জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রাপ্তিতে ভোগান্তি উপবৃত্তি বঞ্চিত অনেক শিক্ষার্থী

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ৮ মাস ধরে জন্ম-মৃত্যু সনদ নিতে ভোগান্তির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন সার্ভারের কারণে একমাস এই সঙ্কট চলছে।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো. আজিজুল হক’র অভিযোগ, ডিসেম্বর মাস থেকে সন্তান ভর্তি ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম প্রেরণের জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়া-আসা করছি। কিন্তু সার্ভারে সমস্যার কথা জানায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মু.শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়াও মো. আজিজুল হক ১৩১নং মধ্য আরজবেগী শিকদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক’র (চ:দা:) দায়িত্বে আছেন। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ে ৭০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০জন উপবৃত্তি তালিকায় আসার কথা থাকলেও ১২জন শিক্ষার্থীর নিবন্ধন পেয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের ৪৮ শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি উপবৃত্তি তালিকায়। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের সানি চন্দ্র জানান, তার মায়ের মৃত্যু সনদ নিতে ইউনিয়ন পরিষদে গত ৮ মাস ধরে যোগাযোগ করলেও সার্ভারে সমস্যাজনিত কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন কর্তব্যরত ইউপি সচিব। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘নগদ’ হিসাবে উপবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্তে নিয়েছে সরকার। এ জন্য ভর্তি ও উপবৃত্তি তালিকা প্রস্তুত করতে জন্ম নিবন্ধন জরুরি দরকার হলেও সার্ভার সমস্যায় ভোগান্তিতে ভুক্তভোগীরা।

এই বিষয়ে দশমিনা সদর ইউপি সচিব মু. শহিদুল ইসলাম বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার আপগ্রেড করায় নতুন এক্সেসকোড ও পাসওয়ার্ড দরকার হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন সার্ভার এক্সেস আইডি ও পাওয়ার্ড করে দিচ্ছে। আজ রোববার থেকে সমস্যা থাকবে না।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার শাখা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব বলেন, জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রদানে আরও দ্রুতগতির সেবা দিতে সার্ভার আপগ্রেড করা হয়। সার্ভার এক্সেসকোড ও পাসওয়ার্ড খুলে দেয়ার কাজ চলছে। দু’একদিনের মধ্যে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩১ মাঘ ১৪২৭, ৩১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দশমিনায় সার্ভারে সমস্যা

জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রাপ্তিতে ভোগান্তি উপবৃত্তি বঞ্চিত অনেক শিক্ষার্থী

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ৮ মাস ধরে জন্ম-মৃত্যু সনদ নিতে ভোগান্তির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন সার্ভারের কারণে একমাস এই সঙ্কট চলছে।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো. আজিজুল হক’র অভিযোগ, ডিসেম্বর মাস থেকে সন্তান ভর্তি ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম প্রেরণের জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়া-আসা করছি। কিন্তু সার্ভারে সমস্যার কথা জানায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মু.শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়াও মো. আজিজুল হক ১৩১নং মধ্য আরজবেগী শিকদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক’র (চ:দা:) দায়িত্বে আছেন। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ে ৭০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০জন উপবৃত্তি তালিকায় আসার কথা থাকলেও ১২জন শিক্ষার্থীর নিবন্ধন পেয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের ৪৮ শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি উপবৃত্তি তালিকায়। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের সানি চন্দ্র জানান, তার মায়ের মৃত্যু সনদ নিতে ইউনিয়ন পরিষদে গত ৮ মাস ধরে যোগাযোগ করলেও সার্ভারে সমস্যাজনিত কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন কর্তব্যরত ইউপি সচিব। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘নগদ’ হিসাবে উপবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্তে নিয়েছে সরকার। এ জন্য ভর্তি ও উপবৃত্তি তালিকা প্রস্তুত করতে জন্ম নিবন্ধন জরুরি দরকার হলেও সার্ভার সমস্যায় ভোগান্তিতে ভুক্তভোগীরা।

এই বিষয়ে দশমিনা সদর ইউপি সচিব মু. শহিদুল ইসলাম বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার আপগ্রেড করায় নতুন এক্সেসকোড ও পাসওয়ার্ড দরকার হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন সার্ভার এক্সেস আইডি ও পাওয়ার্ড করে দিচ্ছে। আজ রোববার থেকে সমস্যা থাকবে না।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার শাখা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব বলেন, জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রদানে আরও দ্রুতগতির সেবা দিতে সার্ভার আপগ্রেড করা হয়। সার্ভার এক্সেসকোড ও পাসওয়ার্ড খুলে দেয়ার কাজ চলছে। দু’একদিনের মধ্যে আর কোন সমস্যা থাকবে না।