সিন্ডিকেটে ফানাই নদীতে অপরিকল্পিত খনন : হুমকিতে ১৫-২০টি সেতু

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ফানাই নদী খনন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের অর্থলুলুপতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শতাধিক ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট। রক্ষা পাচ্ছে না মসজিদ-কবরস্থান ও মন্দির।

কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব কালা পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওড় হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে মিলিত হয়েছে এ ফানাই নদী। নদীটির পাহাড়ে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানির গতিপ্রবাহ অত্যন্ত বেশি থাকে। ফলে বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতি বছর নদীর পানি উপচে দু’তীরের ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৯ সালে নদীর খননসহ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৫৭০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যে বয়ে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৭ কোটি টাকা। হাকালুকি হাওর থেকে শুরু করে নদীটি উপজেলার ভূকশিমইল, কাদিপুর, ব্রাহ্মণবাজার, রাউৎগাঁও, কুলাউড়া সদর ও কর্মধা ইউনিয়ন দিয়ে খনন কাজ পূর্ব কালা পাহাড় মহিষমারা এলাকায় গিয়ে শেষ হবে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে নদীর খনন কাজের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। বড় বড় ইউটার্ন রেখে নদী খনন করা হচ্ছে। যা বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পানির স্র্রোতে ভেঙ্গে যাবে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন দেখা দেবে। তাছাড়া কাজ শেষ করার ৩-৪ দিনের মাথায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে ধসে পড়ছে। অপরিকল্পিত খননে ভূকশিমইল, রাউৎগাঁও, কুলাউড়া সদর ও কর্মধা ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫-২০টি ব্রিজ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার মুকুন্দপুর রাস্তার মরহুম হাজী ছলিম মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হতে ফানাই নদীর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা কেটে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে গত দু’মাস থেকে চৌধুরী বাজারে সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকাবাসী রাস্তাটি রক্ষা করে নদী খননের কাজ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। এছাড়াও প্রকল্প কাজের ঠিকাদার ও সাইট ঠিকাদারকে বিষয়টি বলার পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

কর্মধা ইউনিয়নের হাসিমপুর-রাঙ্গিছড়া রাস্তা এবং হাসিমপুর কবিরাজি ইটসোলিং রাস্তাটিও কেটে সরানো হচ্ছে। ফলে এই দু’টি রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সিএনজি অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দু’টি প্রধান সড়কসহ ৫টি সংযোগ সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। নদী খননের ফলে মুকুন্দপুর কোরআন শিক্ষাকেন্দ্র (স্থানীয়দের ভাষায় মক্তব) পূর্ব হাসিমপুর মসজিদ, পূর্ব হাসিমপুর কবরস্থান এবং পূর্ব কবিরাজি কালি মন্দির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

নদী খননের ফলে ইউনিয়নের বাগাজুরা, মুকুন্দপুর, গুতগুতি, কবিরাজি, লক্ষীপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার জমি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ১৫-২০টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে বাড়িঘর হারিয়েছে। কবিরাজী গ্রামের রেজিয়া বেগম, হাসিমপুর গ্রামের আনোয়ারা বেগম, ছানা বেগম, জুনাব আলী, নেওয়া বেগম, মুকুন্দপুর গ্রামের সুফিয়া বেগম, ছালেক মিয়া বলেন তাদের বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে তারা বাপ-দাদার আমল থেকে এখানে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তাদের কোন ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিতভাবে খনন কাজ শুরু করায় ভিটামাটি সব চলে গেছে নদীগর্ভে। গুতগুতি গ্রামের শহীদ মিয়া বলেন, আমার ঘর খনন কাজে কাঁটা পড়বে না বলে আমার কাছ থেকে সাত হাজার নিয়েছে মাটি কাঁটার গাড়ি চালক। হাসিমপুর গ্রামের কনই বেগম বলেন, ৫ সন্তান নিয়ে এই কনকনে শীতের মধ্যে ভাঙ্গা ঘরে রাত পোহাচ্ছি। নদীর মাঠি আমার ঘর বন্দী করে রেখেছে। এ ব্যাপারে রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল বলেন, ইউনিয়নের ৫-৭টি গ্রামের মানুষের কষ্টের কারণে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

এদিকে রাস্তা, মসজিদ, কবরস্থান রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করা হলে গত ২৭ জানুয়ারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু তাতে কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা হাওর বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজতৈকি নেতাদের আস্কারাই খনন কাজে সীমাহীন অনিয়মের জন্য দায়ী। এরা স্থানীয়দের নিকট হতে অর্থনিয়ে কারও বাড়িঘর রক্ষা করছেন আবার কারোটা ধ্বংস করছেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, নদীর লোপ কাটিংয়ের কোন সুয়োগ নেই। নদীর ভেতরে যাদের বাড়ি ঘর পড়েছে, তারা স্বেচ্ছায় সরে যাচ্ছে। তাছাড়া যারা দীর্ঘদিন থেকে নদীর পাশে জায়গা দখল করে বসবাস করছে তাদের ব্যাপারে আমাদের করার কিছু নেই।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সিন্ডিকেটে ফানাই নদীতে অপরিকল্পিত খনন : হুমকিতে ১৫-২০টি সেতু

প্রতিনিধি, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)

image

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ফানাই নদী খনন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের অর্থলুলুপতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শতাধিক ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট। রক্ষা পাচ্ছে না মসজিদ-কবরস্থান ও মন্দির।

কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব কালা পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওড় হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে মিলিত হয়েছে এ ফানাই নদী। নদীটির পাহাড়ে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানির গতিপ্রবাহ অত্যন্ত বেশি থাকে। ফলে বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতি বছর নদীর পানি উপচে দু’তীরের ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৯ সালে নদীর খননসহ প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৫৭০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যে বয়ে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৭ কোটি টাকা। হাকালুকি হাওর থেকে শুরু করে নদীটি উপজেলার ভূকশিমইল, কাদিপুর, ব্রাহ্মণবাজার, রাউৎগাঁও, কুলাউড়া সদর ও কর্মধা ইউনিয়ন দিয়ে খনন কাজ পূর্ব কালা পাহাড় মহিষমারা এলাকায় গিয়ে শেষ হবে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে নদীর খনন কাজের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। বড় বড় ইউটার্ন রেখে নদী খনন করা হচ্ছে। যা বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পানির স্র্রোতে ভেঙ্গে যাবে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন দেখা দেবে। তাছাড়া কাজ শেষ করার ৩-৪ দিনের মাথায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে ধসে পড়ছে। অপরিকল্পিত খননে ভূকশিমইল, রাউৎগাঁও, কুলাউড়া সদর ও কর্মধা ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫-২০টি ব্রিজ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার মুকুন্দপুর রাস্তার মরহুম হাজী ছলিম মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হতে ফানাই নদীর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা কেটে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে গত দু’মাস থেকে চৌধুরী বাজারে সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকাবাসী রাস্তাটি রক্ষা করে নদী খননের কাজ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। এছাড়াও প্রকল্প কাজের ঠিকাদার ও সাইট ঠিকাদারকে বিষয়টি বলার পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

কর্মধা ইউনিয়নের হাসিমপুর-রাঙ্গিছড়া রাস্তা এবং হাসিমপুর কবিরাজি ইটসোলিং রাস্তাটিও কেটে সরানো হচ্ছে। ফলে এই দু’টি রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সিএনজি অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দু’টি প্রধান সড়কসহ ৫টি সংযোগ সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। নদী খননের ফলে মুকুন্দপুর কোরআন শিক্ষাকেন্দ্র (স্থানীয়দের ভাষায় মক্তব) পূর্ব হাসিমপুর মসজিদ, পূর্ব হাসিমপুর কবরস্থান এবং পূর্ব কবিরাজি কালি মন্দির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

নদী খননের ফলে ইউনিয়নের বাগাজুরা, মুকুন্দপুর, গুতগুতি, কবিরাজি, লক্ষীপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার জমি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ১৫-২০টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে বাড়িঘর হারিয়েছে। কবিরাজী গ্রামের রেজিয়া বেগম, হাসিমপুর গ্রামের আনোয়ারা বেগম, ছানা বেগম, জুনাব আলী, নেওয়া বেগম, মুকুন্দপুর গ্রামের সুফিয়া বেগম, ছালেক মিয়া বলেন তাদের বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে তারা বাপ-দাদার আমল থেকে এখানে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তাদের কোন ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিতভাবে খনন কাজ শুরু করায় ভিটামাটি সব চলে গেছে নদীগর্ভে। গুতগুতি গ্রামের শহীদ মিয়া বলেন, আমার ঘর খনন কাজে কাঁটা পড়বে না বলে আমার কাছ থেকে সাত হাজার নিয়েছে মাটি কাঁটার গাড়ি চালক। হাসিমপুর গ্রামের কনই বেগম বলেন, ৫ সন্তান নিয়ে এই কনকনে শীতের মধ্যে ভাঙ্গা ঘরে রাত পোহাচ্ছি। নদীর মাঠি আমার ঘর বন্দী করে রেখেছে। এ ব্যাপারে রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল বলেন, ইউনিয়নের ৫-৭টি গ্রামের মানুষের কষ্টের কারণে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

এদিকে রাস্তা, মসজিদ, কবরস্থান রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করা হলে গত ২৭ জানুয়ারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু তাতে কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা হাওর বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজতৈকি নেতাদের আস্কারাই খনন কাজে সীমাহীন অনিয়মের জন্য দায়ী। এরা স্থানীয়দের নিকট হতে অর্থনিয়ে কারও বাড়িঘর রক্ষা করছেন আবার কারোটা ধ্বংস করছেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, নদীর লোপ কাটিংয়ের কোন সুয়োগ নেই। নদীর ভেতরে যাদের বাড়ি ঘর পড়েছে, তারা স্বেচ্ছায় সরে যাচ্ছে। তাছাড়া যারা দীর্ঘদিন থেকে নদীর পাশে জায়গা দখল করে বসবাস করছে তাদের ব্যাপারে আমাদের করার কিছু নেই।