প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ যথাসময়ে সমাপ্ত হবে : চেয়ারম্যান

গভীর সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের (এসএমপি) প্রকল্পসহ চলামন অন্যান্য প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ কিছু বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ফলে এসব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করা যাবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইললাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জ্বালানি তেল সরবরাহে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসপিএম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গভীর সমুদ্রের ভাসমান তেলের টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সহজে, দ্রুতগতিতে, নিরাপদে ‘আনলোড’ করা যাবে, যা ব্যয়সাশ্রয়ী হবে। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটির সঙ্গে অনেকগুলো ছোট ছোট প্রকল্প সম্পৃক্ত। এসএমপি প্রকল্পের আওতায় গভীর ও অগভীর সমুদ্রে ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৭২ কিলোমিটারে কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ জুন ২০২২ পর্যন্ত। প্রকল্পটির অর্থিক অগ্রগতি ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি প্রায় ৫২ শতাংশ। ২০২১ সালের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিপিসির অধীনে চলমান ১২টি প্রকল্পের (১টি এডিপিভুক্ত এবং ১১টি নিজস্ব অর্থায়নে) মধ্যে ৩টি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৯টি বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান গতকাল রাতে সংবাদকে বলেন, আমাদের প্রকল্পগুলোর কাজ ঠিকমতোই চলছিল। তবে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রদুর্ভাবে গত পাঁচ-ছয় মাসে প্রকল্পগুলোর কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। যেহেতু দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে জ্বালানি খাত বিশেষ করে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই এতদসংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে এখন থেকে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসপিএম, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প, এসব প্রকল্পের ফিজিক্যাল কাজ শুষ্ক মৌসুম এলেই দ্রুত শুরু করতে হবে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পগুলো বাস্তাবয়ন করা সম্ভব হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, বিপিসির চেয়ারম্যান নিয়মিত বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করছেন। করোনায় কাজের গতি কিছুটা কমে গেলেও যথাসময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করে তাদের কাজের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো জেনে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থাও নিচ্ছেন চেয়ারম্যান।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন কনস্ট্রাকশন অব মোংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্পটি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে বিপিসি। এতে মোট ব্যয় হযেছে প্রায় ২০৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ফিড সার্ভিসেস ফর দি ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৪৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। এছাড়া ৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি অফ কনস্ট্রাকশন অব অয়েল পাইপলাইন ফ্রম চিটাগাং টু ঢাকা প্রকল্পের কাজও শেষ করেছে বিপিসি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইললাইন প্রকল্পের আওতায় আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত (ডিজেল) জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে দ্রুত, সহজ, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ীভাবে খালাসের জন্য সমুদ্রবক্ষে সিঙ্গেল পযেন্ট মুরিং (এসএমপি) নামক ভাসমান আনলোডিং ফ্যাসিলিটি এবং পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমনা রয়েছে। প্রকল্পের ডিজিটাল ডিজাইন ৯০ শাতংশ সম্পন্ন হয়েছে। ট্যাংক ফার্মের জন্য প্রায় ১৯১ একর জমি লিজ নেয়ার কাজও দেশ হয়েছে। পাম্প স্টেশন অ্যান্ড ট্যাংক ফার্ম (পিএসটিএফ) এলাকায় ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। স্টোরেজ ট্যাংকের ফাউন্ডেশন কাজ প্রায় ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পাইপলাইনের মাধ্যমে বার্ষিক ৯০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল পরিবহন করা যাবে। প্রকল্পের আওতায় ৬টি স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের মাধ্যে জ্বালানি তেল মজুদ ক্ষমতা ২ লাখ মেট্রিক টন বাড়বে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তেল পরিবহন আধুনিক হবে। জাহাজ থেকে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাসে ৮-১০ দিনের পরিবর্তে ২ দিনের খালাস সম্ভব হবে। বর্তমানে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল খালাসে প্রায় ১০৮ ঘণ্টা লাগে। প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন হলে দ্বিগুণ পরিমাণ ডিজেল ২৮ ঘণ্টায় খালাস করা যাবে। জাহাজ ভাড়া হ্রাস পাবে। অপারেশনাল ফ্যেক্সিবিলিটি ও ইফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। জ্বালানি নিরাপত্তায় অগ্রগতি হবে।

বিপিসির চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে জেট এ-১ পাইপলাইন ফ্রম পিতলগঞ্জ (কাঞ্চন ব্রিজ) টু কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপো (কেএডি) ইনক্লুডিং পাম্পিং ফ্যাসিলিটিজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। চলমান রয়েছে চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাই প্রকল্প, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প, কনস্ট্রাকশন অব মোংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্প, ডিপো অটোমেশন প্রকল্প, ইনস্টলেশন অব কাস্টডি ট্রান্সফার ফ্লো মিটার এ্যাট ইআরএল ট্যাংক ফার্ম প্রকল্প, এলপিজি টার্মিনাল স্থাপন প্রকল্প। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলোর মধ্যে এলপিজি বোটলিং প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে পুরোদমে। বিপিসির অধীনস্থ তেল বিপণন কোম্পানি (পিওসিএল, এমপিএল, জেওসিএল)-এর সঙ্গে দীর্ঘদিনের দেনা-পাওনা অনিষ্পন্ন অবস্থায় ছিল। ২০১৯ সালে সব দেনা পাওনা নিষ্পন্ন করে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে বিপিসি।

শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৪ মহররম ১৪৪২, ১৮ ভাদ্র ১৪২৭

এসএমপিসহ বিপিসির

প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ যথাসময়ে সমাপ্ত হবে : চেয়ারম্যান

ফয়েজ আহমেদ তুষার |

গভীর সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের (এসএমপি) প্রকল্পসহ চলামন অন্যান্য প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ কিছু বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ফলে এসব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করা যাবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইললাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জ্বালানি তেল সরবরাহে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসপিএম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গভীর সমুদ্রের ভাসমান তেলের টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সহজে, দ্রুতগতিতে, নিরাপদে ‘আনলোড’ করা যাবে, যা ব্যয়সাশ্রয়ী হবে। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটির সঙ্গে অনেকগুলো ছোট ছোট প্রকল্প সম্পৃক্ত। এসএমপি প্রকল্পের আওতায় গভীর ও অগভীর সমুদ্রে ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৭২ কিলোমিটারে কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ জুন ২০২২ পর্যন্ত। প্রকল্পটির অর্থিক অগ্রগতি ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি প্রায় ৫২ শতাংশ। ২০২১ সালের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিপিসির অধীনে চলমান ১২টি প্রকল্পের (১টি এডিপিভুক্ত এবং ১১টি নিজস্ব অর্থায়নে) মধ্যে ৩টি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৯টি বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান গতকাল রাতে সংবাদকে বলেন, আমাদের প্রকল্পগুলোর কাজ ঠিকমতোই চলছিল। তবে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রদুর্ভাবে গত পাঁচ-ছয় মাসে প্রকল্পগুলোর কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। যেহেতু দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে জ্বালানি খাত বিশেষ করে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই এতদসংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে এখন থেকে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসপিএম, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প, এসব প্রকল্পের ফিজিক্যাল কাজ শুষ্ক মৌসুম এলেই দ্রুত শুরু করতে হবে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পগুলো বাস্তাবয়ন করা সম্ভব হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, বিপিসির চেয়ারম্যান নিয়মিত বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করছেন। করোনায় কাজের গতি কিছুটা কমে গেলেও যথাসময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করে তাদের কাজের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো জেনে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থাও নিচ্ছেন চেয়ারম্যান।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন কনস্ট্রাকশন অব মোংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্পটি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে বিপিসি। এতে মোট ব্যয় হযেছে প্রায় ২০৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ফিড সার্ভিসেস ফর দি ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৪৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। এছাড়া ৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি অফ কনস্ট্রাকশন অব অয়েল পাইপলাইন ফ্রম চিটাগাং টু ঢাকা প্রকল্পের কাজও শেষ করেছে বিপিসি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইললাইন প্রকল্পের আওতায় আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত (ডিজেল) জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে দ্রুত, সহজ, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ীভাবে খালাসের জন্য সমুদ্রবক্ষে সিঙ্গেল পযেন্ট মুরিং (এসএমপি) নামক ভাসমান আনলোডিং ফ্যাসিলিটি এবং পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমনা রয়েছে। প্রকল্পের ডিজিটাল ডিজাইন ৯০ শাতংশ সম্পন্ন হয়েছে। ট্যাংক ফার্মের জন্য প্রায় ১৯১ একর জমি লিজ নেয়ার কাজও দেশ হয়েছে। পাম্প স্টেশন অ্যান্ড ট্যাংক ফার্ম (পিএসটিএফ) এলাকায় ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। স্টোরেজ ট্যাংকের ফাউন্ডেশন কাজ প্রায় ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পাইপলাইনের মাধ্যমে বার্ষিক ৯০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল পরিবহন করা যাবে। প্রকল্পের আওতায় ৬টি স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের মাধ্যে জ্বালানি তেল মজুদ ক্ষমতা ২ লাখ মেট্রিক টন বাড়বে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তেল পরিবহন আধুনিক হবে। জাহাজ থেকে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাসে ৮-১০ দিনের পরিবর্তে ২ দিনের খালাস সম্ভব হবে। বর্তমানে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল খালাসে প্রায় ১০৮ ঘণ্টা লাগে। প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন হলে দ্বিগুণ পরিমাণ ডিজেল ২৮ ঘণ্টায় খালাস করা যাবে। জাহাজ ভাড়া হ্রাস পাবে। অপারেশনাল ফ্যেক্সিবিলিটি ও ইফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। জ্বালানি নিরাপত্তায় অগ্রগতি হবে।

বিপিসির চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে জেট এ-১ পাইপলাইন ফ্রম পিতলগঞ্জ (কাঞ্চন ব্রিজ) টু কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপো (কেএডি) ইনক্লুডিং পাম্পিং ফ্যাসিলিটিজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। চলমান রয়েছে চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাই প্রকল্প, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প, কনস্ট্রাকশন অব মোংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্প, ডিপো অটোমেশন প্রকল্প, ইনস্টলেশন অব কাস্টডি ট্রান্সফার ফ্লো মিটার এ্যাট ইআরএল ট্যাংক ফার্ম প্রকল্প, এলপিজি টার্মিনাল স্থাপন প্রকল্প। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলোর মধ্যে এলপিজি বোটলিং প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে পুরোদমে। বিপিসির অধীনস্থ তেল বিপণন কোম্পানি (পিওসিএল, এমপিএল, জেওসিএল)-এর সঙ্গে দীর্ঘদিনের দেনা-পাওনা অনিষ্পন্ন অবস্থায় ছিল। ২০১৯ সালে সব দেনা পাওনা নিষ্পন্ন করে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে বিপিসি।