দেশে করোনায় সাত সপ্তাহে সর্বনিম্ন শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ১১ হাজার ৮৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮৫ জন। যা গত সাত সপ্তাহে দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সর্বনি¤œ সংখ্যা। এর আগে গত ১৪ মার্চ ১ হাজার ১৫৯ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হলেন সাত লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন দুই হাজার ৪৯২ জন। তাদের নিয়ে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন সাত লাখ ছয় হাজার ৮৩৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার আট দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয় ১৪ হাজার ৩২৪টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয় ১৪ হাজার ৭০৩টি। দেশে করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৮১টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, আর নারী ১৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন আট হাজার ৬১৫ জন এবং নারী মারা গেছেন তিন হাজার ২৬৩ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব আছেন ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন সাতজন, আর ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন দুইজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে, খুলনা বিভাগের তিনজন, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের দুইজন করে। গত একদিনে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৫ জন। আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০ জন।

দেশে মারা যাওয়া ১১ হাজার ৮৭৮ জনের মধ্যে আট হাজার ৯১৫ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ২৬৩ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা এক হাজার ৬৩। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৬৩৩টি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৬২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৮৬৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৭৩ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

রবিবার, ০৯ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

দেশে করোনায় সাত সপ্তাহে সর্বনিম্ন শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ১১ হাজার ৮৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮৫ জন। যা গত সাত সপ্তাহে দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সর্বনি¤œ সংখ্যা। এর আগে গত ১৪ মার্চ ১ হাজার ১৫৯ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হলেন সাত লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন দুই হাজার ৪৯২ জন। তাদের নিয়ে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন সাত লাখ ছয় হাজার ৮৩৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার আট দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয় ১৪ হাজার ৩২৪টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয় ১৪ হাজার ৭০৩টি। দেশে করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৮১টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, আর নারী ১৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন আট হাজার ৬১৫ জন এবং নারী মারা গেছেন তিন হাজার ২৬৩ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব আছেন ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন সাতজন, আর ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন দুইজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে, খুলনা বিভাগের তিনজন, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের দুইজন করে। গত একদিনে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৫ জন। আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০ জন।

দেশে মারা যাওয়া ১১ হাজার ৮৭৮ জনের মধ্যে আট হাজার ৯১৫ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ২৬৩ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা এক হাজার ৬৩। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৬৩৩টি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৬২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৮৬৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৭৩ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।