লিবিয়ায় হাফতারের বিমান ঘাঁটিতে হামলা সরকারি বাহিনীর

লিবিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী। গত শুক্রবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত ত্রিপোলিভিত্তিক ন্যাশনাল অ্যাকর্ড গভর্নমেন্ট বা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)। লিবিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, খলিফা হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন আল জুফরা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় ড্রোন ও কার্গো বিমানের জন্য ব্যবহৃত একটি হ্যাঙ্গার ধ্বংস করে দেয়া হয়। সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৭ সালের জুনে এ বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় খলিফা হাফতারের বাহিনী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)। চলতি বছরের এপ্রিলে এ বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলি দখলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযান ব্যর্থ হলে সম্প্রতি ফের ত্রিপোলি দখলের হুমকি দেন খলিফা হাফতার। তার ওই হুমকির কয়েক দিনের মাথায় এ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি বাহিনী। জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা যে ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে; যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার শিকার হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ’র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ’র দখলে। গত এপ্রিল থেকে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ। তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্যও এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

লিবিয়ায় হাফতারের বিমান ঘাঁটিতে হামলা সরকারি বাহিনীর

সংবাদ ডেস্ক

লিবিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী। গত শুক্রবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত ত্রিপোলিভিত্তিক ন্যাশনাল অ্যাকর্ড গভর্নমেন্ট বা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)। লিবিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, খলিফা হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন আল জুফরা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় ড্রোন ও কার্গো বিমানের জন্য ব্যবহৃত একটি হ্যাঙ্গার ধ্বংস করে দেয়া হয়। সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৭ সালের জুনে এ বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় খলিফা হাফতারের বাহিনী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)। চলতি বছরের এপ্রিলে এ বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলি দখলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযান ব্যর্থ হলে সম্প্রতি ফের ত্রিপোলি দখলের হুমকি দেন খলিফা হাফতার। তার ওই হুমকির কয়েক দিনের মাথায় এ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি বাহিনী। জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা যে ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে; যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার শিকার হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ’র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ’র দখলে। গত এপ্রিল থেকে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ। তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্যও এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।