রাজধানীর ডেমরা এলাকায় শাহরিয়ার স্টিল মিলে লোহা গলানোর চুল্লি বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- আল-আমিন (১৮), জসিম উদ্দিন (৪৫), ইয়ার হোসেন (২৫), জনু ব্যাপারী (৪০) ও দিদার হোসেন (২৭)। গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তিনজনকে ভর্তি রেখে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তিনজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইমরান হোসেনের শরীরের ৪০ শতাংশ, আল-আমিনের ২৮ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনজনের সবার শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া অপর আহত দিদার হোসেন ও ধনু ব্যাপারীর দগ্ধ কম হওয়ায় তাদের দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দগ্ধ আল-আমিনের চাচা সেলিম বলেন, যাত্রাবাড়ীর গোল্ডেন ব্রিজের পাশে শাহরিয়ার স্টিল মিলে দেড় মাস ধরে কাজ করে আলামিন। রাতে ওই মিলে কাজ করার সময় হঠাৎ চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন চুল্লিতে থাকা গলিত লোহার তরল পদার্থ ছিটকে পড়লে আলামিনসহ অন্যরা দগ্ধ হন। ইনস্টিটিউটের আইসিইউর সামনে গিয়ে দগ্ধদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- তারা সবাই নিতান্ত গরিব পরিবারের। দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পয়সা খরচ করার মতো সামার্থ তাদের নেই। তাদের দাবি- দগ্ধরা যেন সুচিকিৎসা পায়। মালিকপক্ষ যেন তাদের সব খরচ বহন করে। এদিকে, বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে আনিসুর রহমান নামে মিল কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধিকে দেখা গেছে। তিনি জানান, গত শনিবার রাত থেকে মালিক পক্ষই খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশেল একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। এছাড়া হাসপাতালে থাকা দগ্ধদের খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। দগ্ধরা যেন যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটি নিশ্চিতসহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর ডেমরা এলাকায় শাহরিয়ার স্টিল মিলে লোহা গলানোর চুল্লি বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- আল-আমিন (১৮), জসিম উদ্দিন (৪৫), ইয়ার হোসেন (২৫), জনু ব্যাপারী (৪০) ও দিদার হোসেন (২৭)। গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তিনজনকে ভর্তি রেখে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তিনজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইমরান হোসেনের শরীরের ৪০ শতাংশ, আল-আমিনের ২৮ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনজনের সবার শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া অপর আহত দিদার হোসেন ও ধনু ব্যাপারীর দগ্ধ কম হওয়ায় তাদের দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দগ্ধ আল-আমিনের চাচা সেলিম বলেন, যাত্রাবাড়ীর গোল্ডেন ব্রিজের পাশে শাহরিয়ার স্টিল মিলে দেড় মাস ধরে কাজ করে আলামিন। রাতে ওই মিলে কাজ করার সময় হঠাৎ চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন চুল্লিতে থাকা গলিত লোহার তরল পদার্থ ছিটকে পড়লে আলামিনসহ অন্যরা দগ্ধ হন। ইনস্টিটিউটের আইসিইউর সামনে গিয়ে দগ্ধদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- তারা সবাই নিতান্ত গরিব পরিবারের। দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পয়সা খরচ করার মতো সামার্থ তাদের নেই। তাদের দাবি- দগ্ধরা যেন সুচিকিৎসা পায়। মালিকপক্ষ যেন তাদের সব খরচ বহন করে। এদিকে, বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে আনিসুর রহমান নামে মিল কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধিকে দেখা গেছে। তিনি জানান, গত শনিবার রাত থেকে মালিক পক্ষই খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশেল একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। এছাড়া হাসপাতালে থাকা দগ্ধদের খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। দগ্ধরা যেন যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটি নিশ্চিতসহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।