বাঁশখালী বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অর্থ আত্মসাতের দায়ে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বড়ুয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ বহিষ্কার আদেশ প্রদান করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ নাজেম উদ্দীন চৌধুরী। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত ৪ বছরে ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন সনজিৎ কুমার বড়ুয়া। যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত করে আসছেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম বরাবরে প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাজেম উদ্দিন চৌধুরী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অডিট কমিটি গঠন করেন। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী গত চার বছরে তিনি ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজেম উদ্দিন চৌধুরী তাকে পরপর দুইবার কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বড়ুয়া কোনবারেই উক্ত কারণ দর্শানোর নোটিসগুলো গ্রহণ করেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে শিক্ষাবোর্ডের বেসরকারি বিদ্যালয় শিক্ষকের চাকরির শর্তাবলী এবং সংশোধিত ১৯৯১ইং সনের (১৯৬১ইং সনের ৩৩নং আদেশ) মোতাবেক উক্ত প্রবিধানমালার ১১(গ-ঘ) ধারা অনুযায়ী উক্ত প্রবিধানমালার ১৩(১) ধারা মোতাবেক তাকে কর্মস্থল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ৩ রজব ১৪৪২

বাঁশখালী বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অর্থ আত্মসাতের দায়ে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বড়ুয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ বহিষ্কার আদেশ প্রদান করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ নাজেম উদ্দীন চৌধুরী। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত ৪ বছরে ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন সনজিৎ কুমার বড়ুয়া। যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত করে আসছেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম বরাবরে প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাজেম উদ্দিন চৌধুরী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অডিট কমিটি গঠন করেন। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী গত চার বছরে তিনি ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজেম উদ্দিন চৌধুরী তাকে পরপর দুইবার কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বড়ুয়া কোনবারেই উক্ত কারণ দর্শানোর নোটিসগুলো গ্রহণ করেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে শিক্ষাবোর্ডের বেসরকারি বিদ্যালয় শিক্ষকের চাকরির শর্তাবলী এবং সংশোধিত ১৯৯১ইং সনের (১৯৬১ইং সনের ৩৩নং আদেশ) মোতাবেক উক্ত প্রবিধানমালার ১১(গ-ঘ) ধারা অনুযায়ী উক্ত প্রবিধানমালার ১৩(১) ধারা মোতাবেক তাকে কর্মস্থল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।