আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ

দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সামনের ধাপগুলো যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর এবং আরও ভালো হয়, সেই জন্য সব বিভাগীয় কমিশনারদের ডেকে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে, নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও গোলযোগের মধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের ‘তৎপরতা’ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার।

গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সব বিভাগীয় কমিশনারদের ডেকে এমন নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ইসি সচিব মো. হুমায়ূন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর ও আইডিয়া প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজজুল কাদেরসহ ইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরের ধাপের নির্বাচনগুলোতে কর্মকর্তারা যেন আরও ভাইব্রেন্ট হন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের যেন কড়া নজরদারি থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আজকে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটি হঠাৎ করে ডাকা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে প্রত্যেক মাসে সমন্বয় সভা হয়। সেই জন্যই তারা ঢাকা এসেছেন। এরমধ্যে তাদের ডেকে কমিশন কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

কোন ধরনের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনগুলো যাতে আরও ভালো হয়। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে। এর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনলাইনে মিটিং করেছিল ইসি।

এছাড়া সম্প্রতি পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা কমিশনকে জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ১০০৭টি ও চতুর্থ ধাপে ২৩ ডিসেম্বর ৮৪০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

ইউপি নির্বাচন

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ

নিজস্ব বার্র্তা পরিবেশক

দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সামনের ধাপগুলো যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর এবং আরও ভালো হয়, সেই জন্য সব বিভাগীয় কমিশনারদের ডেকে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে, নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও গোলযোগের মধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের ‘তৎপরতা’ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার।

গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সব বিভাগীয় কমিশনারদের ডেকে এমন নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ইসি সচিব মো. হুমায়ূন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর ও আইডিয়া প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজজুল কাদেরসহ ইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরের ধাপের নির্বাচনগুলোতে কর্মকর্তারা যেন আরও ভাইব্রেন্ট হন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের যেন কড়া নজরদারি থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আজকে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটি হঠাৎ করে ডাকা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে প্রত্যেক মাসে সমন্বয় সভা হয়। সেই জন্যই তারা ঢাকা এসেছেন। এরমধ্যে তাদের ডেকে কমিশন কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

কোন ধরনের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনগুলো যাতে আরও ভালো হয়। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে। এর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনলাইনে মিটিং করেছিল ইসি।

এছাড়া সম্প্রতি পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা কমিশনকে জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ১০০৭টি ও চতুর্থ ধাপে ২৩ ডিসেম্বর ৮৪০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।