টিম ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব বিতর্কের মাঝে, বোমা ফাটালেন শোয়েব

‘বিরাট নেতৃত্ব ছাড়েনি, ওকে বাধ্য করা হয়েছে’

বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো ইস্যুতে এবার মুখ খুলে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন পাকিস্তান দলের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। নেতৃত্ব ছাড়তে কোহলিকে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। বলেন, কোহলির জায়গায় থাকলে তিনি নাকি বিয়ে করতেন না!

গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই কোহলি জানিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের পর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু তারপর দেখা গেল সীমিত ওভারের একজন অধিনায়ককে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। যে কারণে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারালেন বিরাট। টি-২০ এবং ওয়ানডে- দুই ফরম্যাটেই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেয়া হলো রোহিত শর্মাকে। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই সবাইকে অবাক করে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার ঘোষণা করেন কোহলি। পাঁচদিনের ক্রিকেট থেকে তার সরে দাঁড়ানোয় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে ক্রিকেটমহল। সেই বিতর্কেই এবার মুখ খুললেন শোয়েব আখতার।

লেজেন্ড লীগ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন সাবেক পাক পেসার আখতার। তার মাঝেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আখতার বলেন, বিরাট নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

তার কথায়, ‘বিরাট নেতৃত্ব ছাড়েনি। ওকে বাধ্য করা হয়েছে। ওর সময়টা হয়তো ভাল যাচ্ছে না। তবে ও কী দিয়ে তৈরি, সেটা ওকেই প্রমাণ করতে হবে।’ কোহলির প্রশংসা করে যোগ করেন, ‘এতকিছু মাথায় ঢোকালে চলবে না। ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিতে হবে ওকে। বিরাট দারুণ ব্যাটসম্যান। বিশ্বের অন্য ব্যাটসম্যানদের থেকে বেশি রেকর্ড রয়েছে ওর ঝুলিতে। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেললেই হবে।’

তবে ফর্মে থাকার সময় কোহলির বিয়ে করা নিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘কোহলির জায়গায় আমি থাকলে বিয়ে করতাম না। শুধু খেলতাম আর রান করতাম। কারণ ক্রিকেটের এই ১০-১২টা বছর তো আর বারবার আসবে না। বলছি না বিয়ে করাটা উচিত নয়। কিন্তু ভারতের জার্সিতে যখন খেলছ, দায়িত্বটা অনেক বেড়ে যায়। তাছাড়া কোহলির জন্য সমর্থকরা পাগল। গত ২০ বছর ধরে তাদের থেকে যে ভালোবাসা পাচ্ছে, সেটা ধরে রাখাটাও তো একটা দায়িত্ব।’

উল্লেখ্য, এর আগে কোহলির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক জোরালো করেছিলেন আরেক সাবেক পাক তারকা রশিদ লতিফ। তিনি দাবি করেন, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে সংঘাতের জেরেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কোহলিকে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

টিম ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব বিতর্কের মাঝে, বোমা ফাটালেন শোয়েব

‘বিরাট নেতৃত্ব ছাড়েনি, ওকে বাধ্য করা হয়েছে’

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

শোয়েব আকতার ও বিরাট কোহলি

বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো ইস্যুতে এবার মুখ খুলে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন পাকিস্তান দলের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। নেতৃত্ব ছাড়তে কোহলিকে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। বলেন, কোহলির জায়গায় থাকলে তিনি নাকি বিয়ে করতেন না!

গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই কোহলি জানিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের পর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু তারপর দেখা গেল সীমিত ওভারের একজন অধিনায়ককে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। যে কারণে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারালেন বিরাট। টি-২০ এবং ওয়ানডে- দুই ফরম্যাটেই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেয়া হলো রোহিত শর্মাকে। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই সবাইকে অবাক করে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার ঘোষণা করেন কোহলি। পাঁচদিনের ক্রিকেট থেকে তার সরে দাঁড়ানোয় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে ক্রিকেটমহল। সেই বিতর্কেই এবার মুখ খুললেন শোয়েব আখতার।

লেজেন্ড লীগ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন সাবেক পাক পেসার আখতার। তার মাঝেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আখতার বলেন, বিরাট নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

তার কথায়, ‘বিরাট নেতৃত্ব ছাড়েনি। ওকে বাধ্য করা হয়েছে। ওর সময়টা হয়তো ভাল যাচ্ছে না। তবে ও কী দিয়ে তৈরি, সেটা ওকেই প্রমাণ করতে হবে।’ কোহলির প্রশংসা করে যোগ করেন, ‘এতকিছু মাথায় ঢোকালে চলবে না। ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিতে হবে ওকে। বিরাট দারুণ ব্যাটসম্যান। বিশ্বের অন্য ব্যাটসম্যানদের থেকে বেশি রেকর্ড রয়েছে ওর ঝুলিতে। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেললেই হবে।’

তবে ফর্মে থাকার সময় কোহলির বিয়ে করা নিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘কোহলির জায়গায় আমি থাকলে বিয়ে করতাম না। শুধু খেলতাম আর রান করতাম। কারণ ক্রিকেটের এই ১০-১২টা বছর তো আর বারবার আসবে না। বলছি না বিয়ে করাটা উচিত নয়। কিন্তু ভারতের জার্সিতে যখন খেলছ, দায়িত্বটা অনেক বেড়ে যায়। তাছাড়া কোহলির জন্য সমর্থকরা পাগল। গত ২০ বছর ধরে তাদের থেকে যে ভালোবাসা পাচ্ছে, সেটা ধরে রাখাটাও তো একটা দায়িত্ব।’

উল্লেখ্য, এর আগে কোহলির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক জোরালো করেছিলেন আরেক সাবেক পাক তারকা রশিদ লতিফ। তিনি দাবি করেন, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে সংঘাতের জেরেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কোহলিকে।