রাসায়নিকের গুণে জৈষ্ঠ্যের লিচু বৈশাখে! ঠকছেন ক্রেতা

বাংলাদেশের ঋতু পরিক্রমায় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনো ১৫ দিন বাকি। কিন্তু এর আগেই রাজশাহীর বাজারে হাজির হয়েছে অতিথি ফল লিচু। গত শুক্রবার রাজশাহীর সাহেববাজারে দেশি আগাম জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। অসময়ে হলেও বাড়তি লাভের আশায় আগেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে এই লিচু।

মৌসুমের লিচু মিষ্টি ও রসালো হলেও এখনকার লিচু টক-মিষ্টি স্বাদের। এরপরও দাম বেজায় চড়া। দেশি জাতের ছোট আকৃতির ১০০টি লিচুর দাম ৪০০ টাকা। এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে। ফলে সাধ্যের বাইরে হওয়ায় সাধ থাকলেও আগাম লিচু কিনতে পারছেন না অনেকেই।

ভরা মৌসুমে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। দেখা গেছে কেবল সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে কয়েকটি দোকানে কিছু লিচু রয়েছে। এই লিচু দুই সপ্তাহ পর লিচুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসবে। বাজারে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু এলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। তখন সবাই লিচুর স্বাদ নিতে পারবেন। আর লিচু ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, লিচুকে অতিথি ফল বলা হয়। কারণ এই ফল বাজারে মাত্র এক থেকে দেড় মাসে থাকে। এখন বাজারে লিচু ওঠেনি। এ কারণে লিচুর দাম বেশি।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশীয় জাতের লিচু বাজারজাত উপযোগী হতে এখনও অন্তত এক সপ্তাহ দেরি আছে। আর বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত হতে সময় লাগবে অন্তত দু’তিন সপ্তাহ। এর আগে লিচু বাজারে আসার কথা না। তবে যেটা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা কেমিকেল দিয়ে রং দেয়া হয়েছে না কি? সামান্য রং আসতেই বেশি লাভের আশায় বাজারজাত করা হচ্ছে এটা দেখতে হবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোসা. উম্মে ছালমা জানান, দেশি লিচু পরিপুষ্ট হয়ে ১০ মে এরপর এবং ২০ থেকে ২৫ মে এরপর বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত শুরু হবে। এর আগে বাজারে লিচু আসার কথা না। আর আসলেও সেটা পরিপক্ব না। আর যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তবে স্বাদ আসলেও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হতে পারে।

রবিবার, ০১ মে ২০২২ , ১৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

রাসায়নিকের গুণে জৈষ্ঠ্যের লিচু বৈশাখে! ঠকছেন ক্রেতা

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

image

রাজশাহী : সিজনের আগেই রাসায়নিক দিয়ে পাকানো লিচু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা -সংবাদ

বাংলাদেশের ঋতু পরিক্রমায় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনো ১৫ দিন বাকি। কিন্তু এর আগেই রাজশাহীর বাজারে হাজির হয়েছে অতিথি ফল লিচু। গত শুক্রবার রাজশাহীর সাহেববাজারে দেশি আগাম জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। অসময়ে হলেও বাড়তি লাভের আশায় আগেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে এই লিচু।

মৌসুমের লিচু মিষ্টি ও রসালো হলেও এখনকার লিচু টক-মিষ্টি স্বাদের। এরপরও দাম বেজায় চড়া। দেশি জাতের ছোট আকৃতির ১০০টি লিচুর দাম ৪০০ টাকা। এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে। ফলে সাধ্যের বাইরে হওয়ায় সাধ থাকলেও আগাম লিচু কিনতে পারছেন না অনেকেই।

ভরা মৌসুমে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। দেখা গেছে কেবল সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে কয়েকটি দোকানে কিছু লিচু রয়েছে। এই লিচু দুই সপ্তাহ পর লিচুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসবে। বাজারে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু এলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। তখন সবাই লিচুর স্বাদ নিতে পারবেন। আর লিচু ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, লিচুকে অতিথি ফল বলা হয়। কারণ এই ফল বাজারে মাত্র এক থেকে দেড় মাসে থাকে। এখন বাজারে লিচু ওঠেনি। এ কারণে লিচুর দাম বেশি।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশীয় জাতের লিচু বাজারজাত উপযোগী হতে এখনও অন্তত এক সপ্তাহ দেরি আছে। আর বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত হতে সময় লাগবে অন্তত দু’তিন সপ্তাহ। এর আগে লিচু বাজারে আসার কথা না। তবে যেটা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা কেমিকেল দিয়ে রং দেয়া হয়েছে না কি? সামান্য রং আসতেই বেশি লাভের আশায় বাজারজাত করা হচ্ছে এটা দেখতে হবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোসা. উম্মে ছালমা জানান, দেশি লিচু পরিপুষ্ট হয়ে ১০ মে এরপর এবং ২০ থেকে ২৫ মে এরপর বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত শুরু হবে। এর আগে বাজারে লিচু আসার কথা না। আর আসলেও সেটা পরিপক্ব না। আর যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তবে স্বাদ আসলেও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হতে পারে।