নেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া এলাকায় একটি চারতলা ভবনে ফ্ল্যাটের মেঝ থেকে পিতা কাইয়ূম সর্দার(৩২) ও আহনাদ শাকিল নামের ২২ মাসের শিশুপুত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে লাশ দুটো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়। তবে কি কারণে এবং কীভাবে মৃত্যু হয় সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশও। কাইয়ূমের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, তিনি সকালে উঠে দেখেন পাশের রুমে ঝুলছে তার স্বামী ও ছেলে। পরে তিনি দড়ি কেটে দিলে তারা নিচে পড়ে যায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আমরা সকালে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি লাশ নিচে পড়ে আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, তবে ওই বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। বাইরে থেকে কেউ ওই বাসায় যাওয়া-আসা করেনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, চাকরিজনিত কারণে গেলো একবছর ধরে কাইয়ূম সর্দার তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে নেত্রকোনার নাগড়া এলাকায় থাকতেন। তিনি ওষুধ প্রশাসনে পিওন পদে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখেন লাশ দুটো পড়ে আছে।
ঘরের ভেতরে কি ঘটেছে তা জানেন না বলেও জানান পাশের ফ্ল্যাটের শুভর মা। ঘরের মেঝেতে কাইয়ূম সর্দার ও শিশুপুত্র শাকিলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে অন্য একটি তথ্য সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহ থাকার কারণে এবং স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু ২২ মাসের ছেলেটিকে কে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত বুঝা যাচ্ছে না। বাবাও ছেলেকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করতে পারেন। আবার বাবা মরে গেলে মাও মেরে ফেলতে পারেন এমনটাই ধারণা করছে বিশেষ একটি তদন্তকারী সংগঠন।
কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদরে। তিনি আক্কাস সর্দারের ছেলে। বিয়ে করেন ওই জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার খামার গ্রামে।
শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
নেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া এলাকায় একটি চারতলা ভবনে ফ্ল্যাটের মেঝ থেকে পিতা কাইয়ূম সর্দার(৩২) ও আহনাদ শাকিল নামের ২২ মাসের শিশুপুত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে লাশ দুটো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়। তবে কি কারণে এবং কীভাবে মৃত্যু হয় সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশও। কাইয়ূমের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, তিনি সকালে উঠে দেখেন পাশের রুমে ঝুলছে তার স্বামী ও ছেলে। পরে তিনি দড়ি কেটে দিলে তারা নিচে পড়ে যায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আমরা সকালে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি লাশ নিচে পড়ে আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, তবে ওই বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। বাইরে থেকে কেউ ওই বাসায় যাওয়া-আসা করেনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, চাকরিজনিত কারণে গেলো একবছর ধরে কাইয়ূম সর্দার তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে নেত্রকোনার নাগড়া এলাকায় থাকতেন। তিনি ওষুধ প্রশাসনে পিওন পদে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখেন লাশ দুটো পড়ে আছে।
ঘরের ভেতরে কি ঘটেছে তা জানেন না বলেও জানান পাশের ফ্ল্যাটের শুভর মা। ঘরের মেঝেতে কাইয়ূম সর্দার ও শিশুপুত্র শাকিলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে অন্য একটি তথ্য সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহ থাকার কারণে এবং স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু ২২ মাসের ছেলেটিকে কে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত বুঝা যাচ্ছে না। বাবাও ছেলেকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করতে পারেন। আবার বাবা মরে গেলে মাও মেরে ফেলতে পারেন এমনটাই ধারণা করছে বিশেষ একটি তদন্তকারী সংগঠন।
কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদরে। তিনি আক্কাস সর্দারের ছেলে। বিয়ে করেন ওই জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার খামার গ্রামে।