গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের কোন একটা স্তম্ভ ঠিকমতো কাজ না করলে এর ভিত নষ্ট হয়ে যায়। সেটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা যাতে স্বাধীনভাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সেজন্য কাজ করছেন। করোনাকালে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলেও সাংবাদিকরা কাজ করে গেছেন। পৃথিবীতে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলে একটি মহল ওৎ পেতে থাকে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। করোনাকালে বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এর বিপরীতে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এসব সুবিধাবাদীরা তেমন বেশি সুবিধা করতে পারে নি। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থায় বসবাস করি। আমাদের দেশে যেভাবে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে অন্য কোনখানে সেভাবে করা যায় না। যুক্তরাজ্যে কোন ভুল সংবাদ প্রকাশিত হলে অনেকে আদালতে অভিযোগ করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও গুণতে হয়।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করার সংস্কৃতিকে পছন্দ করেন। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। বিএনপির ফখরুল সাহেব সকালে সরকারের সমালোচনা কড়া ভাষায় করেন। আর বিকেলে রিজভী সাহেব কথা বলেন আর প্রেসক্লাবে গয়েশ^র বাবুরা কোন অনুষ্ঠানে সমালোচনা করে বলেন তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। ভালো কাজের প্রশংসা হলে মানুষ ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে কারণে সবার প্রতি অনুরোধ করব সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজেরও প্রশংসা করবেন। না হলে রাষ্ট্র-সমাজ পিছিয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৬ পৌষ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের কোন একটা স্তম্ভ ঠিকমতো কাজ না করলে এর ভিত নষ্ট হয়ে যায়। সেটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা যাতে স্বাধীনভাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সেজন্য কাজ করছেন। করোনাকালে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলেও সাংবাদিকরা কাজ করে গেছেন। পৃথিবীতে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলে একটি মহল ওৎ পেতে থাকে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। করোনাকালে বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এর বিপরীতে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এসব সুবিধাবাদীরা তেমন বেশি সুবিধা করতে পারে নি। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থায় বসবাস করি। আমাদের দেশে যেভাবে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে অন্য কোনখানে সেভাবে করা যায় না। যুক্তরাজ্যে কোন ভুল সংবাদ প্রকাশিত হলে অনেকে আদালতে অভিযোগ করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও গুণতে হয়।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করার সংস্কৃতিকে পছন্দ করেন। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। বিএনপির ফখরুল সাহেব সকালে সরকারের সমালোচনা কড়া ভাষায় করেন। আর বিকেলে রিজভী সাহেব কথা বলেন আর প্রেসক্লাবে গয়েশ^র বাবুরা কোন অনুষ্ঠানে সমালোচনা করে বলেন তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। ভালো কাজের প্রশংসা হলে মানুষ ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে কারণে সবার প্রতি অনুরোধ করব সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজেরও প্রশংসা করবেন। না হলে রাষ্ট্র-সমাজ পিছিয়ে পড়বে।