প্রয়োজনে ইরান যাব সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলব : পম্পেও

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই প্রয়োজনে ইরান যাবেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে পম্পেওর কাছে জানতে চাওয়া হয় তেহরান যেতে তিনি আগ্রহী কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। যদি এটা করাই লাগে তাহলে আনন্দের সঙ্গেই সেখানে যাব। ইরানি জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগকে স্বাগত জানাব।’

২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল রাখে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের নেতারা প্রকাশ্যে আলোচনা সম্ভব বলে দাবি করছেন। কিন্তু গত বুধবার সংলাপের সম্ভাবনা কমে যায়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সামরিক উপদেষ্টা ওই দিন বলেন, তেহরান কোনও অবস্থাতেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতায় আসবে না।

গত তিন মাস ধরে উভয় দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০ জুন আমেরিকার একটি চালকবিহীন ড্রোন ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করলে সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী।

ওই ঘটনা দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর হরমুজ প্রণালিতে যুক্তরাজ্যের একটি তেল ট্যাংকার আটক করে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। তেহরানের দাবি, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে।

ফক্স নিউজকে দেয়া পৃথক সাক্ষাৎকারে পম্পেও জানান, তিনি জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশকে মধ্যপ্রাচ্যে নৌপথের নিরাপত্তা উদ্যোগের একটি পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

প্রয়োজনে ইরান যাব সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলব : পম্পেও

সংবাদ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই প্রয়োজনে ইরান যাবেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে পম্পেওর কাছে জানতে চাওয়া হয় তেহরান যেতে তিনি আগ্রহী কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। যদি এটা করাই লাগে তাহলে আনন্দের সঙ্গেই সেখানে যাব। ইরানি জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগকে স্বাগত জানাব।’

২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল রাখে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের নেতারা প্রকাশ্যে আলোচনা সম্ভব বলে দাবি করছেন। কিন্তু গত বুধবার সংলাপের সম্ভাবনা কমে যায়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সামরিক উপদেষ্টা ওই দিন বলেন, তেহরান কোনও অবস্থাতেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতায় আসবে না।

গত তিন মাস ধরে উভয় দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০ জুন আমেরিকার একটি চালকবিহীন ড্রোন ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করলে সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী।

ওই ঘটনা দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর হরমুজ প্রণালিতে যুক্তরাজ্যের একটি তেল ট্যাংকার আটক করে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। তেহরানের দাবি, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে।

ফক্স নিউজকে দেয়া পৃথক সাক্ষাৎকারে পম্পেও জানান, তিনি জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশকে মধ্যপ্রাচ্যে নৌপথের নিরাপত্তা উদ্যোগের একটি পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।