১২ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৫২ শনাক্ত ১৯৯৭

রংপুর বিভাগে মৃত্যু ১৬, শনাক্ত ৭৪৮

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার আবারো বেড়েছে সেই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৮ জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৫ জন সহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৮০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ৭৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৯ দিনে রংপুর বিভাগে ৩২ নারীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনসহ রংপুরে আটজন মারা গেছে। এছাড়া লালমনিরহাটে একজন, কুড়িগ্রামে দুজন, ঠাকুরগাঁওয়ে এক জন দিনাজপুরে তিনজন ও গাইবান্ধায় একজন মারা গেছে। মঙ্গলবার রংপুরে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৬ জন। দিনাজপুরে ১৮০ জন শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে করোনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম। এ নিয়ে রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮শ ৯৮ জন। আক্রান্তের হার বেড়ে ২৮ দশমিক ৬৩ ভাগে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। অন্যদিকে রংপুর করোনা ডেডিেিকটেড হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোট বেড রয়েছে ১৩১টি সেখানে রোগী আছে ১৯০ জন। অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট বেডের অতিরিক্ত রোগী রয়েছে। সেখানে ২৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছে। পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, বিভাগের আট জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই লাখ ২ হাজার ১৩ হাজার ২১ জনের। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩২ জন।

ময়মনসিংহে মৃত্যু ১৮ শনাক্ত ৪৪৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুকবার সকাল ৮ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়ে ৮ জনের মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১০ জনসহ মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে ১৬৯৪ টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পারসন ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা পজেটিভ হয়ে ৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জনসহ মৃত ১৮ জনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ১০ জন, জামালপুর ৩ জন, নেত্রকোনার ২ জন, শেরপুর জেলায় ১ ও টাংগাইল জেলার ২ জন রয়েছেন।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ১৬৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরো ৪৪৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৫৩৩ জন।

চান্দিনায় মৃত্যু ৩

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

কুমিল্লার চান্দিনায় করোনাভাইরাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের হিসাব সরকারি তালিকায় যুক্ত হয়। অপরজনের হিসাব শুক্রবারের তালিকায় যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

মৃতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে গত ২৪ ঘণ্টায় চান্দিনা উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু ঘটে এবং শনাক্ত হয় আরও ১৭ জন। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টায় কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পুরুষ রোগীর মৃত্যু ঘটে; যা বৃহস্পতিবারের সরকারি তালিকায় যুক্ত হয়নি। তবে এ পর্যন্ত চান্দিনা উপজেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৮ জনে। তাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ, একজন মধ্য বয়সী এবং অপরজন যুবতী।

চান্দিনা পৌরসভার ছায়কোট গ্রামের খোদেজা আক্তার (৪০) গত বুধবার কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। একই দিন রাতে উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের নূরীতলা এলাকার ফেরদৌসী বেগম (২৪) কুমিল্লøা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু ঘটে। অপরজন চান্দিনার সূরিখোলা গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রব মাস্টার (৭০) বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় কুমিল্লার মর্ডান হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

৩, শনাক্ত ১৫৯

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গত ২৪ ঘন্টার জেলার করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তাদে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জে করোনায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সদরের ৭৫ বছরের এক পুরুষ, হোসেনপুরের ৬৯ বছরের এক পুরুষ এবং কটিয়াদীর ৪৩ বছরের এক পুরুষ (এসআই জাহাঙ্গীর আলম) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৫০ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। এছাড়া ৬১৬টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১৫৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫৬ জন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন করোনা রোগি ছিলেন ২ হাজার ২১৭ জন।

ঝালকাঠিতে মৃত্যু

২, শনাক্ত ৪৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার ২ জনের মৃত্যু ও ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলিয়া বেগম (৪৫) ও কাঁঠালিয়া শৌলজালিয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেন মামুনে (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৯৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১২০৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে নেগেটিভ হয়েছে ৭৯২৯ জন। সুস্থ হয়েছে ১৯০৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৫০ জন ও হোম আইসোলেশনে ১৯২২ জন রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বেলাবতে শনাক্ত ৫৪

প্রতিনিধি, বেলাব (নরসিংদী)

কঠোর লকডাউন, ব্যাপক অভিযান আর জরিমানার পরেও থামছে না মানুষের ঢল। অবহেলা আর অসতর্কতা চরম বিপদ ডেকে আনছে বেলাববাসীর জন্য। প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। ফলে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে নতুন করে করোনা আক্রান্তসহ বেড়ে গেছে জ¦র, ঠা-া, কাঁশি ও শাসকষ্টজনিত রোগ। করোনা ধরা পড়ার ভয়ে অধিকাংশই যাচ্ছেনা হাসপাতালে। নিয়মিত যাচ্ছে জন সমাগমে। গত ৪৮ ঘন্টায় নরসিংদীর বেলাবতে নতুন করে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে এ সময় আরো ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৪১৭ জন। নরসিংদী জেলার সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, গত ১০ দিনেই এ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১৬১ জন। ৪৮ ঘন্টায় ৯৮২ জনের পরীক্ষায় জেলায় আরো ৪২৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী নরসিংদী জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত ৭ হাজার ৩৯ জন।

বাগেরহাটে শনাক্ত ৪১

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন ল্যাবে মোট ১১৯ জনের নুমনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে আরো ৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে করোনা পজেটিভ একজন রোগির মৃত্যু হয়েছে। বাগেরহাট সদর ডেডিকেটেড হাসপাতালে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৯ জন করোনা সংক্রমিত রোগি চিকিৎসাধিন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বাগেরহাট জেলায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ৮৯৮ জন।

বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির শুক্রবার সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, বিরামহীন বৃষ্টিপাতের কারণে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মাত্র ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এদিন শনাক্তের হার ৩৪.০৪ শতাংশ হয়েছে।

নাটোরে মৃত্যু

১, শনাক্ত ৮৮

প্রতিনিধি, নাটোর

নাটোরে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ১ জন মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনজন। নতুন করে ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯১ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার গত দিনের চেয়ে ১৪.২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৬.০৭ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৭৭০ জন। সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৭৪২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৯১৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ১১৫ জন।

সোনারগাঁয়ে শনাক্ত ৬৩

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন করে আরো ৬৩ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। ১৪৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৬৩ জনের দেহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত দুইদিন (মঙ্গল, বুধ) ১৪৭ জনের নমুনা পরিক্ষা করতে দেয়া হয়। এতে দেখা যায়, ৬৩ জনের দেহ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে সনমান্দী ইউপির ৯ বছরের এক মেয়ে শিশু ও বৈদ্যেরবাজার ইউপির ১২ বছরের এক ছেলে শিশু রয়েছে।

এছাড়া আক্রান্তরা পিরোজপুর, মোগরাপাড়া, বৈদ্যেরবাজার, সাদীপুর, জামপুর, বারদী, সনমান্দী, নোয়াগাঁও, কাঁচপুর, শম্ভুপুরা, বৈদ্যেরবাজার ইউপি ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮২ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৭ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১৫৫২ জন।

নোয়াখালীতে মৃত্যু

৭, শনাক্ত ২২৮

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ২২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত অনুসারে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.ইফতেখার হোসেন ও নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাশ।

তারা আরও জানায়, গত বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালী ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতাল ৫জন ও হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং মাইজদী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন করোনায় মারা গেছেন।

কোভিড হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া গ্রামের রুহুল আমিন (৬৮), মানিক নগর গ্রামের মফিজ উল্যাহ (৭০), সেনবাগ উপজেলার শাহীন আক্তার (৫০) ও মো. ইউছুফ (৬৫) এবং কবিরহাট উপজেলার পারভীন আক্তার (৫২)। এদিকে, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৭০) গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়। তিনি উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা। একই রাতে জেলার চাটখিলের কুলশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ময়ফুল বেগম (৬০) নামের এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালের সমন্বয়ক নিরুপম দাশ জানান, বর্তমানে যেসব করোনা রোগী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের বেশির ভাগের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। করোনায় আক্রান্তরা শুরুতেই হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। তারা শারীরিক অবস্থা জটিল করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এটি সঠিক চিকিৎসার জন্য বড় একটি প্রতিবন্ধকতা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইফতেখার হোসেন জানান, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বেসরকারি হাসপাতালে নিহতদের নাম-ঠিকানা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি তথ্য প্রকাশ করা হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু

১, শনাক্ত ১২০

প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হচ্ছে না। গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৯ জনে। অপরদিকে ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬০১৬ জনে। ইতোমধ্যে ৪৪৩০ জন সুস্থ্য হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সংক্রমণের ৩১.১৬ শতাংশ।

সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনায় ১জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ। তিনি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সিভিল সার্জন অফিসের করোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ড.আফরিন নাজনীন জানান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন করে ১২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তরা হলেন- সদর উপজেলায় ৯০ জন, পীরগন্জ উপজেলায় ১২, রানীশংকৈল উপজেলায় ৯, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৬জন এবং হরিপুর উপজেলায় ৩ জন।

সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে চলুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করুন। যেখানেই যান মাস্ক ব্যবহার করুন।

সরাইলে মৃত্যু ১

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সরাইলে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য গিয়ে হোসনে হুর বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে গিয়ে তিনি মারা যান। মৃত হোসনে হুর বেগম সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আরজুমান মিয়ার স্ত্রী। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বৃদ্ধা হোসনে হুর বেগম বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিলো। ৪-৫ দিন আগে জেলা সদরের একজন চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেন। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। পরে ফরম ফিলাপের পর নমুনা দেয়ার আগ মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এর আগে গত বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামের ইকবাল হোসেন (৪৩)। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই বৃদ্ধা নমুনা পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ করে নমুনা দেয়ার প্রাক্কালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার নমুনা সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি আক্রান্ত ছিলেন কিনা বলা যাচ্ছেনা তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল।

শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১ , ১৬ শ্রাবণ ১৪২৮ ২০ জিলহজ ১৪৪২

১২ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৫২ শনাক্ত ১৯৯৭

রংপুর বিভাগে মৃত্যু ১৬, শনাক্ত ৭৪৮

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার আবারো বেড়েছে সেই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৮ জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৫ জন সহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৮০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ৭৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৯ দিনে রংপুর বিভাগে ৩২ নারীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনসহ রংপুরে আটজন মারা গেছে। এছাড়া লালমনিরহাটে একজন, কুড়িগ্রামে দুজন, ঠাকুরগাঁওয়ে এক জন দিনাজপুরে তিনজন ও গাইবান্ধায় একজন মারা গেছে। মঙ্গলবার রংপুরে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৬ জন। দিনাজপুরে ১৮০ জন শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে করোনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম। এ নিয়ে রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮শ ৯৮ জন। আক্রান্তের হার বেড়ে ২৮ দশমিক ৬৩ ভাগে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। অন্যদিকে রংপুর করোনা ডেডিেিকটেড হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোট বেড রয়েছে ১৩১টি সেখানে রোগী আছে ১৯০ জন। অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট বেডের অতিরিক্ত রোগী রয়েছে। সেখানে ২৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছে। পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, বিভাগের আট জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই লাখ ২ হাজার ১৩ হাজার ২১ জনের। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩২ জন।

ময়মনসিংহে মৃত্যু ১৮ শনাক্ত ৪৪৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুকবার সকাল ৮ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়ে ৮ জনের মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১০ জনসহ মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে ১৬৯৪ টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পারসন ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা পজেটিভ হয়ে ৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জনসহ মৃত ১৮ জনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ১০ জন, জামালপুর ৩ জন, নেত্রকোনার ২ জন, শেরপুর জেলায় ১ ও টাংগাইল জেলার ২ জন রয়েছেন।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ১৬৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরো ৪৪৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৫৩৩ জন।

চান্দিনায় মৃত্যু ৩

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

কুমিল্লার চান্দিনায় করোনাভাইরাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের হিসাব সরকারি তালিকায় যুক্ত হয়। অপরজনের হিসাব শুক্রবারের তালিকায় যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

মৃতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে গত ২৪ ঘণ্টায় চান্দিনা উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু ঘটে এবং শনাক্ত হয় আরও ১৭ জন। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টায় কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পুরুষ রোগীর মৃত্যু ঘটে; যা বৃহস্পতিবারের সরকারি তালিকায় যুক্ত হয়নি। তবে এ পর্যন্ত চান্দিনা উপজেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৮ জনে। তাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ, একজন মধ্য বয়সী এবং অপরজন যুবতী।

চান্দিনা পৌরসভার ছায়কোট গ্রামের খোদেজা আক্তার (৪০) গত বুধবার কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। একই দিন রাতে উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের নূরীতলা এলাকার ফেরদৌসী বেগম (২৪) কুমিল্লøা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু ঘটে। অপরজন চান্দিনার সূরিখোলা গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রব মাস্টার (৭০) বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় কুমিল্লার মর্ডান হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

৩, শনাক্ত ১৫৯

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গত ২৪ ঘন্টার জেলার করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তাদে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জে করোনায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সদরের ৭৫ বছরের এক পুরুষ, হোসেনপুরের ৬৯ বছরের এক পুরুষ এবং কটিয়াদীর ৪৩ বছরের এক পুরুষ (এসআই জাহাঙ্গীর আলম) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৫০ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। এছাড়া ৬১৬টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১৫৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫৬ জন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন করোনা রোগি ছিলেন ২ হাজার ২১৭ জন।

ঝালকাঠিতে মৃত্যু

২, শনাক্ত ৪৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার ২ জনের মৃত্যু ও ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলিয়া বেগম (৪৫) ও কাঁঠালিয়া শৌলজালিয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেন মামুনে (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৯৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১২০৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে নেগেটিভ হয়েছে ৭৯২৯ জন। সুস্থ হয়েছে ১৯০৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৫০ জন ও হোম আইসোলেশনে ১৯২২ জন রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বেলাবতে শনাক্ত ৫৪

প্রতিনিধি, বেলাব (নরসিংদী)

কঠোর লকডাউন, ব্যাপক অভিযান আর জরিমানার পরেও থামছে না মানুষের ঢল। অবহেলা আর অসতর্কতা চরম বিপদ ডেকে আনছে বেলাববাসীর জন্য। প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। ফলে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে নতুন করে করোনা আক্রান্তসহ বেড়ে গেছে জ¦র, ঠা-া, কাঁশি ও শাসকষ্টজনিত রোগ। করোনা ধরা পড়ার ভয়ে অধিকাংশই যাচ্ছেনা হাসপাতালে। নিয়মিত যাচ্ছে জন সমাগমে। গত ৪৮ ঘন্টায় নরসিংদীর বেলাবতে নতুন করে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে এ সময় আরো ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৪১৭ জন। নরসিংদী জেলার সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, গত ১০ দিনেই এ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১৬১ জন। ৪৮ ঘন্টায় ৯৮২ জনের পরীক্ষায় জেলায় আরো ৪২৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী নরসিংদী জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত ৭ হাজার ৩৯ জন।

বাগেরহাটে শনাক্ত ৪১

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন ল্যাবে মোট ১১৯ জনের নুমনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে আরো ৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে করোনা পজেটিভ একজন রোগির মৃত্যু হয়েছে। বাগেরহাট সদর ডেডিকেটেড হাসপাতালে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৯ জন করোনা সংক্রমিত রোগি চিকিৎসাধিন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বাগেরহাট জেলায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ৮৯৮ জন।

বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির শুক্রবার সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, বিরামহীন বৃষ্টিপাতের কারণে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মাত্র ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এদিন শনাক্তের হার ৩৪.০৪ শতাংশ হয়েছে।

নাটোরে মৃত্যু

১, শনাক্ত ৮৮

প্রতিনিধি, নাটোর

নাটোরে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ১ জন মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনজন। নতুন করে ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯১ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার গত দিনের চেয়ে ১৪.২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৬.০৭ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৭৭০ জন। সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৭৪২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৯১৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ১১৫ জন।

সোনারগাঁয়ে শনাক্ত ৬৩

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন করে আরো ৬৩ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। ১৪৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৬৩ জনের দেহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত দুইদিন (মঙ্গল, বুধ) ১৪৭ জনের নমুনা পরিক্ষা করতে দেয়া হয়। এতে দেখা যায়, ৬৩ জনের দেহ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে সনমান্দী ইউপির ৯ বছরের এক মেয়ে শিশু ও বৈদ্যেরবাজার ইউপির ১২ বছরের এক ছেলে শিশু রয়েছে।

এছাড়া আক্রান্তরা পিরোজপুর, মোগরাপাড়া, বৈদ্যেরবাজার, সাদীপুর, জামপুর, বারদী, সনমান্দী, নোয়াগাঁও, কাঁচপুর, শম্ভুপুরা, বৈদ্যেরবাজার ইউপি ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮২ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৭ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১৫৫২ জন।

নোয়াখালীতে মৃত্যু

৭, শনাক্ত ২২৮

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ২২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত অনুসারে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.ইফতেখার হোসেন ও নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাশ।

তারা আরও জানায়, গত বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালী ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতাল ৫জন ও হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং মাইজদী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন করোনায় মারা গেছেন।

কোভিড হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া গ্রামের রুহুল আমিন (৬৮), মানিক নগর গ্রামের মফিজ উল্যাহ (৭০), সেনবাগ উপজেলার শাহীন আক্তার (৫০) ও মো. ইউছুফ (৬৫) এবং কবিরহাট উপজেলার পারভীন আক্তার (৫২)। এদিকে, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৭০) গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়। তিনি উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা। একই রাতে জেলার চাটখিলের কুলশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ময়ফুল বেগম (৬০) নামের এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালের সমন্বয়ক নিরুপম দাশ জানান, বর্তমানে যেসব করোনা রোগী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের বেশির ভাগের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। করোনায় আক্রান্তরা শুরুতেই হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। তারা শারীরিক অবস্থা জটিল করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এটি সঠিক চিকিৎসার জন্য বড় একটি প্রতিবন্ধকতা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইফতেখার হোসেন জানান, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বেসরকারি হাসপাতালে নিহতদের নাম-ঠিকানা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি তথ্য প্রকাশ করা হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু

১, শনাক্ত ১২০

প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হচ্ছে না। গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৯ জনে। অপরদিকে ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬০১৬ জনে। ইতোমধ্যে ৪৪৩০ জন সুস্থ্য হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সংক্রমণের ৩১.১৬ শতাংশ।

সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনায় ১জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ। তিনি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সিভিল সার্জন অফিসের করোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ড.আফরিন নাজনীন জানান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন করে ১২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তরা হলেন- সদর উপজেলায় ৯০ জন, পীরগন্জ উপজেলায় ১২, রানীশংকৈল উপজেলায় ৯, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৬জন এবং হরিপুর উপজেলায় ৩ জন।

সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে চলুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করুন। যেখানেই যান মাস্ক ব্যবহার করুন।

সরাইলে মৃত্যু ১

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সরাইলে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য গিয়ে হোসনে হুর বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে গিয়ে তিনি মারা যান। মৃত হোসনে হুর বেগম সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আরজুমান মিয়ার স্ত্রী। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বৃদ্ধা হোসনে হুর বেগম বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিলো। ৪-৫ দিন আগে জেলা সদরের একজন চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেন। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। পরে ফরম ফিলাপের পর নমুনা দেয়ার আগ মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এর আগে গত বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামের ইকবাল হোসেন (৪৩)। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই বৃদ্ধা নমুনা পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ করে নমুনা দেয়ার প্রাক্কালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার নমুনা সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি আক্রান্ত ছিলেন কিনা বলা যাচ্ছেনা তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল।