টিসিবির পিয়াজ বিক্রি বন্ধ খোলা বাজারে দাম দ্বিগুণ!

টিসিবির পিয়াজ বিক্রি বন্ধের দু’দিনের মাথায় কিশোরগঞ্জের খোলা বাজারে দাম উঠে গেছে দ্বিগুণে। যেই দেশি পিয়াজ দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। মিশরের পিয়াজও খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। কিছু দোকানে মিয়ানমারের পিয়াজও বিক্রি করছে ২০০ টাকা কেজি। ভোক্তাদের অবস্থা আবার বেসামাল।

কিছুদিন আগে খোলা বাজারে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম উঠে গিয়েছিল আড়াইশ’ টাকায়। তখন সরকার টিসিবির মাধ্যমে মিশরের বড় আকারের পিয়াজ বিক্রি শুরু করেছিল ৪৫ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পিয়াজ কিনেছেন। বাজারে দেশি পিয়াজ আসতে শুরু করায় খোলা বাজারে পিয়াজের দাম বেশ পড়ে গিয়েছিল। তখন টিসিবির পিয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। খোলা বাজারে দেশি পিয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দাম কমে যাওয়ায় টিসিবির পিয়াজ বিক্রি বুধবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে ডিলার সুরুজ মিয়া জানিয়েছেন। এর দু’দিনের মাথায় খোলা বাজারে দেশী পিয়াজ ৮০ টাকা থেকে উঠে গেছে ২০০ টাকা কেজিতে। আকারে বড় হওয়ায় মিশরের পিয়াজকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নাম দিয়েছেন ‘বোল্ডার’। এর দামও খোলা বাজারে এখন ৮০ টাকা কেজি। এখন বাজারে মিয়ানমারের পিয়াজ একেবারেই কমে গেছে। যেসব দোকানে কিছু আছে, তারা বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি দরে। গতকাল শনিবার শহরের বড়বাজারে গিয়ে প্রিয়া স্টোরসহ কয়েকটি খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা দেশি পিয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মিশরের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। শহরের পুরানথানা বাজারের কয়েকটি দোকানে মিয়ানমারের পিয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব দোকান থেকে আবার দেশি পিয়াজ উধাও। ব্যবসায়ীরা খারাপ আবহাওয়া এবং সরবরাহের ঘাটতিকে মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তারা প্রশ্ন করেন, এখন তো আমাদের দেশের পিয়াজ এসেছে। এগুলি তো অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। প্রতিদিনই জমি থেকে নতুন নতুন পিয়াজ তুলে বাজারে পাঠানো হচ্ছে। তাহলে দাম বাড়ে কিভাবে, কে বাড়ায়। তারা আবারো টিসিবির পিয়াজ বিক্রি চালু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২০ , ২২ পৌষ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

টিসিবির পিয়াজ বিক্রি বন্ধ খোলা বাজারে দাম দ্বিগুণ!

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

টিসিবির পিয়াজ বিক্রি বন্ধের দু’দিনের মাথায় কিশোরগঞ্জের খোলা বাজারে দাম উঠে গেছে দ্বিগুণে। যেই দেশি পিয়াজ দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। মিশরের পিয়াজও খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। কিছু দোকানে মিয়ানমারের পিয়াজও বিক্রি করছে ২০০ টাকা কেজি। ভোক্তাদের অবস্থা আবার বেসামাল।

কিছুদিন আগে খোলা বাজারে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম উঠে গিয়েছিল আড়াইশ’ টাকায়। তখন সরকার টিসিবির মাধ্যমে মিশরের বড় আকারের পিয়াজ বিক্রি শুরু করেছিল ৪৫ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পিয়াজ কিনেছেন। বাজারে দেশি পিয়াজ আসতে শুরু করায় খোলা বাজারে পিয়াজের দাম বেশ পড়ে গিয়েছিল। তখন টিসিবির পিয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। খোলা বাজারে দেশি পিয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দাম কমে যাওয়ায় টিসিবির পিয়াজ বিক্রি বুধবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে ডিলার সুরুজ মিয়া জানিয়েছেন। এর দু’দিনের মাথায় খোলা বাজারে দেশী পিয়াজ ৮০ টাকা থেকে উঠে গেছে ২০০ টাকা কেজিতে। আকারে বড় হওয়ায় মিশরের পিয়াজকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নাম দিয়েছেন ‘বোল্ডার’। এর দামও খোলা বাজারে এখন ৮০ টাকা কেজি। এখন বাজারে মিয়ানমারের পিয়াজ একেবারেই কমে গেছে। যেসব দোকানে কিছু আছে, তারা বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি দরে। গতকাল শনিবার শহরের বড়বাজারে গিয়ে প্রিয়া স্টোরসহ কয়েকটি খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা দেশি পিয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মিশরের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। শহরের পুরানথানা বাজারের কয়েকটি দোকানে মিয়ানমারের পিয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব দোকান থেকে আবার দেশি পিয়াজ উধাও। ব্যবসায়ীরা খারাপ আবহাওয়া এবং সরবরাহের ঘাটতিকে মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তারা প্রশ্ন করেন, এখন তো আমাদের দেশের পিয়াজ এসেছে। এগুলি তো অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। প্রতিদিনই জমি থেকে নতুন নতুন পিয়াজ তুলে বাজারে পাঠানো হচ্ছে। তাহলে দাম বাড়ে কিভাবে, কে বাড়ায়। তারা আবারো টিসিবির পিয়াজ বিক্রি চালু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।