নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির চতুর্থ দিন। ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের পর ৬৪ বছর পার হয়ে গেলেও এর ওপর তৈরি করা হয়নি কোন ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নকশায় যে কটি ভাস্কর্য রাখার কথা ছিল তাও রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অংশ হিসেবে তিনদিক ঘিরে যে দেয়াল চিত্র ছিল সেটাও স্বাধীনতার পর সম্প্রসারণের নামে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
ডাকসু সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত তথ্য থেকে জানা যায়, শহীদ মিনারের মূল নকশা হামিদুর রহমানের হলেও সহকারী শিল্পী হিসেবে পুনর্নির্মিত ডিজাইন ও এর ভাস্কর্যের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে ছিলেন ভাস্কর নভেরা আহমদ। বর্তমানে একুশের ওপর কোন ভাস্কর্য না থাকলেও ঢাকা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘অমর একুশে নামে দুটি আবাসিক হল। এছাড়াও অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউরের নামে হল ও ভবনের নামকরণ করা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন অগণিত বাঙালি। কট্টর মুসলিম লীগপন্থি হয়েও ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা ঢাকাইয়া কুট্টিরাও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শামিল হয়। যাদের সাহসিকতায় বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে, সারাবিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাদের কয়েকজন : তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাষা আন্দোলনে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন শামসুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ডক্টর সুফিয়া আহমেদ, বোরখা পরে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শামসুন্নাহার আহসান, ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ আলী ও ১৯৫২তে দৈনিক আজাদের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক সানাউল্লাহ নূরী। নূরী ১৯৫৩ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত দৈনিক সংবাদের সহকারী সিনিয়র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির চতুর্থ দিন। ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের পর ৬৪ বছর পার হয়ে গেলেও এর ওপর তৈরি করা হয়নি কোন ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নকশায় যে কটি ভাস্কর্য রাখার কথা ছিল তাও রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অংশ হিসেবে তিনদিক ঘিরে যে দেয়াল চিত্র ছিল সেটাও স্বাধীনতার পর সম্প্রসারণের নামে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
ডাকসু সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত তথ্য থেকে জানা যায়, শহীদ মিনারের মূল নকশা হামিদুর রহমানের হলেও সহকারী শিল্পী হিসেবে পুনর্নির্মিত ডিজাইন ও এর ভাস্কর্যের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে ছিলেন ভাস্কর নভেরা আহমদ। বর্তমানে একুশের ওপর কোন ভাস্কর্য না থাকলেও ঢাকা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘অমর একুশে নামে দুটি আবাসিক হল। এছাড়াও অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউরের নামে হল ও ভবনের নামকরণ করা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন অগণিত বাঙালি। কট্টর মুসলিম লীগপন্থি হয়েও ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা ঢাকাইয়া কুট্টিরাও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শামিল হয়। যাদের সাহসিকতায় বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে, সারাবিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাদের কয়েকজন : তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাষা আন্দোলনে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন শামসুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ডক্টর সুফিয়া আহমেদ, বোরখা পরে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শামসুন্নাহার আহসান, ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ আলী ও ১৯৫২তে দৈনিক আজাদের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক সানাউল্লাহ নূরী। নূরী ১৯৫৩ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত দৈনিক সংবাদের সহকারী সিনিয়র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।