উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিপণন সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় গ্রাহক সেবার মান বাড়ানো দাবি জানান তারা।
গতকাল রাজশাহীর মহানগরীর হেতেমখাঁ অবস্থিত নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নেসকো গ্রাহকদের লুটে খাচ্ছে। প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিল দুই থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ঘরে বসে বানানো এসব বিল গ্রাহকরা পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিলে প্রায় অসঙ্গতি দেখা দেয়ায় গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা অতিরিক্ত বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন। এখন বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল প্রায় সমান হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বাসা ভাড়া দেয়া কঠিন, সেখানে স্বাভাবিক বিলের দু’তিনগুন বেশি টাকা পরিশোধ করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউনের পর থেকে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে কয়েকগুণ বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়। এছাড়া গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানি করে নেসকো কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলে না। না দেখেই মিটার রিডিং করা হয়।
মানববন্ধনে এক নারী জানান, তার প্রতি মাসে ২৪০০ টাকা বিল আসে। কিন্তু গত মাসে এসেছে ৪৪০০ টাকা। এর সুরাহা চেয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোন সুরাহা মেলে না।
কাদিরগঞ্জ এলাকার হাসিনা পারভীন জানান, প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এলেও গত দুই মাস থেকে চার হাজার টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আসে।
মানববন্ধনে রাজশাহী মহানগর যুব মৈত্রী সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, অ্যাডভোকেট লিসা আঞ্জুমান, রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহাবুব টুংকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিপণন সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় গ্রাহক সেবার মান বাড়ানো দাবি জানান তারা।
গতকাল রাজশাহীর মহানগরীর হেতেমখাঁ অবস্থিত নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নেসকো গ্রাহকদের লুটে খাচ্ছে। প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিল দুই থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ঘরে বসে বানানো এসব বিল গ্রাহকরা পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিলে প্রায় অসঙ্গতি দেখা দেয়ায় গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা অতিরিক্ত বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন। এখন বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল প্রায় সমান হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বাসা ভাড়া দেয়া কঠিন, সেখানে স্বাভাবিক বিলের দু’তিনগুন বেশি টাকা পরিশোধ করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউনের পর থেকে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে কয়েকগুণ বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়। এছাড়া গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানি করে নেসকো কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলে না। না দেখেই মিটার রিডিং করা হয়।
মানববন্ধনে এক নারী জানান, তার প্রতি মাসে ২৪০০ টাকা বিল আসে। কিন্তু গত মাসে এসেছে ৪৪০০ টাকা। এর সুরাহা চেয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোন সুরাহা মেলে না।
কাদিরগঞ্জ এলাকার হাসিনা পারভীন জানান, প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এলেও গত দুই মাস থেকে চার হাজার টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আসে।
মানববন্ধনে রাজশাহী মহানগর যুব মৈত্রী সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, অ্যাডভোকেট লিসা আঞ্জুমান, রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহাবুব টুংকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।