জায়গা স্বল্পতায় বিদ্যালয়ের গলিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি

দুই ভবনের মাঝখানের সামান্য ফাঁকা জায়গায় গাদাগাদি করে দাঁড়ানো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভবনের বারান্দায়ও দাঁড়িয়ে আছে। এমন পরিবেশে অ্যাসেম্বলি করতে হচ্ছে তাদের। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরে ‘বদলগাছী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ এভাবেই অ্যাসেম্বলি করতে হয়। গরমের মধ্যে এভাবে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক শিক্ষার্থী অস্বস্থি বোধ করেন।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৩৬ সালে বদলগাছী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬৯৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র রয়েছে ৩৩২ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩৬১ জন। ১৩ জন শিক্ষকের বিপরীতে আছে ১২ জন। অফিসসহ শ্রেণী কক্ষ আছে ১৪টি। স্কুলটিতে প্রয়োজনের তুলনায় শ্রেণীকক্ষের রয়েছে স্বল্পতা।

প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টায় অ্যাসেম্বলি হয়। সময় লাগে প্রায় ১৫-২০ মিনিট। এসময় শিশু শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বিদায় এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের আগমণ ঘটে। এখানে সপ্তাহে শনি ও বুধবার বসে হাট। সপ্তাহের অন্যদিনগুলোতে স্কুলের পাশের মাঠে অ্যাসেম্বলি করা হয। তবে হাটবারের এই দুইদিন স্কুলের মধ্যে গাদাগাদি করে অ্যাসেম্বলি করতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা গরমে যেমন অস্বস্থিতে পড়ে তেমনি বিড়ম্বনায় পড়েত হয় শিক্ষকদেরও।

শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে অ্যাসেম্বলি করতে পারে এমনটা প্রত্যাশা করেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিয়া শারমিন (রিমা) বলেন, স্কুলের পাশেই একটি মাঠ আছে। যদিও মাঠটি স্কুলের না। এ মাঠে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটের দিন ছাড়া অন্যদিনগুলোতে মাঠেই অ্যাসেম্বলি করা হয়। হাটের কারণে সমস্যা একটু হয়। কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের অনুমোতি সাপেক্ষে হাটের দুই দিন স্কুলের ভেতরেই অ্যাসেম্বলি করতে হয়। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় স্কুলে শ্রেনীকক্ষরো সংকট রয়েছে। বর্তমানে স্কুলটিতে অফিস সহ ১৪টি কক্ষ আছে। আরো ছয়টি কক্ষের প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ওই স্কুলের কোন মাঠ নেই। এছাড়া অ্যাসেম্বলিও করতে হবে। প্রয়োজনে ছোট ছোট করে হলেও স্কুলের বারান্দায় বা শ্রেণী কক্ষে অ্যাসেম্বলি করতে হবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় একটু সমস্যা হয়।

image

বদলগাছী (নওগাঁ) : জায়গার স্বল্পতার কারণে বারান্দায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি ক্লাশ -সংবাদ

আরও খবর
অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ : মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বৃদ্ধা
ভোলার মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান মরদেহ
মুন্সীগঞ্জে সাবেক পুলিশ সদস্যসহ ১১ ডাকাত গ্রেপ্তার
সেচ বোরিং লাইসেন্স পেতে পদে পদে ভোগান্তি কৃষকদের
খান্দাখন্দে বেহাল আমিরাবাদ স্কুল সড়ক : জল-কাদায় জনদুর্ভোগ
দায়িত্ব পালনে ১৯ চিকিৎসকের মধ্যে অনুপস্থিত ১৭ জন
৫ ও ২ টাকার কয়েন-নোট সংকট
পরিবারকে না জানিয়ে ঢাকায় কিশোরী : ফায়ার কর্মীদের দিনভর পুকুরে তল্লাশি
নেশার টাকা জোগাতে ছিনতাইয়ে ইউপি সদস্য!
সন্ধ্যা প্রদীপ থেকে অগ্নিকান্ড বসতঘর ছাই

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪

জায়গা স্বল্পতায় বিদ্যালয়ের গলিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

image

বদলগাছী (নওগাঁ) : জায়গার স্বল্পতার কারণে বারান্দায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি ক্লাশ -সংবাদ

দুই ভবনের মাঝখানের সামান্য ফাঁকা জায়গায় গাদাগাদি করে দাঁড়ানো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভবনের বারান্দায়ও দাঁড়িয়ে আছে। এমন পরিবেশে অ্যাসেম্বলি করতে হচ্ছে তাদের। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরে ‘বদলগাছী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ এভাবেই অ্যাসেম্বলি করতে হয়। গরমের মধ্যে এভাবে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক শিক্ষার্থী অস্বস্থি বোধ করেন।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৩৬ সালে বদলগাছী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬৯৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র রয়েছে ৩৩২ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩৬১ জন। ১৩ জন শিক্ষকের বিপরীতে আছে ১২ জন। অফিসসহ শ্রেণী কক্ষ আছে ১৪টি। স্কুলটিতে প্রয়োজনের তুলনায় শ্রেণীকক্ষের রয়েছে স্বল্পতা।

প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টায় অ্যাসেম্বলি হয়। সময় লাগে প্রায় ১৫-২০ মিনিট। এসময় শিশু শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বিদায় এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের আগমণ ঘটে। এখানে সপ্তাহে শনি ও বুধবার বসে হাট। সপ্তাহের অন্যদিনগুলোতে স্কুলের পাশের মাঠে অ্যাসেম্বলি করা হয। তবে হাটবারের এই দুইদিন স্কুলের মধ্যে গাদাগাদি করে অ্যাসেম্বলি করতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা গরমে যেমন অস্বস্থিতে পড়ে তেমনি বিড়ম্বনায় পড়েত হয় শিক্ষকদেরও।

শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে অ্যাসেম্বলি করতে পারে এমনটা প্রত্যাশা করেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিয়া শারমিন (রিমা) বলেন, স্কুলের পাশেই একটি মাঠ আছে। যদিও মাঠটি স্কুলের না। এ মাঠে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটের দিন ছাড়া অন্যদিনগুলোতে মাঠেই অ্যাসেম্বলি করা হয়। হাটের কারণে সমস্যা একটু হয়। কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের অনুমোতি সাপেক্ষে হাটের দুই দিন স্কুলের ভেতরেই অ্যাসেম্বলি করতে হয়। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় স্কুলে শ্রেনীকক্ষরো সংকট রয়েছে। বর্তমানে স্কুলটিতে অফিস সহ ১৪টি কক্ষ আছে। আরো ছয়টি কক্ষের প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ওই স্কুলের কোন মাঠ নেই। এছাড়া অ্যাসেম্বলিও করতে হবে। প্রয়োজনে ছোট ছোট করে হলেও স্কুলের বারান্দায় বা শ্রেণী কক্ষে অ্যাসেম্বলি করতে হবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় একটু সমস্যা হয়।