সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার আহ্বান ঢাবি শিক্ষার্থীদের

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাবির অপারেজয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে একটি মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধনে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাকে একটি সমন্বিত বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যতভাবে সরকারের অধীনস্ত করা যায় তার সমস্ত আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সম্পন্ন করেছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কী হতে পারে? সৃষ্ট বিপর্যয়গুলো কী হতে পারে? তার কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই ইউজিসি এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউজিসির এই সিদ্ধান্ত একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত বৈ আর কিছু না। আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমানে যারা পরিচালনা করেন তারা আদৌ নিজেদের মতামত প্রকাশ করার যোগ্যতা রাখেন কিনা সেটা আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত ইউজিসির এই হঠকারী সিদ্ধান্ত মেনে নিবে কিনা এ ব্যাপারে আমরা সন্দিহান; আমরা উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছি। প্রশ্নফাঁস রোধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আখতার বলেন, লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ইউজিসির আছে কিনা এই ব্যাপারে আমরা ভালো করেই জানি। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধ করতে পারে না সে জায়গায় ইউজিসি লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে কিভাবে সামাল দিবে এ ব্যাপারে আমরা সংশয় প্রকাশ করছি।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, আগামীকাল (আজ) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেবে বলে মনে করি। যদি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে থাকব না। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি মানাতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করব।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার আহ্বান ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাবি প্রতিনিধি

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাবির অপারেজয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে একটি মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধনে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাকে একটি সমন্বিত বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যতভাবে সরকারের অধীনস্ত করা যায় তার সমস্ত আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সম্পন্ন করেছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কী হতে পারে? সৃষ্ট বিপর্যয়গুলো কী হতে পারে? তার কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই ইউজিসি এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউজিসির এই সিদ্ধান্ত একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত বৈ আর কিছু না। আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমানে যারা পরিচালনা করেন তারা আদৌ নিজেদের মতামত প্রকাশ করার যোগ্যতা রাখেন কিনা সেটা আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত ইউজিসির এই হঠকারী সিদ্ধান্ত মেনে নিবে কিনা এ ব্যাপারে আমরা সন্দিহান; আমরা উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছি। প্রশ্নফাঁস রোধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আখতার বলেন, লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ইউজিসির আছে কিনা এই ব্যাপারে আমরা ভালো করেই জানি। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধ করতে পারে না সে জায়গায় ইউজিসি লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে কিভাবে সামাল দিবে এ ব্যাপারে আমরা সংশয় প্রকাশ করছি।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, আগামীকাল (আজ) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেবে বলে মনে করি। যদি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে থাকব না। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি মানাতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করব।