চুনারুঘাটে সৌদি প্রবাসীর বাগান জুড়ে ড্রাগন ফল

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে প্রায় বায়ান্ন লাখ টাকা পূঁজি খাটিয়ে ড্রাগন ফল বাগান গড়ে তুলেছেন উপজেলার ১নম্বর গাজীপুর ইউপির মানিকভান্ডার গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী মোঃ জহুর হোসেন। তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছে এলাকায়। ড্রাগন ফল একটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা প্রজাতির ফল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস। এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসাবে পরিচিত। গণচীন- এর লোকেরা এটিকে আগুনে ড্রাগন ফল এবং ড্রাগন মুক্তার ফল বলে, ভিয়েতনামে মিষ্টি ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফল, থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত। দৃষ্টিনন্দন এই বিদেশি ড্রাগন ফলটিকে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভীড় করছেন বাগানে। সৌদি প্রবাসী জহুর হোসেন দৈনিক সংবাদকে বলেন, তার বাড়ির পাশেই আড়াই একর জমিতে তিনি মনোয়ারা জহুর এগ্রো ফার্ম নামে বায়ান্ন লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রাগন উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ছয়জন শ্রমিক প্রতিদিন তার ড্রাগন বাগানে কাজ করছে। এই ফার্মে সাড়ে সাত হাজার ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফল।

ইতিমধ্যে জহুর হোসেন একশো কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করে, পঞ্চাশ হাজার আয় করেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস এই বিদেশি ড্রাগন ফল চাষে পর্যাপ্ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে এ ফল চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়। এই ড্রাগন ফলের ক্ষুদ্র কালো বীজগুলি, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলি হার্টের জন্য খুবই ভাল এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়। তাই ড্রাগন ফল খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি, রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

রবিবার, ২৯ মে ২০২২ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৩

চুনারুঘাটে সৌদি প্রবাসীর বাগান জুড়ে ড্রাগন ফল

প্রতিনিধি , চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)

image

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : প্রবাসী জহুর হোসেনের ড্রাগন ফলের বাগন -সংবাদ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে প্রায় বায়ান্ন লাখ টাকা পূঁজি খাটিয়ে ড্রাগন ফল বাগান গড়ে তুলেছেন উপজেলার ১নম্বর গাজীপুর ইউপির মানিকভান্ডার গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী মোঃ জহুর হোসেন। তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছে এলাকায়। ড্রাগন ফল একটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা প্রজাতির ফল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস। এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসাবে পরিচিত। গণচীন- এর লোকেরা এটিকে আগুনে ড্রাগন ফল এবং ড্রাগন মুক্তার ফল বলে, ভিয়েতনামে মিষ্টি ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফল, থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত। দৃষ্টিনন্দন এই বিদেশি ড্রাগন ফলটিকে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভীড় করছেন বাগানে। সৌদি প্রবাসী জহুর হোসেন দৈনিক সংবাদকে বলেন, তার বাড়ির পাশেই আড়াই একর জমিতে তিনি মনোয়ারা জহুর এগ্রো ফার্ম নামে বায়ান্ন লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রাগন উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ছয়জন শ্রমিক প্রতিদিন তার ড্রাগন বাগানে কাজ করছে। এই ফার্মে সাড়ে সাত হাজার ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফল।

ইতিমধ্যে জহুর হোসেন একশো কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করে, পঞ্চাশ হাজার আয় করেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস এই বিদেশি ড্রাগন ফল চাষে পর্যাপ্ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যাতে এ ফল চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়। এই ড্রাগন ফলের ক্ষুদ্র কালো বীজগুলি, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলি হার্টের জন্য খুবই ভাল এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়। তাই ড্রাগন ফল খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি, রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।