টঙ্গীতে ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হামলা তিন শ্রমিক আহত

গাজীপুরের টঙ্গী শিল্পনগীর মরকুন এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় একটি ক্যাপ কারখানার তিন শ্রমিক আহত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের উপর এ হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় মরকুন গুদারাঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্যাপ শ্রমিক মো. শরীফ (২২), মো. সজীব (২১) ও মো. এমদাদ (১৮) নামে গুরুতর আহত তিন শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় শ্রমিকরা জানায়, তারা সকলেই মরকুন এলাকার ইকবাল ক্যাপ হাউজের শ্রমিক। গত ৭ ডিসেম্বর রাতে কাজ শেষে কারখানার শ্রমিক আরিফ ও জামির বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা মরকুন গুদারাঘাট এলাকায় আসলে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদারের লোক হিসেবে পরিচিত ৪-৫ জন তাদের পথরোধ করে। এসময় তারা এলোপাথাড়ি মারধর করে আরিফ ও জামিরের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে হত্যার হুমকি দেয়।

পরে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কাজ শেষে আরিফ ও জামির বাসায় ফেরার পথে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া সেই ছাত্রলীগদের দেখতে পেয়ে কারখানার অন্য শ্রমিকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে শ্রমিকরা গুদারাঘাট গিয়ে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছোরা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতারী কুপিয়ে তিন শ্রমিককে গুরুতর জখম করে। অন্যান্য শ্রমিকরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, থানা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদারের রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। বাহিনীর সকলেই বয়সে তরুন ও কিশোর। এদের মাধ্যমে মরকুন গুদারাঘাট ও আশপাশের এলাকায় নিরীহ লোকজনকে হয়রানি, মারধর, চুরি-ছিনতাই, মাদক ব্যবসা করানো হচ্ছে। তরুণদের কাছে সে বড় ভাই হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কানন মোল্লা এরসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসাদ সিকদার নামে থানা বা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কোন পদপদবীতে কেউ নেই। তবে, এমন পরিচয়ে যদি কেউ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে থানা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকাদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিব করেননি।

যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদ মাসুদ মামরারির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

টঙ্গীতে ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হামলা তিন শ্রমিক আহত

প্রতিনিধি, টঙ্গী (গাজীপুর)

গাজীপুরের টঙ্গী শিল্পনগীর মরকুন এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় একটি ক্যাপ কারখানার তিন শ্রমিক আহত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের উপর এ হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় মরকুন গুদারাঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্যাপ শ্রমিক মো. শরীফ (২২), মো. সজীব (২১) ও মো. এমদাদ (১৮) নামে গুরুতর আহত তিন শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় শ্রমিকরা জানায়, তারা সকলেই মরকুন এলাকার ইকবাল ক্যাপ হাউজের শ্রমিক। গত ৭ ডিসেম্বর রাতে কাজ শেষে কারখানার শ্রমিক আরিফ ও জামির বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা মরকুন গুদারাঘাট এলাকায় আসলে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদারের লোক হিসেবে পরিচিত ৪-৫ জন তাদের পথরোধ করে। এসময় তারা এলোপাথাড়ি মারধর করে আরিফ ও জামিরের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে হত্যার হুমকি দেয়।

পরে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কাজ শেষে আরিফ ও জামির বাসায় ফেরার পথে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া সেই ছাত্রলীগদের দেখতে পেয়ে কারখানার অন্য শ্রমিকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে শ্রমিকরা গুদারাঘাট গিয়ে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছোরা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতারী কুপিয়ে তিন শ্রমিককে গুরুতর জখম করে। অন্যান্য শ্রমিকরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, থানা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদারের রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। বাহিনীর সকলেই বয়সে তরুন ও কিশোর। এদের মাধ্যমে মরকুন গুদারাঘাট ও আশপাশের এলাকায় নিরীহ লোকজনকে হয়রানি, মারধর, চুরি-ছিনতাই, মাদক ব্যবসা করানো হচ্ছে। তরুণদের কাছে সে বড় ভাই হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কানন মোল্লা এরসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসাদ সিকদার নামে থানা বা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কোন পদপদবীতে কেউ নেই। তবে, এমন পরিচয়ে যদি কেউ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে থানা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকাদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিব করেননি।

যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদ মাসুদ মামরারির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।