অনুমতি পেলে

অক্টোবরের পর রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্ত করবে আইসিসি

জেমস স্টুয়ার্ট

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) অনুমতিসাপেক্ষে আগামী অক্টোবরের পর রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তদন্ত শুরু করবে আইসিসি’র গঠিত তদন্ত দল। গতকাল সংস্থাটির ডেপুটি প্রসিকিউটর জেমস স্টুয়ার্ট ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অক্টোবর শেষ হওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত শুরুর অনুমতি চেয়েছি। যদি আমাদের প্রি-ট্রায়াল চেম্বার অনুমতি দেয় তবে অতি দ্রুত আমাদের তদন্ত শুরু করতে পারব।’

এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে গত ১৬ জুলাই ডেপুটি প্রসিকিউটরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, ‘যেখানেই আমরা কাজ করি সেখানে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা আমাদের একটি সাধারণ প্র্যাকটিস।’ আরও বলেন, ‘এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। আমরা এই সমঝোতা স্মারক গোপন রাখতে চাই, কিন্তু এটি একটি সাধারণ প্র্যাকটিস।’

আইসিসি মায়ানমারে তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মায়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। কিন্তু আলোচনার জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে।’

কোর্টের কাছে রোহিঙ্গাদের ফরিয়াদ জমা দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রি-ট্রায়াল চেম্বার রোহিঙ্গাদের ফরিয়াদ শুনতে অধীর আগ্রহে রয়েছে এবং তদন্ত শুরু করবে কিনা সেটি নির্ধারনের জন্য।’ তদন্ত কতদিন চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতদিন লাগবে ততদিন, কারণ এটি সহযোগিতা, নিরাপত্তসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।’

প্রসিকিউটর ফেতু বেনসুদার তদন্ত শুরু করার অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচারকরা বেনসুদার অনুরোধ বিবেচনা করছে এবং এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।’

শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪০

অনুমতি পেলে

অক্টোবরের পর রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্ত করবে আইসিসি

জেমস স্টুয়ার্ট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) অনুমতিসাপেক্ষে আগামী অক্টোবরের পর রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তদন্ত শুরু করবে আইসিসি’র গঠিত তদন্ত দল। গতকাল সংস্থাটির ডেপুটি প্রসিকিউটর জেমস স্টুয়ার্ট ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অক্টোবর শেষ হওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত শুরুর অনুমতি চেয়েছি। যদি আমাদের প্রি-ট্রায়াল চেম্বার অনুমতি দেয় তবে অতি দ্রুত আমাদের তদন্ত শুরু করতে পারব।’

এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে গত ১৬ জুলাই ডেপুটি প্রসিকিউটরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, ‘যেখানেই আমরা কাজ করি সেখানে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা আমাদের একটি সাধারণ প্র্যাকটিস।’ আরও বলেন, ‘এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। আমরা এই সমঝোতা স্মারক গোপন রাখতে চাই, কিন্তু এটি একটি সাধারণ প্র্যাকটিস।’

আইসিসি মায়ানমারে তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা মায়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। কিন্তু আলোচনার জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে।’

কোর্টের কাছে রোহিঙ্গাদের ফরিয়াদ জমা দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রি-ট্রায়াল চেম্বার রোহিঙ্গাদের ফরিয়াদ শুনতে অধীর আগ্রহে রয়েছে এবং তদন্ত শুরু করবে কিনা সেটি নির্ধারনের জন্য।’ তদন্ত কতদিন চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতদিন লাগবে ততদিন, কারণ এটি সহযোগিতা, নিরাপত্তসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।’

প্রসিকিউটর ফেতু বেনসুদার তদন্ত শুরু করার অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচারকরা বেনসুদার অনুরোধ বিবেচনা করছে এবং এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।’