‘রং বিলাস’ আখে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

নবীনগর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল অহেদ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল রউফ(৪০)। প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। বন্যায় জমির কিছু আখ নষ্ট হলেও খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি। স্থানীয়দের কাছে পরিচিত “রং বিলাস”(বি.এ.আর.আই- ৪২) জাতের আখ চাষ করছেন তিনি। যার উচ্চতা এখন ৯-১০ফুট। তিনি বলেন- বাঞ্ছারামপুরের এক কৃষকের কাছ থেকে বীজ আখ (মাতৃ আখ) সংগ্রহ করে ৪৫ শতাংশ জমিতে আখ রোপন করেন ৮ মাস আগে। ১৫-২০দিন পর থেকে বিক্রির জন্য আখ কাটা শুরু হবে। সরজমিনে আখ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, উচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় জমিতে “রং বিলাস” জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারজাত ও পরিবহনের ঝামেলা ছাড়াই ভাল দামে আখ মাঠেই বিক্রি করা যাবে বলে জানান কৃষক আব্দুল রউফ। তিনি আরো জানান- ভবিষ্যৎতে আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করার ইচ্ছা আছে আমার। তিনি জানান- অন্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে দ্বিগুণ লাভ। আখ খেতে সঙ্গী ফসল হিসেবে টমেটো, লাউ, চিচিঙ্গাসহ নানা রকম সবজি চাষ করে বাড়তি আয় ও করা যায়। গাছের কচি পাতা গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। স্থানীয়রা তাকে মডেল কৃষক হিসেবে মানছেন, তারা বলেছেন মো. আব্দুল রউফ আখ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, তিনি খুবই পরিশ্রমী এবং ভাল মানুষ। বর্তমানে তিনি আর্থিক ভাবে ও স্বাবলম্বী।

নবীনগরের কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার বলেন- আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে আখ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আখের নতুন নতুন জাতের আবির্ভাব ঘটায় এবং ছত্রাকের আক্রমন (আখের লাল পচন রোগ) কীটনাশকের মাধ্যমে কমিয়ে আনার মাধ্যমে ও আখ চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা ভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১ আশ্বিন ১৪২৯ ২৯ সফর ১৪৪৪

‘রং বিলাস’ আখে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

প্রতিনিধি, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

image

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আখ চাষের বাম্পার ফলনে কৃষক আব্দুল রউফ স্বাবলম্বী -সংবাদ

নবীনগর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল অহেদ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল রউফ(৪০)। প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। বন্যায় জমির কিছু আখ নষ্ট হলেও খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি। স্থানীয়দের কাছে পরিচিত “রং বিলাস”(বি.এ.আর.আই- ৪২) জাতের আখ চাষ করছেন তিনি। যার উচ্চতা এখন ৯-১০ফুট। তিনি বলেন- বাঞ্ছারামপুরের এক কৃষকের কাছ থেকে বীজ আখ (মাতৃ আখ) সংগ্রহ করে ৪৫ শতাংশ জমিতে আখ রোপন করেন ৮ মাস আগে। ১৫-২০দিন পর থেকে বিক্রির জন্য আখ কাটা শুরু হবে। সরজমিনে আখ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, উচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় জমিতে “রং বিলাস” জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারজাত ও পরিবহনের ঝামেলা ছাড়াই ভাল দামে আখ মাঠেই বিক্রি করা যাবে বলে জানান কৃষক আব্দুল রউফ। তিনি আরো জানান- ভবিষ্যৎতে আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করার ইচ্ছা আছে আমার। তিনি জানান- অন্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে দ্বিগুণ লাভ। আখ খেতে সঙ্গী ফসল হিসেবে টমেটো, লাউ, চিচিঙ্গাসহ নানা রকম সবজি চাষ করে বাড়তি আয় ও করা যায়। গাছের কচি পাতা গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। স্থানীয়রা তাকে মডেল কৃষক হিসেবে মানছেন, তারা বলেছেন মো. আব্দুল রউফ আখ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, তিনি খুবই পরিশ্রমী এবং ভাল মানুষ। বর্তমানে তিনি আর্থিক ভাবে ও স্বাবলম্বী।

নবীনগরের কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার বলেন- আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে আখ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আখের নতুন নতুন জাতের আবির্ভাব ঘটায় এবং ছত্রাকের আক্রমন (আখের লাল পচন রোগ) কীটনাশকের মাধ্যমে কমিয়ে আনার মাধ্যমে ও আখ চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা ভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।