মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজির মামলায় কামরুল হাসান পলাশসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় কামরুল ও তার বাহিনীর কাছ থেকে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পুলিশ চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কামরুলসহ ৮ জনকে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেলে পাঠান। জেলে থেকে কামরুল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বাদী ফয়েজ আহম্মেদ ও তার বাবা হাজী খাজা আহম্মেদসহ তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার বাদী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

বাদী ফয়েজ আহমেদ অভিযোগ করেন, কামরুল হাসান পলাশ হত্যা মামলার আসামি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকায় তাদের বাড়ি। সেখানে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর তার যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছিল। পরে কীভাবে যেন সে সাধারণ ক্ষমা পায়। এরপর নানা অপরাধ করার কারণে নিজ এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানার দক্ষিণ দনিয়া এলাকায় থাকতে শুরু করে পলাশ। এখানে ধীরে ধীরে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়। একপর্যায়ে অস্ত্র ব্যবসাও নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলত না। এলাকায় কেউ বাড়ি তৈরি করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হতো। একপর্যায়ে নিজের অপরাধের ঘাঁটি বাড়াতে শুরু করে পলাশ।

তার বাবা হাজী খাজা আহমেদ একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। যাত্রাবাড়ী ৮২ দনিয়া রসুলপুর এলাকায় তাদের বাড়ি। সেখানে তারা বাড়ি নির্মাণ করছেন। সন্ত্রাসী কামরুল গত ২০ জুলাই তার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ২২ জুলাই পলাশসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করার সময় কামরুলের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে পলাশ ও তার সহযোগীরা জেলে রয়েছে। কিন্তু পলাশ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাইরে থাকা সন্ত্রাসীরা এখন আমাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

ফয়েজ আহমেদ জানায়, পলাশ জামিনে বেরিয়ে এসে আমাদের পরিবারকে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকেও অবগত করেছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি জানান, কামরুল হাসান পলাশ খারাপ ছেলে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজির মামলায় কামরুল হাসান পলাশসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় কামরুল ও তার বাহিনীর কাছ থেকে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পুলিশ চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কামরুলসহ ৮ জনকে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেলে পাঠান। জেলে থেকে কামরুল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বাদী ফয়েজ আহম্মেদ ও তার বাবা হাজী খাজা আহম্মেদসহ তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার বাদী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

বাদী ফয়েজ আহমেদ অভিযোগ করেন, কামরুল হাসান পলাশ হত্যা মামলার আসামি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকায় তাদের বাড়ি। সেখানে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর তার যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছিল। পরে কীভাবে যেন সে সাধারণ ক্ষমা পায়। এরপর নানা অপরাধ করার কারণে নিজ এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানার দক্ষিণ দনিয়া এলাকায় থাকতে শুরু করে পলাশ। এখানে ধীরে ধীরে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়। একপর্যায়ে অস্ত্র ব্যবসাও নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলত না। এলাকায় কেউ বাড়ি তৈরি করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হতো। একপর্যায়ে নিজের অপরাধের ঘাঁটি বাড়াতে শুরু করে পলাশ।

তার বাবা হাজী খাজা আহমেদ একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। যাত্রাবাড়ী ৮২ দনিয়া রসুলপুর এলাকায় তাদের বাড়ি। সেখানে তারা বাড়ি নির্মাণ করছেন। সন্ত্রাসী কামরুল গত ২০ জুলাই তার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ২২ জুলাই পলাশসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করার সময় কামরুলের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে পলাশ ও তার সহযোগীরা জেলে রয়েছে। কিন্তু পলাশ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাইরে থাকা সন্ত্রাসীরা এখন আমাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

ফয়েজ আহমেদ জানায়, পলাশ জামিনে বেরিয়ে এসে আমাদের পরিবারকে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকেও অবগত করেছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি জানান, কামরুল হাসান পলাশ খারাপ ছেলে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।