কারাগারেই খুন সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে মারা গেছে যুবলীগ নামধারী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী (৩২)। কারাগারে ধারালো বস্তুর আঘাতে সে গুরুতর আহত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যুর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রাত ২টার দিকে হাসপাতালে হামলা চালায় একদল যুবক। মেডিকেলের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা ভাংচুর চালায়। তবে পরে চমেক হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চমেক হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে খুনের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

চমেক হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. খুরশীদ আনোয়ার চৌধুরী বলেন, রোগীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার মাথার ওপর ও পেছনে গুরুতর জখম ছিল। ধারালো কিছুর আঘাতে জখম হয়েছিল। ৩০টির মতো সেলাই দিতে হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর থেকে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মত্যু হয়েছে। কারাগারের ভেতরে অমিতের আহত হওয়া নিয়ে মুখ খুলছেন না ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ। তবে অমিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ছিল অমিত। সেখানে থাকা অন্য এক বা একাধিক বন্দির হামলার শিকার হয়েছে সে।

ঘটনার পর কারাগারে গিয়ে নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কারা অভ্যন্তরে তাকে সন্ত্রাসী রিন্টু মাথায় আঘাত করে খুন করেছে বলে জানতে পেরেছি।

হাসপাতালে অমিতের বাবা অরুণ মুহুরী বলেন, রাত ১১টার দিকে কারাগার থেকে আমাকে ফোনে জানানো হয় অমিতকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরপর আমি এখানে এসেছি। আমার ছেলেকে কারা খুন করেছে, আমি এর তদন্ত ও বিচার চাই।

এর আগে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অমিতকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। অমিত যে কক্ষে আহত হয়েছে অর্থাৎ ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষের আরেক কয়েদি রিপন নাথকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মাশহুদুল কবীরকে প্রধান করে এক সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য এক কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯ , ১৭ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৫ রমজান ১৪৪০

চট্টগ্রাম

কারাগারেই খুন সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে মারা গেছে যুবলীগ নামধারী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী (৩২)। কারাগারে ধারালো বস্তুর আঘাতে সে গুরুতর আহত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যুর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রাত ২টার দিকে হাসপাতালে হামলা চালায় একদল যুবক। মেডিকেলের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা ভাংচুর চালায়। তবে পরে চমেক হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চমেক হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে খুনের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

চমেক হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. খুরশীদ আনোয়ার চৌধুরী বলেন, রোগীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার মাথার ওপর ও পেছনে গুরুতর জখম ছিল। ধারালো কিছুর আঘাতে জখম হয়েছিল। ৩০টির মতো সেলাই দিতে হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর থেকে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মত্যু হয়েছে। কারাগারের ভেতরে অমিতের আহত হওয়া নিয়ে মুখ খুলছেন না ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ। তবে অমিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ছিল অমিত। সেখানে থাকা অন্য এক বা একাধিক বন্দির হামলার শিকার হয়েছে সে।

ঘটনার পর কারাগারে গিয়ে নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কারা অভ্যন্তরে তাকে সন্ত্রাসী রিন্টু মাথায় আঘাত করে খুন করেছে বলে জানতে পেরেছি।

হাসপাতালে অমিতের বাবা অরুণ মুহুরী বলেন, রাত ১১টার দিকে কারাগার থেকে আমাকে ফোনে জানানো হয় অমিতকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরপর আমি এখানে এসেছি। আমার ছেলেকে কারা খুন করেছে, আমি এর তদন্ত ও বিচার চাই।

এর আগে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অমিতকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। অমিত যে কক্ষে আহত হয়েছে অর্থাৎ ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষের আরেক কয়েদি রিপন নাথকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মাশহুদুল কবীরকে প্রধান করে এক সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য এক কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।