সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলায় ধ্বংস হতে চলেছে বটিয়াঘাটার কিসমত ফুলতলারয় গ্রামে গড়ে ওঠা মিনি সুন্দরবনটি।
গত ২০ বছর পূর্বে স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে বনবিভাগের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গোলপাতা, গেওয়া ও সুন্দরি গাছের চারা রোপণ করা হয়। ধীরে ধীরে এই গাছ এখন একটি মিনি সুন্দরবনের রূপ ধারণ করেছে। গোলপাতা এবং গাছে ছেয়ে গেছে এ জায়গাটি। অনেক দূর দূরান্তর থেকে লোকজন এই মিনি সুন্দরবন দেখতে ছুটে আসেন। বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলায় যখন পাখিরা এখানে আশ্রয় নিতে আসে, তখন তাদের কাকলীতে এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বনবিভাগের কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি না করায় পাশে বসবাসকারী ভাসমান লোকেরা গাছপালা কেটে বসতঘর, তৈরি করছে। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পটি। অথচ সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের আশপাশে এমন ধরনের বনায়ন প্রকল্প আর নেই। স্থানীয়রা প্রকল্পটি আরও সমৃদ্ধকরণের জন্য সামাজিক বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে সামাজিক বনবিভাগের রেঞ্জার শোয়েবুর জানান, গত তিন মাস পূর্বে তিনি যোগদান করেছেন, সবকিছু দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় তারা সামাজিক বনায়ন কর্তৃপক্ষকে বনায়ন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। যারা ওয়াপদার জায়গায় বসবাস করে তাদের উচ্ছেদ করে বনায়ন প্রকল্পকে রক্ষা করতে অবিলম্বে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ওয়াপদার যেসব জায়গা পরিত্যক্ত পড়ে রয়েছে সেখানে ও বনয়ন সৃষ্টির অনুমোদন দেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ৩ রজব ১৪৪২
প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা (খুলনা)
সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলায় ধ্বংস হতে চলেছে বটিয়াঘাটার কিসমত ফুলতলারয় গ্রামে গড়ে ওঠা মিনি সুন্দরবনটি।
গত ২০ বছর পূর্বে স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে বনবিভাগের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গোলপাতা, গেওয়া ও সুন্দরি গাছের চারা রোপণ করা হয়। ধীরে ধীরে এই গাছ এখন একটি মিনি সুন্দরবনের রূপ ধারণ করেছে। গোলপাতা এবং গাছে ছেয়ে গেছে এ জায়গাটি। অনেক দূর দূরান্তর থেকে লোকজন এই মিনি সুন্দরবন দেখতে ছুটে আসেন। বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলায় যখন পাখিরা এখানে আশ্রয় নিতে আসে, তখন তাদের কাকলীতে এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বনবিভাগের কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি না করায় পাশে বসবাসকারী ভাসমান লোকেরা গাছপালা কেটে বসতঘর, তৈরি করছে। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পটি। অথচ সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের আশপাশে এমন ধরনের বনায়ন প্রকল্প আর নেই। স্থানীয়রা প্রকল্পটি আরও সমৃদ্ধকরণের জন্য সামাজিক বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে সামাজিক বনবিভাগের রেঞ্জার শোয়েবুর জানান, গত তিন মাস পূর্বে তিনি যোগদান করেছেন, সবকিছু দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় তারা সামাজিক বনায়ন কর্তৃপক্ষকে বনায়ন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। যারা ওয়াপদার জায়গায় বসবাস করে তাদের উচ্ছেদ করে বনায়ন প্রকল্পকে রক্ষা করতে অবিলম্বে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ওয়াপদার যেসব জায়গা পরিত্যক্ত পড়ে রয়েছে সেখানে ও বনয়ন সৃষ্টির অনুমোদন দেয়া হবে।