শেবাচিমে চিকিৎসাধীন আসামির পলায়ন দুই পুলিশ বরখাস্ত

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মাসুদ খান নামে একজন আসামি হাতকড়াসহ পালিয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত শনিবার এই আসামির পলায়ন এবং দুই পুলিশ কর্মচারীর বরখাস্তের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার বাইরে নিরাপত্তা প্রদান করে না বলে জানিয়েছেন পরিচালক। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবার কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনার। পালিয়ে যাওয়া মাসুদ নগরীর হাটখোলা এলাকার মো. হারুন খানের ছেলে। দায়িত্বে অবহেলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন পুলিশ লাইন রিজার্ভের কনস্টেবল মশিউর রহমান ও সজল ঘরামী। পুলিশ জানায়, নগরীতে একটি চুরির ঘটনায় গণধোলাইয়ের শিকার আহত মাসুদ খানকে গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পাহারায় ছিল দুই পুলিশ সদস্য। ভোরে ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়াসহ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা দেন। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

শেবাচিমে চিকিৎসাধীন আসামির পলায়ন দুই পুলিশ বরখাস্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মাসুদ খান নামে একজন আসামি হাতকড়াসহ পালিয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত শনিবার এই আসামির পলায়ন এবং দুই পুলিশ কর্মচারীর বরখাস্তের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার বাইরে নিরাপত্তা প্রদান করে না বলে জানিয়েছেন পরিচালক। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবার কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনার। পালিয়ে যাওয়া মাসুদ নগরীর হাটখোলা এলাকার মো. হারুন খানের ছেলে। দায়িত্বে অবহেলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন পুলিশ লাইন রিজার্ভের কনস্টেবল মশিউর রহমান ও সজল ঘরামী। পুলিশ জানায়, নগরীতে একটি চুরির ঘটনায় গণধোলাইয়ের শিকার আহত মাসুদ খানকে গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পাহারায় ছিল দুই পুলিশ সদস্য। ভোরে ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়াসহ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা দেন। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।