রাশিয়ার নিশানায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য

২০১৬ সালের ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পদ্ধতি হ্যাকিংয়ের জন্য দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যকেই টার্গেট করেছিল রাশিয়া। মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ যতটা আছে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়েও আরও বেশি হস্তক্ষেপেরই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। তবে ওই নির্বাচনে কোন ভোট পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা এমন কোন প্রমাণ মেলেনি বলেও জানানো হয়েছে। ২০২০ সালে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করার ২৪ ঘণ্টা পরই সিনেট গোয়েন্দা কমিটি তাদের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে গত বুধবার মার্কিন হাউজ কমিটিতে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার। এদিন তিনি বলেন ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আব্যাহতি দেয়া হয়েনি। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে সিনেট কমিটির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ দ্বিদলীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে রাশিয়া সরকার ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। কমপক্ষে ২০১৪ সাল থেকে তারা একাজ শুরু করেছে এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত তা চালিয়ে গেছে।’ প্রতিবেদনটি অনেক ক্ষেত্রেই কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত আকারে ৬৭ পাতায় প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দাদের পরিচালিত বহু হ্যাকিংয়ের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা থাকলেও সিনেট কমিটি বলছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটিং নেটওয়ার্কেও নজিরিবিহীন হ্যাকিং তৎপরতা চালিয়েছে রাশিয়া। ভোট পদ্ধতির দুর্বল দিক এবং ফাঁক খুঁজে বের করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ভোটিং মেশিনে তাদের কোন ভোট পরিবর্তন করার কোন প্রমাণ যদিও পাওয়া যায়নি, তবে ইলিনয় রাজ্যে রুশ সাইবার গোয়েন্দারা ভোটার তথ্য মুছে দেয়া কিংবা পরিবর্তন করে দেয়ার মতো অবস্থানে চলে গিয়েছিল। তবে তারা সেরকম কিছু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি... এমনটিই বলা হয়েছে সিনেট প্রতিবেদনে।

২০১৬-এর নির্বাচনের সময় ভোট পদ্ধতিতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে প্রথম জানা যায়। এরপর মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) মূল্যায়নে দেশটির ৫০টি আঙ্গরাজ্যেই রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হয়। গত বুধবার হাউজ কমিটিতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় রবার্ট মুলার ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রাশিয়া এবং প্রতিপক্ষ অন্যদের চলমান হুমকির বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। রাশিয়া যে কাজ করেছে ঠিক সে কাজটিই করার সক্ষমতা আরও অনেক দেশই অর্জন করছে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

২০১৬ সালের ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির প্রতিবেদন

রাশিয়ার নিশানায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য

সংবাদ ডেস্ক

২০১৬ সালের ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পদ্ধতি হ্যাকিংয়ের জন্য দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যকেই টার্গেট করেছিল রাশিয়া। মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ যতটা আছে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়েও আরও বেশি হস্তক্ষেপেরই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। তবে ওই নির্বাচনে কোন ভোট পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা এমন কোন প্রমাণ মেলেনি বলেও জানানো হয়েছে। ২০২০ সালে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করার ২৪ ঘণ্টা পরই সিনেট গোয়েন্দা কমিটি তাদের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে গত বুধবার মার্কিন হাউজ কমিটিতে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার। এদিন তিনি বলেন ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আব্যাহতি দেয়া হয়েনি। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে সিনেট কমিটির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ দ্বিদলীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে রাশিয়া সরকার ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। কমপক্ষে ২০১৪ সাল থেকে তারা একাজ শুরু করেছে এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত তা চালিয়ে গেছে।’ প্রতিবেদনটি অনেক ক্ষেত্রেই কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত আকারে ৬৭ পাতায় প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দাদের পরিচালিত বহু হ্যাকিংয়ের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা থাকলেও সিনেট কমিটি বলছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটিং নেটওয়ার্কেও নজিরিবিহীন হ্যাকিং তৎপরতা চালিয়েছে রাশিয়া। ভোট পদ্ধতির দুর্বল দিক এবং ফাঁক খুঁজে বের করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ভোটিং মেশিনে তাদের কোন ভোট পরিবর্তন করার কোন প্রমাণ যদিও পাওয়া যায়নি, তবে ইলিনয় রাজ্যে রুশ সাইবার গোয়েন্দারা ভোটার তথ্য মুছে দেয়া কিংবা পরিবর্তন করে দেয়ার মতো অবস্থানে চলে গিয়েছিল। তবে তারা সেরকম কিছু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি... এমনটিই বলা হয়েছে সিনেট প্রতিবেদনে।

২০১৬-এর নির্বাচনের সময় ভোট পদ্ধতিতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে প্রথম জানা যায়। এরপর মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) মূল্যায়নে দেশটির ৫০টি আঙ্গরাজ্যেই রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হয়। গত বুধবার হাউজ কমিটিতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় রবার্ট মুলার ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রাশিয়া এবং প্রতিপক্ষ অন্যদের চলমান হুমকির বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। রাশিয়া যে কাজ করেছে ঠিক সে কাজটিই করার সক্ষমতা আরও অনেক দেশই অর্জন করছে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।