নীলফামারীর জলঢাকায় কৈমারী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে নিজ পুত্রবধূকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি খবর ‘চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিধিলঙ্ঘন করে পুত্রবধূকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সভাপতির’ শিরোনামে গত ২০ জানুয়ারি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হলে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকারের নজরে আসে এবং তিনি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজওয়ানুল হককে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। তদন্ত দল গত রোববার জলঢাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযুক্ত চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবু ছালেক, সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার ও প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমানের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় তদন্ত দলনিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত দলের প্রধান সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজওয়ানুল হক সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধূকে নিয়োগের সত্যতা পেয়েছি। শিক্ষক নিয়োগে এমন অনিয়মের ব্যাপারে বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তদন্ত দলের অপর দুই সদস্য হলেন, ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় ও নীলফামারী সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউল গণি ওসমানী। সম্প্রতি সরকারিকৃত স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণের কাগজপত্র যাচাইয়ে নীলফামারী জলঢাকার কৈমারী ইউনিয়নের চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুযায়ী ৫ মাস কম বয়সে চাকরি হওয়ার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের রাজারহাট কাবাদিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল। তাকে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২২ নভেম্বর। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস ৯ দিন। ১৮ বছর পূর্ণ থেকে বাকি ছিল ৪ মাস ২১ দিন।
মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ৩ রজব ১৪৪২
প্রতিনিধি, জলঢাকা (নীলফামারী)
নীলফামারীর জলঢাকায় কৈমারী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে নিজ পুত্রবধূকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি খবর ‘চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিধিলঙ্ঘন করে পুত্রবধূকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সভাপতির’ শিরোনামে গত ২০ জানুয়ারি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হলে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকারের নজরে আসে এবং তিনি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজওয়ানুল হককে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। তদন্ত দল গত রোববার জলঢাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযুক্ত চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবু ছালেক, সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার ও প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমানের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় তদন্ত দলনিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত দলের প্রধান সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজওয়ানুল হক সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধূকে নিয়োগের সত্যতা পেয়েছি। শিক্ষক নিয়োগে এমন অনিয়মের ব্যাপারে বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তদন্ত দলের অপর দুই সদস্য হলেন, ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় ও নীলফামারী সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউল গণি ওসমানী। সম্প্রতি সরকারিকৃত স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণের কাগজপত্র যাচাইয়ে নীলফামারী জলঢাকার কৈমারী ইউনিয়নের চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুযায়ী ৫ মাস কম বয়সে চাকরি হওয়ার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের রাজারহাট কাবাদিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল। তাকে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২২ নভেম্বর। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস ৯ দিন। ১৮ বছর পূর্ণ থেকে বাকি ছিল ৪ মাস ২১ দিন।