চুরি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে আঘাত বিশ্বাসযোগ্য নয়

মাথার ৯টি আঘাতই মারাত্মক

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা নিছক চুরির ঘটনা বলে গ্রেফতারকৃত আসামি আসাদুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয় র‌্যাব কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। এরপরও এ ঘটনার প্রকৃত সত্যতা উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় র‌্যাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে গতকাল সংবাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, অপরাধ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ নানা পেশার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেছে ভিন্ন কথা। আসামির বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য নয়। হামলা পরিকল্পিত। চুরি করতে হাতুড়ে নিয়ে কেউ যায় না। হামলার ধরন দেখে পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দুর্বৃত্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে শুধু মাথায় আঘাত করেছে। তার মাথায় মোট ৯টি মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। হাড়ও ভেঙে গেছে। ডান পাশ প্যারালাইসিসে আক্তান্ত। তবে শঙ্কামুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

দিনাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা একটি ক্রাইম জোন। দিনাজপুরের শেষ সীমান্তে ঘোড়াঘাট। এলাকায় মাদক ও হিলি সীমান্ত চোরাচালানিদের ট্রানজিট। ঘোড়াঘাট হয়ে ঢাকায় যানবাহনসহ সব পণ্য আনা-নেয়া করা হয়। জাতীয় রাজনীতিতে যতই বিরোধ থাকুক না কেন ঘোড়াঘাট এলাকার টেন্ডার সন্ত্রাস, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, মার্কেট ইজারাসহ সব কিছুই প্রভাবশালী ক্যাডাররা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতো। এসব ক্যাডার ক্ষেপে গিয়ে হামলার ষড়যন্ত্র করেছে। এছাড়াও এ কর্মকর্তারা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াসহ প্রায় ৩৫টি উপজেলা কমিটির সভাপতি (ইউএও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় সৎ ও ভালো কাজ যারা করেন হয়তো পক্ষে থাকেন। তখন অন্য গ্রুপ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। আবার এক গ্রুপকে কাজ দেয়ায় একই দলের অন্য গ্রুপ ক্ষেপে নিয়ে আক্রোশের কারণে এ উপজেলা নির্বাহীর ওপর আঘাত করার পরিকল্পনা করতে পারে। কিংবা উপজেলার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কারও স্বার্থে আঘাত করার কারণে ওই পরিকল্পিতভাবে আঘাত করতে পারে। সেখানে রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের ছত্রছায়ায় ক্যাডাররা রাতারাতি দল পরিবর্তন করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের এই পদস্থ কর্মকর্তার ওপর হামলা করে।

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে গিয়েছে। কিন্তু কোন মালামাল নেয়নি। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে হাতুড়ি নেয়া হয়েছে।

পুলিশেল অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজেলা নির্বাহীর কাছে বহু কাজ থাকে। সেখানে রাজনৈতিক দল ছাড়াও অনেক উপদলও আছে। একই থানায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে এক গ্রুপকে সমর্থন দেয়ায় অন্য গ্রুপ ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে কাউকে ফাঁসাতে ঘটনা ঘটাতে পারে। টেন্ডার, হাট ইজারাসহ উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে উপজেলা নির্বাহীর ওপর অসন্তোষ হয়ে কাউকে দিয়ে হামলা করাতে পারে। কেউ হয়তো কাজ না পেয়ে ক্ষেপে গিয়ে অ্যাটাক করার পরিকল্পনা করেছে। কাউকে কাজ না দিয়ে শাসকের মতো বকাবকি করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে এ হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাবেক একজন উপজেলা নির্বাহী বলেন, একজন জেলা প্রশাসকের যে কাজ। একজন উপজেলা নির্বাহীর উপজেলায় সেই কাজ। তিনি সরকারের প্রতিনিধি হয়ে উপজেলার উন্নয়নমূলক সব কাজ করে থাকেন। ব্রিজ, রাস্তা নির্মাণ থেকে হাট-বাজারের ইজারাসবই উপজেলা নির্বাহী থেকে করা হয়। এভাবে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রায় ৩৫টি কমিটি থাকে। এসব কমিটির কাজ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই সব কারণে আর্থিকভাবে লাভবান হতে ব্যর্থ হয়ে তার ওপর হামলা করেছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজেলা নির্বাহীর আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, তাকে হত্যার উদেশ্যে শুধু মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্যদের হাত আছে কিনা তা সত্য উদঘাটন করা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ নিয়ে এখন কোন কথা বলতে রাজি নয়। নো কমেন্ট। তবে স্থানীয় র‌্যাব-১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আসামি আসাদুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা চুরি করতে ঢুকেছে। বাধা পেয়ে আঘাত করেছে। এর সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

আঘাত সম্পর্কে নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞরা জানান, উপজেলা নির্বাহীর মাথায় অপারেশনের সময় তার মাথায় ৬টি আঘাত পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুই পাশে তিনটি করে মোট ৬টি। বড় একটি আঘাত ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত মাথায় ডেবে গেছে। এতে মাথার হাড় ভেঙ্গে মস্তিস্ক পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর নাকে ছোট একটি আঘাত, চোখের পাতায় একটি ও ভূরুর উপর একটি আঘাতসহ মোট ৯টি আঘাত রয়েছে। এতে তার ডানপাশে প্যারালাইসিস হয়ে গেছে।

বিখ্যাত নিউরোসার্জন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, তার শরীরের অবস্থা ভালো। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি মনে করেন, এ কর্মকর্তার জীবন এখন শঙ্কামুক্ত। গতকাল দুপুরে ও রাতে তিনি তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

ঢাকার জজকোর্টের অপরাধ বিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, আসামিদের চুরি করতে যাওয়ার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য নয়। এর পেছনে বড় ধরনের রহস্য জড়িত আছে। এটা আরও নিরপেক্ষ ও গভীরভাবে তদন্ত করলে মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। একটি মহল ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ন্যাশাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের প্রফেসর ডা. জাহেদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ডান সাইড অবশ। তবে তিনি কথাবার্তা বলছেন।

রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৬ মহররম ১৪৪২, ২০ ভাদ্র ১৪২৭

ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা

চুরি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে আঘাত বিশ্বাসযোগ্য নয়

মাথার ৯টি আঘাতই মারাত্মক

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা নিছক চুরির ঘটনা বলে গ্রেফতারকৃত আসামি আসাদুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয় র‌্যাব কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। এরপরও এ ঘটনার প্রকৃত সত্যতা উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় র‌্যাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে গতকাল সংবাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, অপরাধ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ নানা পেশার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেছে ভিন্ন কথা। আসামির বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য নয়। হামলা পরিকল্পিত। চুরি করতে হাতুড়ে নিয়ে কেউ যায় না। হামলার ধরন দেখে পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দুর্বৃত্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে শুধু মাথায় আঘাত করেছে। তার মাথায় মোট ৯টি মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। হাড়ও ভেঙে গেছে। ডান পাশ প্যারালাইসিসে আক্তান্ত। তবে শঙ্কামুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

দিনাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা একটি ক্রাইম জোন। দিনাজপুরের শেষ সীমান্তে ঘোড়াঘাট। এলাকায় মাদক ও হিলি সীমান্ত চোরাচালানিদের ট্রানজিট। ঘোড়াঘাট হয়ে ঢাকায় যানবাহনসহ সব পণ্য আনা-নেয়া করা হয়। জাতীয় রাজনীতিতে যতই বিরোধ থাকুক না কেন ঘোড়াঘাট এলাকার টেন্ডার সন্ত্রাস, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, মার্কেট ইজারাসহ সব কিছুই প্রভাবশালী ক্যাডাররা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতো। এসব ক্যাডার ক্ষেপে গিয়ে হামলার ষড়যন্ত্র করেছে। এছাড়াও এ কর্মকর্তারা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াসহ প্রায় ৩৫টি উপজেলা কমিটির সভাপতি (ইউএও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় সৎ ও ভালো কাজ যারা করেন হয়তো পক্ষে থাকেন। তখন অন্য গ্রুপ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। আবার এক গ্রুপকে কাজ দেয়ায় একই দলের অন্য গ্রুপ ক্ষেপে নিয়ে আক্রোশের কারণে এ উপজেলা নির্বাহীর ওপর আঘাত করার পরিকল্পনা করতে পারে। কিংবা উপজেলার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কারও স্বার্থে আঘাত করার কারণে ওই পরিকল্পিতভাবে আঘাত করতে পারে। সেখানে রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের ছত্রছায়ায় ক্যাডাররা রাতারাতি দল পরিবর্তন করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের এই পদস্থ কর্মকর্তার ওপর হামলা করে।

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে গিয়েছে। কিন্তু কোন মালামাল নেয়নি। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে হাতুড়ি নেয়া হয়েছে।

পুলিশেল অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজেলা নির্বাহীর কাছে বহু কাজ থাকে। সেখানে রাজনৈতিক দল ছাড়াও অনেক উপদলও আছে। একই থানায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে এক গ্রুপকে সমর্থন দেয়ায় অন্য গ্রুপ ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে কাউকে ফাঁসাতে ঘটনা ঘটাতে পারে। টেন্ডার, হাট ইজারাসহ উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে উপজেলা নির্বাহীর ওপর অসন্তোষ হয়ে কাউকে দিয়ে হামলা করাতে পারে। কেউ হয়তো কাজ না পেয়ে ক্ষেপে গিয়ে অ্যাটাক করার পরিকল্পনা করেছে। কাউকে কাজ না দিয়ে শাসকের মতো বকাবকি করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে এ হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাবেক একজন উপজেলা নির্বাহী বলেন, একজন জেলা প্রশাসকের যে কাজ। একজন উপজেলা নির্বাহীর উপজেলায় সেই কাজ। তিনি সরকারের প্রতিনিধি হয়ে উপজেলার উন্নয়নমূলক সব কাজ করে থাকেন। ব্রিজ, রাস্তা নির্মাণ থেকে হাট-বাজারের ইজারাসবই উপজেলা নির্বাহী থেকে করা হয়। এভাবে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রায় ৩৫টি কমিটি থাকে। এসব কমিটির কাজ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই সব কারণে আর্থিকভাবে লাভবান হতে ব্যর্থ হয়ে তার ওপর হামলা করেছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজেলা নির্বাহীর আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, তাকে হত্যার উদেশ্যে শুধু মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্যদের হাত আছে কিনা তা সত্য উদঘাটন করা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ নিয়ে এখন কোন কথা বলতে রাজি নয়। নো কমেন্ট। তবে স্থানীয় র‌্যাব-১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আসামি আসাদুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা চুরি করতে ঢুকেছে। বাধা পেয়ে আঘাত করেছে। এর সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

আঘাত সম্পর্কে নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞরা জানান, উপজেলা নির্বাহীর মাথায় অপারেশনের সময় তার মাথায় ৬টি আঘাত পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুই পাশে তিনটি করে মোট ৬টি। বড় একটি আঘাত ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত মাথায় ডেবে গেছে। এতে মাথার হাড় ভেঙ্গে মস্তিস্ক পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর নাকে ছোট একটি আঘাত, চোখের পাতায় একটি ও ভূরুর উপর একটি আঘাতসহ মোট ৯টি আঘাত রয়েছে। এতে তার ডানপাশে প্যারালাইসিস হয়ে গেছে।

বিখ্যাত নিউরোসার্জন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, তার শরীরের অবস্থা ভালো। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি মনে করেন, এ কর্মকর্তার জীবন এখন শঙ্কামুক্ত। গতকাল দুপুরে ও রাতে তিনি তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

ঢাকার জজকোর্টের অপরাধ বিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, আসামিদের চুরি করতে যাওয়ার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য নয়। এর পেছনে বড় ধরনের রহস্য জড়িত আছে। এটা আরও নিরপেক্ষ ও গভীরভাবে তদন্ত করলে মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। একটি মহল ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ন্যাশাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের প্রফেসর ডা. জাহেদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ডান সাইড অবশ। তবে তিনি কথাবার্তা বলছেন।