বাজার পর্যালোচনা

দাম বেড়েছে চাল ও তেলের

আগের দামেই পিয়াজ-আলু

সপ্তাহ ব্যবধানে বেশিরভাগ চাল ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ৬ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে শিমের দাম। তবে কমেছে ডিমের দাম। এদিকে মাঝে কিছুটা বাড়লেও গতকাল আগের দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে পিয়াজ ও আলু।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ চালের দাম ২-৫ টাকা বেড়েছে। এ সপ্তাহে বাজারে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা কেজি। বাসমতি চাল গত সপ্তাহে ছিল ৬৬ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। মিনিকেট গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৭-৫৯ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৬২-৬৪ টাকা। নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৬৭ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া পামওয়েলও লিটারে ৬ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বোতলজাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার প্রতি দাম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৪ থেকে ১১৮ টাকা।

পুরাতন আলুর কেজি আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে গত সপ্তাহে দাম বেড়ে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হওয়া নতুন আলুর দাম কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় চলে এসেছে। এছাড়া আলুর মতো গত সপ্তাহে দাম বেড়ে যাওয়া পিয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পিয়াজের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। আমদানি করা পিয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ৮৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। হাঁসের ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কিছুটা বেড়ে মানভেদে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিমের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য সবজির দাম। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তের (করলা) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি বা কক ১৮০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ১২০ থেকে ৬০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ২০০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুঁড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিটা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২

বাজার পর্যালোচনা

দাম বেড়েছে চাল ও তেলের

আগের দামেই পিয়াজ-আলু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

সপ্তাহ ব্যবধানে বেশিরভাগ চাল ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ৬ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে শিমের দাম। তবে কমেছে ডিমের দাম। এদিকে মাঝে কিছুটা বাড়লেও গতকাল আগের দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে পিয়াজ ও আলু।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ চালের দাম ২-৫ টাকা বেড়েছে। এ সপ্তাহে বাজারে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা কেজি। বাসমতি চাল গত সপ্তাহে ছিল ৬৬ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। মিনিকেট গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৭-৫৯ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৬২-৬৪ টাকা। নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৬৭ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া পামওয়েলও লিটারে ৬ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বোতলজাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার প্রতি দাম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৪ থেকে ১১৮ টাকা।

পুরাতন আলুর কেজি আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে গত সপ্তাহে দাম বেড়ে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হওয়া নতুন আলুর দাম কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় চলে এসেছে। এছাড়া আলুর মতো গত সপ্তাহে দাম বেড়ে যাওয়া পিয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পিয়াজের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। আমদানি করা পিয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ৮৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। হাঁসের ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কিছুটা বেড়ে মানভেদে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিমের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য সবজির দাম। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তের (করলা) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি বা কক ১৮০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। এসব বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ১২০ থেকে ৬০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ২০০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গুঁড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিটা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।