১০ তারিখ নিয়ে বিএনপির এখন ভিন্ন সুর, না জানি কী কৌশল : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১০ তারিখ নিয়ে বিএনপির এখন ভিন্ন সুর। ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) আপনারা ডিফেন্সিভ মুডে কেন? মনে হলো এই ক্ষমতা নিয়ে গেলেন। মনে হয় এই হাওয়া ভবন এসে গেল। এ রকম একটা ভাব ছিল না? সেটা গেল কোথায়? এখন বলে কী? তাহলে লাল কার্ড দেখিয়েছে কারা? কারা লাল কার্ড দেখায়? বলে, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল হবে। এই সব অনেক কথা বিএনপি নেতারা অবিরাম তোতা পাখির মতো বলেছে। এখন ভিন্ন সুর! না জানি কী কৌশল! মুখে রক্ষণাত্মক মনোভাব অন্তরে আক্রমণাত্মক মনোভাব তাদের।’

গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশ কখনও অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তর্জ্বালা বাড়ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি। বিএনপির প্রধান শত্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বিএনপি।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ভোটচুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে। নির্বাচন আসল খেলা, ফাইনাল খেলা। নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে আসুন তখন দেখা যাবে জনগণ কার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনার কত জনপ্রিয়তা নির্বাচনে আবারও টের পাবেন।’

বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, যাদের বছরের পর বছর সম্মেলন হয় না। যাদের ঘরে বসে কমিটি হয়। এমন পার্টি আওয়ামী লীগ না যে দাবি করলেই নেতা হয়ে যাব।

বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতির সূচনা করেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসেবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীরজাফরের বিশ্বাস ঘাতকতার জন্য পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তবে মীর জাফর আলী খান তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেননি, এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তেমনি খন্দকার মোশতাক তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইতিহাস কোন প্রভুর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। ইতিহাস কোন স্বৈরশাসকের দাসত্ব করে না।’

তিনি আরও বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর পরেও নানা উন্নয়ন কাজ করছে। বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। ফখরুল সাহেব, চোখে চশমা পড়েছেন। কালো চশমা। দেখতে পাচ্ছেন না। নিজেদের কিছু নেই। শেখ হাসিনা কেন এত কিছু করলেন?

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ১ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শিরিন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। সম্মেলন পরিচালনা করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. হারুন উর রশিদ।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ , ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৪

১০ তারিখ নিয়ে বিএনপির এখন ভিন্ন সুর, না জানি কী কৌশল : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১০ তারিখ নিয়ে বিএনপির এখন ভিন্ন সুর। ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) আপনারা ডিফেন্সিভ মুডে কেন? মনে হলো এই ক্ষমতা নিয়ে গেলেন। মনে হয় এই হাওয়া ভবন এসে গেল। এ রকম একটা ভাব ছিল না? সেটা গেল কোথায়? এখন বলে কী? তাহলে লাল কার্ড দেখিয়েছে কারা? কারা লাল কার্ড দেখায়? বলে, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল হবে। এই সব অনেক কথা বিএনপি নেতারা অবিরাম তোতা পাখির মতো বলেছে। এখন ভিন্ন সুর! না জানি কী কৌশল! মুখে রক্ষণাত্মক মনোভাব অন্তরে আক্রমণাত্মক মনোভাব তাদের।’

গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশ কখনও অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তর্জ্বালা বাড়ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি। বিএনপির প্রধান শত্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বিএনপি।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ভোটচুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে। নির্বাচন আসল খেলা, ফাইনাল খেলা। নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে আসুন তখন দেখা যাবে জনগণ কার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনার কত জনপ্রিয়তা নির্বাচনে আবারও টের পাবেন।’

বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, যাদের বছরের পর বছর সম্মেলন হয় না। যাদের ঘরে বসে কমিটি হয়। এমন পার্টি আওয়ামী লীগ না যে দাবি করলেই নেতা হয়ে যাব।

বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতির সূচনা করেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসেবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীরজাফরের বিশ্বাস ঘাতকতার জন্য পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তবে মীর জাফর আলী খান তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেননি, এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তেমনি খন্দকার মোশতাক তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইতিহাস কোন প্রভুর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। ইতিহাস কোন স্বৈরশাসকের দাসত্ব করে না।’

তিনি আরও বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর পরেও নানা উন্নয়ন কাজ করছে। বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। ফখরুল সাহেব, চোখে চশমা পড়েছেন। কালো চশমা। দেখতে পাচ্ছেন না। নিজেদের কিছু নেই। শেখ হাসিনা কেন এত কিছু করলেন?

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ১ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শিরিন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। সম্মেলন পরিচালনা করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. হারুন উর রশিদ।