগ্ধ

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭

সর্ষের মধ্যে ভূত তাড়াতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ সড়কমন্ত্রীর

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনিয়ম বন্ধে চেয়ারম্যানকে কঠোর নিদের্শনা দিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবার আওতা বাড়ানো গেলে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমিয়ে আসতে বাধ্য। আমরা সেটা লক্ষ্য করেছি। তবে এখানেও আমাদের বিআরটিএ অফিসগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। ভিতরের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে দালালরা কি করে তাদের দৌরাত্ম্য প্রদর্শন করে এবং লাইসেন্স নিয়ে জনগণকে হয়রানির মুখে ঠেলে দেয় এবং এখানে একটা নয়ছয় হয়। যেটা সর্ষের মধ্যে ভূত। আমাদের অবশ্যই সে ভূত তাড়াতে হবে। এজন্য বিআরটিএ’র নতুন চেয়ারম্যানকে শক্তহাতে এসব অনিয়ম বন্ধে নির্দেশনা দেন তিনি। গতকাল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র বিশেষ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই, বিআরটিকে সত্যিকার অর্থে একটি জনসেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে। বিআরটিএ সেবা পেতে এখনও গ্রাহক ভোগান্তির খবর পাই। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে এ ভোগান্তি কমে আসছে অনেক। এ সব অভিযোগের বিপরীতে বিআরটিএ একটি সেবাবান্ধব গতিশীল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে জনবল বাড়ানো হয়েছে। সামনে আরও জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কাউকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি ইতোপূর্বে বলেছি অনেক চেনামুখ ঘুরে ঘুরে মিরপুর উত্তরা, সাভারে কাজ করছে। এদের বদলি করলেও আবার অলিগলি দিয়ে আরাধ্য কর্মস্থলে এসে পৌঁছায়। এখানে নিশ্চয়ই টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয় আছে। সেখানে লাভজনক কিছু বিষয় আছে। সে কারণে এই সব জায়গার অফিসের প্রতি অনেকের আকর্ষণ রয়েছে। এ বিষয়টি বিআরটিএর নতুন চেয়ারম্যানকে স্ট্রংলি মনিটর করার আহ্বান জানান এবং বদলি বাণিজ্য যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক তদবির করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার কাছে আগে খুব আসত, ইদানীং তেমন আসে না। যে দুই চারটা রাজনৈতিকভাবে অনুরোধ আসে আমি সেটা বিআরটিকেই অবহিত করি।

সবাইকে সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একথা ঠিক যে সড়ক নিরাপত্তায় আমাদের আর অনেক কাজ করতে হবে। অনেক পথ আমাদের চলতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা প্রতিদিনই হারাচ্ছি মূল্যবান প্রাণ। আর একটি মৃত্যুও আমরা চাই না, চাই না দুর্ঘটনা। যে সব মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হয়েছে, সেগুলোতে দুর্ঘটনা অনেকটা কম। সড়ক নিরাপত্তা এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা-এটাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। একথা মনে রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করে দেয়ার আহ্বান জানান।