হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্য

রূপসী গ্রাম বাংলায় এখন আর দেখা যায় না পূর্বের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে কালের বিবর্তনে। গ্রাম শব্দটা শুনলেই যেন মনের ভিতর একটা ভালো লাগা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা পরিবারের প্রথম প্রজন্ম হিসেবে গ্রাম ছেড়ে জীবন জীবিকা বা অন্যকোন কারণে ইট পাথর আর যান্ত্রিকতার এই নগরে বাস করেন, তাদের কাছে এই আনন্দ যেন আরও বেশি। এই উপমা দিতে হলেও অন্তত ফিরে যেতে হয় গ্রামীণ পরিবেশে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, উঁচু সবুজ গাছের ডাল থেকে পুকুর কিংবা বর্ষার স্বচ্ছ পানিতে ঝাঁপ দেওয়া, টিনের চালে ঝুম ঝুম বৃষ্টির শব্দ থেকে শুরু করে প্রকৃতি। আনন্দের জন্য আর কি চাই! গ্রামের গাছে উঠা, পুতুল খেলা, কানামাছি, বৌছি খেলা, আম, লিচু চুরি, ইত্যাদি এখন উঠে যাচ্ছে।

ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়তাম। আমাদের গ্রামগুলো একসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। একসময় গ্রামে গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, পুকুর ভরা মাছ ছিল। এসব পড়তাম আর ভাবতাম, বইয়ের পাতায় এসব কেন? বইয়ে থাকবে অজানা কিছু যা আমরা জানি না। এসব তো এখন ও আছে। কিন্তু দুই দশকের এই কম সময়ে নিরবে পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামগুলো। সেখানে নীরবেই চলছে যেন এক বিপ্লব। পড়াশোনা শেষ হলেই যেন গ্রামের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আর সম্পর্কটা কমতে থাকে। সবাই ছুটে শহরের দিকে সবাই ভাবে শহর নিয়ে। সব পরিকল্পনা আর বাজেট যেন শহর কেন্দ্রিক। গ্রামে কোন পরিকল্পনা নেই। গ্রাম নিয়ে কেউ পরিকল্পনা করে না। গত কয়েক বৎসরে উন্নয়ন আর যোগাযোগ ব্যবস্থার কল্যাণে পাল্টে গেছে আমাদের গ্রামগুলো।

উন্নয়ন তো আমরা সবাই চাই। রাস্তা ঘাট, বেকারত্ব দূরীকরণ, বিদ্যুৎ, জীবন যাত্রার মান, কর্মসংস্থান। সেই সঙ্গে চাই গ্রামীণ পরিবেশ। শহরের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেন না ঢুকে পড়ে কোন গ্রামে। যেন হারিয়ে না যায় কোন গ্রাম। যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায় ছোটবেলার স্মৃতিগুলো। সত্যিই খুব মিস করি ছোটবেলার স্মৃতিগুলো

সিনথিয়া সুমি

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১১ ফাল্গুন ১৪২৭ ১১ রজব ১৪৪২

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্য

রূপসী গ্রাম বাংলায় এখন আর দেখা যায় না পূর্বের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে কালের বিবর্তনে। গ্রাম শব্দটা শুনলেই যেন মনের ভিতর একটা ভালো লাগা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা পরিবারের প্রথম প্রজন্ম হিসেবে গ্রাম ছেড়ে জীবন জীবিকা বা অন্যকোন কারণে ইট পাথর আর যান্ত্রিকতার এই নগরে বাস করেন, তাদের কাছে এই আনন্দ যেন আরও বেশি। এই উপমা দিতে হলেও অন্তত ফিরে যেতে হয় গ্রামীণ পরিবেশে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, উঁচু সবুজ গাছের ডাল থেকে পুকুর কিংবা বর্ষার স্বচ্ছ পানিতে ঝাঁপ দেওয়া, টিনের চালে ঝুম ঝুম বৃষ্টির শব্দ থেকে শুরু করে প্রকৃতি। আনন্দের জন্য আর কি চাই! গ্রামের গাছে উঠা, পুতুল খেলা, কানামাছি, বৌছি খেলা, আম, লিচু চুরি, ইত্যাদি এখন উঠে যাচ্ছে।

ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়তাম। আমাদের গ্রামগুলো একসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। একসময় গ্রামে গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, পুকুর ভরা মাছ ছিল। এসব পড়তাম আর ভাবতাম, বইয়ের পাতায় এসব কেন? বইয়ে থাকবে অজানা কিছু যা আমরা জানি না। এসব তো এখন ও আছে। কিন্তু দুই দশকের এই কম সময়ে নিরবে পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামগুলো। সেখানে নীরবেই চলছে যেন এক বিপ্লব। পড়াশোনা শেষ হলেই যেন গ্রামের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আর সম্পর্কটা কমতে থাকে। সবাই ছুটে শহরের দিকে সবাই ভাবে শহর নিয়ে। সব পরিকল্পনা আর বাজেট যেন শহর কেন্দ্রিক। গ্রামে কোন পরিকল্পনা নেই। গ্রাম নিয়ে কেউ পরিকল্পনা করে না। গত কয়েক বৎসরে উন্নয়ন আর যোগাযোগ ব্যবস্থার কল্যাণে পাল্টে গেছে আমাদের গ্রামগুলো।

উন্নয়ন তো আমরা সবাই চাই। রাস্তা ঘাট, বেকারত্ব দূরীকরণ, বিদ্যুৎ, জীবন যাত্রার মান, কর্মসংস্থান। সেই সঙ্গে চাই গ্রামীণ পরিবেশ। শহরের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেন না ঢুকে পড়ে কোন গ্রামে। যেন হারিয়ে না যায় কোন গ্রাম। যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায় ছোটবেলার স্মৃতিগুলো। সত্যিই খুব মিস করি ছোটবেলার স্মৃতিগুলো

সিনথিয়া সুমি