ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকা দেয়া আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকাদান কর্মসূচি আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। তিনি জানান, টিকার জন্য ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদেরই এ টিকা দেয়া হবে। টিকা দেয়ার সময় এবং তারিখ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অধিদপ্তরের দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘দেশে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের এবং চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা এসেছে।’ ভ্যাকসিনের তারিখ উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে এই দুই কোম্পানির টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।’

টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজের টিকা চালান দেশে এসেছে গত ৩১ মে। আর চীনের উপহার হিসেবে পাঠানো ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা ১২ মে এবং ১৩ জুনের দুই চালানে পৌঁছায়।

গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে ১৩ জুন থেকে ফাইজার এবং সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন । কিন্তু এ সপ্তাহে তা শুরু করা যাচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘নির্দিষ্ট তারিখ আমরা এখনও ঘোষণা করি নাই। প্ল্যানটা করে নিই, আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে এই টিকা দেয়া শুরু করতে পারব।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন আপাতত বন্ধই থাকবে। পর্যাপ্ত টিকা হাতে এলে তখন আবার নতুনদের নিবন্ধন শুরু হবে। ফাইজার-বায়োএনটেক এবং সিনোফার্মের টিকার ক্ষেত্রে মেডিকেল, নার্সিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এখন ৪০ বছরের কম বয়সীরা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন না।

তাহলে ওই শিক্ষার্থীর নিবন্ধন কীভাবে হবে জানতে চাইলে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, বিষয়টি আইসিটি বিভাগ দেখবে। ‘আইসিটি একটা বিশেষ ব্যবস্থা করবে, যাতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জাতীয় সুরক্ষা সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করানো যায়। বিষয়টি নিয়ে উনারা কাজ করছেন। আমরা আশা করছি এটা হয়ে যাবে।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে গণটিকাদান শুরু হয়।

মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২

ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকা দেয়া আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকাদান কর্মসূচি আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। তিনি জানান, টিকার জন্য ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদেরই এ টিকা দেয়া হবে। টিকা দেয়ার সময় এবং তারিখ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অধিদপ্তরের দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘দেশে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের এবং চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা এসেছে।’ ভ্যাকসিনের তারিখ উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে এই দুই কোম্পানির টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।’

টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজের টিকা চালান দেশে এসেছে গত ৩১ মে। আর চীনের উপহার হিসেবে পাঠানো ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা ১২ মে এবং ১৩ জুনের দুই চালানে পৌঁছায়।

গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে ১৩ জুন থেকে ফাইজার এবং সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন । কিন্তু এ সপ্তাহে তা শুরু করা যাচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘নির্দিষ্ট তারিখ আমরা এখনও ঘোষণা করি নাই। প্ল্যানটা করে নিই, আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে এই টিকা দেয়া শুরু করতে পারব।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন আপাতত বন্ধই থাকবে। পর্যাপ্ত টিকা হাতে এলে তখন আবার নতুনদের নিবন্ধন শুরু হবে। ফাইজার-বায়োএনটেক এবং সিনোফার্মের টিকার ক্ষেত্রে মেডিকেল, নার্সিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এখন ৪০ বছরের কম বয়সীরা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন না।

তাহলে ওই শিক্ষার্থীর নিবন্ধন কীভাবে হবে জানতে চাইলে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, বিষয়টি আইসিটি বিভাগ দেখবে। ‘আইসিটি একটা বিশেষ ব্যবস্থা করবে, যাতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জাতীয় সুরক্ষা সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করানো যায়। বিষয়টি নিয়ে উনারা কাজ করছেন। আমরা আশা করছি এটা হয়ে যাবে।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে গণটিকাদান শুরু হয়।