লবলং কি দখল-দূষণমুক্ত হবে না?

লবলং ভালুকার খিরু নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হওয়ার পর তুরাগে মিলিত হয়েছে। কারো অজানা নয়, গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। লবলং খালের (দখলের পরিক্রমায় নদীটি সরু খালে পরিণত হয়েছে) তীর ঘেঁষে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে শিল্প কারখানা।

কিন্তু শিল্প কারখানা আমাদের জন্য আর্শীবাদ না হয়ে যদি অভিশাপের কারণ হয় তখন কী করার থাকে তখন? কারখানার দূষিত বিষাক্ত পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেশ কিছু কারখানা পানির গতিপথ পরিবর্তন করে কিংবা পাইপ দিয়ে খাল দখল করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

অথচ এই খালের প্রশস্ত ছিল বিশাল। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি ছিল পঁচিশ বছর আগেও। এই খালের পানি দিয়েই মানুষ তাদের দৈনন্দিন পানির প্রয়োজন মেটাতো। আর আজ? মাছও টিকতে পারে না। খাল পাড়ের শত শত বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপোযোগী। কৃষি বাঁচলে বাঁচবে নাকি দেশ! তবে এই অবস্থা কেন? তাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন- লবলং নদী কি দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত হবে না।

ইস্রাফিল আকন্দ রুদ

বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ , ১৮ কার্তিক ১৪২৮ ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

লবলং কি দখল-দূষণমুক্ত হবে না?

লবলং ভালুকার খিরু নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হওয়ার পর তুরাগে মিলিত হয়েছে। কারো অজানা নয়, গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। লবলং খালের (দখলের পরিক্রমায় নদীটি সরু খালে পরিণত হয়েছে) তীর ঘেঁষে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে শিল্প কারখানা।

কিন্তু শিল্প কারখানা আমাদের জন্য আর্শীবাদ না হয়ে যদি অভিশাপের কারণ হয় তখন কী করার থাকে তখন? কারখানার দূষিত বিষাক্ত পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেশ কিছু কারখানা পানির গতিপথ পরিবর্তন করে কিংবা পাইপ দিয়ে খাল দখল করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

অথচ এই খালের প্রশস্ত ছিল বিশাল। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি ছিল পঁচিশ বছর আগেও। এই খালের পানি দিয়েই মানুষ তাদের দৈনন্দিন পানির প্রয়োজন মেটাতো। আর আজ? মাছও টিকতে পারে না। খাল পাড়ের শত শত বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপোযোগী। কৃষি বাঁচলে বাঁচবে নাকি দেশ! তবে এই অবস্থা কেন? তাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন- লবলং নদী কি দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত হবে না।

ইস্রাফিল আকন্দ রুদ