সাক্ষ্য দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সপ্তম দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে মামলার প্রথম তদন্তকারি কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার মো. জমিলুল হকের অসমাপ্ত জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

ওই জেরা শেষে মামলার ৬৫তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন র‌্যাব ১৫ এর তদন্তকারি কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কার্যক্রমে আসামির আইনজীবীরা জেরা শেষ করতে পারেননি। সপ্তম দফার তৃতীয় দিন অসমাপ্ত জেরা শেষ করা হবে। গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৩

মেজর সিনহা হত্যা

সাক্ষ্য দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সপ্তম দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে মামলার প্রথম তদন্তকারি কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার মো. জমিলুল হকের অসমাপ্ত জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

ওই জেরা শেষে মামলার ৬৫তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন র‌্যাব ১৫ এর তদন্তকারি কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কার্যক্রমে আসামির আইনজীবীরা জেরা শেষ করতে পারেননি। সপ্তম দফার তৃতীয় দিন অসমাপ্ত জেরা শেষ করা হবে। গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।