রিফাত হত্যা

মিন্নি গ্রেফতার

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গতকাল রাত ৯টায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা জানায়।

এর আগে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইন্সে নেয়া হয়। গতকাল সকাল পৌনে দশটার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে পুলিশ লাইনে আনা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন দুপুর ১টার দিকে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মামলার তদন্তের জন্যই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কথা বলা দরকার। সেজন্য তাকে পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য মিন্নি ঐ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী তবে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরকেও পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানিয়েছেন, মিন্নির বাবার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ সদস্যের পুলিশ টিম এখনো অবস্থান করছে। সকাল পৌনে দশটার সময় মিন্নিকে আনার জন্য পুলিশের আলাদা গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়। তারা পরিবারকে জানায়, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত ও মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পুলিশ লাইনে যেতে হবে। মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও রয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মিন্নি পুলিশ হেফাজতে সাক্ষী দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে দিনভর বরগুনায় উদ্বেগ বিরাজ করে। অনেকেই টেলিভিশন সেটের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রকৃত সংবাদের জন্য অপেক্ষা করে। সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়।

পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য,

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ২৬/০৬/২০১৯ তারিখে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৭ জন (৬ জন জীবিত) ও তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন ৭ জন আসামিসহ মোট ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। এজাহারনামীয় গ্রেফতারকৃত ৪ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন গ্রেফতারকৃত ৬ জনসহ মোট ১০ জন আসামিকে ফৌ:কা:বি: আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ২ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ ১ জনসহ মোট ৩ জন আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে অনুমতিক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে এনে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ এ মামলায় এজাহারে বর্ণিত আসামিসহ সব পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ তদন্তের জন্য এ মামলার ১নং সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (২০), স্বামী -মৃত মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ সাং দক্ষিণ মাইঠা ২নং ওয়ার্ড বরগুনা পৌরসভা থানা ও জেলা বরগুনাকে অদ্য ১৬/০৭/১৯ তারিখ সকাল ০৯,৪৫ ঘটিকায় তার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য পরিবারের সদস্যসহ ডেকে আনা হয়েছে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. তোফায়েল আহাম্মেদ, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার পাথরঘাটা এবিএম আশ্রাফউল্লাহ তাহর, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

রিফাত হত্যা

মিন্নি গ্রেফতার

প্রতিনিধি, বরগুনা

image

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গতকাল রাত ৯টায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা জানায়।

এর আগে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইন্সে নেয়া হয়। গতকাল সকাল পৌনে দশটার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে পুলিশ লাইনে আনা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন দুপুর ১টার দিকে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মামলার তদন্তের জন্যই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কথা বলা দরকার। সেজন্য তাকে পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য মিন্নি ঐ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী তবে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরকেও পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানিয়েছেন, মিন্নির বাবার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ সদস্যের পুলিশ টিম এখনো অবস্থান করছে। সকাল পৌনে দশটার সময় মিন্নিকে আনার জন্য পুলিশের আলাদা গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়। তারা পরিবারকে জানায়, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত ও মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পুলিশ লাইনে যেতে হবে। মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও রয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মিন্নি পুলিশ হেফাজতে সাক্ষী দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে দিনভর বরগুনায় উদ্বেগ বিরাজ করে। অনেকেই টেলিভিশন সেটের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রকৃত সংবাদের জন্য অপেক্ষা করে। সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়।

পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য,

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ২৬/০৬/২০১৯ তারিখে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৭ জন (৬ জন জীবিত) ও তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন ৭ জন আসামিসহ মোট ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। এজাহারনামীয় গ্রেফতারকৃত ৪ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন গ্রেফতারকৃত ৬ জনসহ মোট ১০ জন আসামিকে ফৌ:কা:বি: আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ২ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ ১ জনসহ মোট ৩ জন আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে অনুমতিক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে এনে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ এ মামলায় এজাহারে বর্ণিত আসামিসহ সব পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠ তদন্তের জন্য এ মামলার ১নং সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (২০), স্বামী -মৃত মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ সাং দক্ষিণ মাইঠা ২নং ওয়ার্ড বরগুনা পৌরসভা থানা ও জেলা বরগুনাকে অদ্য ১৬/০৭/১৯ তারিখ সকাল ০৯,৪৫ ঘটিকায় তার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য পরিবারের সদস্যসহ ডেকে আনা হয়েছে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. তোফায়েল আহাম্মেদ, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার পাথরঘাটা এবিএম আশ্রাফউল্লাহ তাহর, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।