মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চালতিপাড়া নামক এলাকায় গত শনিবার বালুর বস্তা ফেলে মাছবাহী একটি অটোরিকশায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদলের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন চালকসহ চারজন। আহতরা হলেন, শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া গ্রামের সুনীল রাজবংশীর ছেলে শ্যামল রাজবংশী (৪৯), একই গ্রামের নিতাই রাজবংশীর ছেলে বিজয় রাজবংশী (৪৫), সিরাজদিখান উপজেলার তাজপুর এলাকার অভি (১৬) এবং সিরাজদিখান উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক এরশাদ (২৮)। গুরুতর আহত অভিকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজন শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শ্যামল রাজবংশী জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিরাজদিখান থেকে মাছ নিয়ে হাসাড়া যাওয়ার পথে সাত থেকে আটজন মুখোশধারী ডাকাত মহাসড়কের চালতিপাড়া নামক এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে অবরোধ করে। চালকসহ আমাদের চারজনকে আটক করে চাপাতি ও রামদার ভয় দেখিয়ে নগদ ৯ হাজার টাকা, তিনটি মুঠোফোন ও মাছসহ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাধা দেয়ায় ডাকাতরা রামদা ও চাপাতি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আফজাল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি ফোনে জানতে পেরেছি। তবে মামলা করতে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ আসেনি। মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গত তিন মাসে মহাসড়কের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে চালতি পাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে আটটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ৩ রজব ১৪৪২
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চালতিপাড়া নামক এলাকায় গত শনিবার বালুর বস্তা ফেলে মাছবাহী একটি অটোরিকশায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদলের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন চালকসহ চারজন। আহতরা হলেন, শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া গ্রামের সুনীল রাজবংশীর ছেলে শ্যামল রাজবংশী (৪৯), একই গ্রামের নিতাই রাজবংশীর ছেলে বিজয় রাজবংশী (৪৫), সিরাজদিখান উপজেলার তাজপুর এলাকার অভি (১৬) এবং সিরাজদিখান উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক এরশাদ (২৮)। গুরুতর আহত অভিকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজন শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শ্যামল রাজবংশী জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিরাজদিখান থেকে মাছ নিয়ে হাসাড়া যাওয়ার পথে সাত থেকে আটজন মুখোশধারী ডাকাত মহাসড়কের চালতিপাড়া নামক এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে অবরোধ করে। চালকসহ আমাদের চারজনকে আটক করে চাপাতি ও রামদার ভয় দেখিয়ে নগদ ৯ হাজার টাকা, তিনটি মুঠোফোন ও মাছসহ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাধা দেয়ায় ডাকাতরা রামদা ও চাপাতি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আফজাল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি ফোনে জানতে পেরেছি। তবে মামলা করতে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ আসেনি। মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গত তিন মাসে মহাসড়কের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে চালতি পাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে আটটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।