ব্যবসা সহজীকরণ ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট

এমসিসিআই

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসা সহজীকরণ ও বিনিয়োগবান্ধব বলে মন্তব্য করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআিই)। গতকাল এমসিসিআই এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য সরকার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রস্তাবিত এই বাজেট জনমানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে দেশের অবস্থান উন্নতিকরণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, দারিদ্র দূরীকরণ ও স্থানীয় শিল্পকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেয়ায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে এমসিসিআই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই অগ্রগতি সত্যিকার সম্ভাবনার থেকে অনেক নিচে। অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্বল্পতা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় বাধা। সেই সঙ্গে রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দুর্বল বাস্তবায়ন অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে অবস্থান নিশ্চিত করতে বৈদেশিক বিনিয়োগসহ সব ধরনের বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হওয়ায় এবং চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় সরকারকে এমসিসিআই সাধুবাদ জানিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও বর্ধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্জন করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এবারের রাজস্ব লক্ষ্য গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। এই রাজস্ব লক্ষ্য বর্তমান কর প্রদানকারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবে। তাই এমসিসিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটি। মানবসম্পদ উন্নয়নসহ শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, স্থানীয় সরকার, নারী ও যুবকদের জন্য ব্যবসা শুরুর মূলধন, সোশ্যাল সেইফটি নেট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে।

ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটি আরও বলে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান ও শৃংখলা ফেরানোর জন্য ব্যাংক কমিশন গঠন হলে এই খাতের জন্য সময়উপযোগী হবে। যা বাজেট বক্তৃতায় সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এমসিসিআই। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা সত্ত্বেও কর্পোরেট কর না কমানোয় এমসিসিআই হতাশা প্রকাশ করেছে। তবে পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে সরকারের উদ্যোগকে এমসিসিআিই সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত আয়কর না কমানোয় এমসিসিআই হতাশ হয়েছে। নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করায় বেকারত্ব দূর হবে। তাই সরকারের প্রশংসা করেছে এমসিসিআই।

বিনিয়োগবান্ধব বলে মন্তব্য করেছে।

শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯ , ১ আষাঢ় ১৪২৫, ১১ শাওয়াল ১৪৪০

প্রতিক্রিয়া

ব্যবসা সহজীকরণ ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট

এমসিসিআই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসা সহজীকরণ ও বিনিয়োগবান্ধব বলে মন্তব্য করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআিই)। গতকাল এমসিসিআই এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য সরকার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রস্তাবিত এই বাজেট জনমানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে দেশের অবস্থান উন্নতিকরণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, দারিদ্র দূরীকরণ ও স্থানীয় শিল্পকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেয়ায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে এমসিসিআই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই অগ্রগতি সত্যিকার সম্ভাবনার থেকে অনেক নিচে। অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্বল্পতা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় বাধা। সেই সঙ্গে রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দুর্বল বাস্তবায়ন অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে অবস্থান নিশ্চিত করতে বৈদেশিক বিনিয়োগসহ সব ধরনের বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হওয়ায় এবং চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় সরকারকে এমসিসিআই সাধুবাদ জানিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও বর্ধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্জন করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এবারের রাজস্ব লক্ষ্য গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। এই রাজস্ব লক্ষ্য বর্তমান কর প্রদানকারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবে। তাই এমসিসিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটি। মানবসম্পদ উন্নয়নসহ শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, স্থানীয় সরকার, নারী ও যুবকদের জন্য ব্যবসা শুরুর মূলধন, সোশ্যাল সেইফটি নেট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে।

ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটি আরও বলে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান ও শৃংখলা ফেরানোর জন্য ব্যাংক কমিশন গঠন হলে এই খাতের জন্য সময়উপযোগী হবে। যা বাজেট বক্তৃতায় সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এমসিসিআই। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা সত্ত্বেও কর্পোরেট কর না কমানোয় এমসিসিআই হতাশা প্রকাশ করেছে। তবে পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে সরকারের উদ্যোগকে এমসিসিআিই সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত আয়কর না কমানোয় এমসিসিআই হতাশ হয়েছে। নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করায় বেকারত্ব দূর হবে। তাই সরকারের প্রশংসা করেছে এমসিসিআই।

বিনিয়োগবান্ধব বলে মন্তব্য করেছে।