বৈদেশিক বাণিজ্যে নীতি সহায়তা মিলবে জুন পর্যন্ত

করোনাভাইরাসে কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে দেয়া নীতি সহায়তার সময়সীমা আগামী জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মহামারীর কারণে দেয়া এ সুবিধার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় শিল্পের কাঁচামাল, রপ্তানিখাতের ব্যাক টু ব্যাক আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে দায় পরিশোধ ১৮০ দিনের পরিবর্তে ২৭০ দিন করা যাবে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নীতি সহায়তাগুলোর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিটিএমএ-এর সদস্য কারখানার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ঋণ সীমা ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকছে।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া এ নীতি সহায়তা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি প্রদান করবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের সংগঠনের নেতারা সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা ইডিএফ ঋণের সীমা বাড়ানোসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যংক থেকে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানানো হয়।

ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিকেএমইএসহ কয়েকটি রপ্তানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ সুবিধা পায়। সর্বশেষ এই তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। গত এক বছরে ইডিএফের আকার বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।

বর্তমানে এই তহবিল থেকে রপ্তানিকারকরা ২ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন।

শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বৈদেশিক বাণিজ্যে নীতি সহায়তা মিলবে জুন পর্যন্ত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসে কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে দেয়া নীতি সহায়তার সময়সীমা আগামী জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মহামারীর কারণে দেয়া এ সুবিধার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় শিল্পের কাঁচামাল, রপ্তানিখাতের ব্যাক টু ব্যাক আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে দায় পরিশোধ ১৮০ দিনের পরিবর্তে ২৭০ দিন করা যাবে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নীতি সহায়তাগুলোর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিটিএমএ-এর সদস্য কারখানার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ঋণ সীমা ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকছে।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া এ নীতি সহায়তা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি প্রদান করবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের সংগঠনের নেতারা সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা ইডিএফ ঋণের সীমা বাড়ানোসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যংক থেকে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানানো হয়।

ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিকেএমইএসহ কয়েকটি রপ্তানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ সুবিধা পায়। সর্বশেষ এই তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। গত এক বছরে ইডিএফের আকার বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।

বর্তমানে এই তহবিল থেকে রপ্তানিকারকরা ২ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন।