খামেনির শব্দচয়ন ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে শব্দচয়নে সতর্ক হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করার পর এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি জানান। রয়টার্স।

তেহরানে মোসাল্লা মসজিদেও জুমার নামাজের খুতবায় দেশটির সর্বোচ্চ এ নেতা বলেন, ‘আমেরিকা নিজেকে পরাশক্তি দাবি করে যে দম্ভ দেখায়, জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে তা আমেরিকার সেই দম্ভে আঘাত করেছে। এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই টুইটার বার্তায় খামেনির প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, ‘ইরানের তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা, যিনি ইদানীং আর অতখানি সর্বোচ্চ নন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সম্পর্কে কিছু বাজে কথা বলেছেন। তাদের (ইরান) অর্থনীতি ধসে পড়ছে, জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। তার উচিত কথাবার্তা সাবধানে বলা।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবদেন এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, শুক্রবারের খুতবায় খামেনি তেহরানে বিমান দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও, যাদের ভুল করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের গালে চড় বসিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইরানের শর্ত লংঘনের অভিযোগ তুলে ইউরোপের তিন দেশ ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির ‘বিরোধ নিষ্পত্তি’ কার্যক্রম শুরু করায় তাদেরও কড়া সমালোচনা করেন খামেনি। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকে ওয়াশিংটনের ‘বার্তাবাহী ভৃত্য’ বলে এ সময় তিরষ্কারও করেছেন ইরানের এ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতে ৩ জানুয়ারি ইরাকের স্থানীয় সময় ভোরে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর বিদেশি শাখা কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করে। এর প্রতিশোধস্বরূপ কয়েকদিন পর (৮ জানুয়ারি) তেহরান ইরাকের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৮০ সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে তেহরান দাবি করলেও ওয়াশিংটন তা অস্বীকার করে হামলায় তাদের কেউ নিহত হয়নি বলে জানায়। পরে ইরানি হামলার পর ১১ মার্কিন সেনা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বলে সম্প্রতি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড নিশ্চিত করেছেএ আহতদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

খামেনির শব্দচয়ন ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

সংবাদ ডেস্ক |

image

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে শব্দচয়নে সতর্ক হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করার পর এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি জানান। রয়টার্স।

তেহরানে মোসাল্লা মসজিদেও জুমার নামাজের খুতবায় দেশটির সর্বোচ্চ এ নেতা বলেন, ‘আমেরিকা নিজেকে পরাশক্তি দাবি করে যে দম্ভ দেখায়, জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে তা আমেরিকার সেই দম্ভে আঘাত করেছে। এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই টুইটার বার্তায় খামেনির প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, ‘ইরানের তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা, যিনি ইদানীং আর অতখানি সর্বোচ্চ নন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সম্পর্কে কিছু বাজে কথা বলেছেন। তাদের (ইরান) অর্থনীতি ধসে পড়ছে, জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। তার উচিত কথাবার্তা সাবধানে বলা।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবদেন এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, শুক্রবারের খুতবায় খামেনি তেহরানে বিমান দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও, যাদের ভুল করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের গালে চড় বসিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইরানের শর্ত লংঘনের অভিযোগ তুলে ইউরোপের তিন দেশ ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির ‘বিরোধ নিষ্পত্তি’ কার্যক্রম শুরু করায় তাদেরও কড়া সমালোচনা করেন খামেনি। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকে ওয়াশিংটনের ‘বার্তাবাহী ভৃত্য’ বলে এ সময় তিরষ্কারও করেছেন ইরানের এ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতে ৩ জানুয়ারি ইরাকের স্থানীয় সময় ভোরে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর বিদেশি শাখা কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করে। এর প্রতিশোধস্বরূপ কয়েকদিন পর (৮ জানুয়ারি) তেহরান ইরাকের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৮০ সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে তেহরান দাবি করলেও ওয়াশিংটন তা অস্বীকার করে হামলায় তাদের কেউ নিহত হয়নি বলে জানায়। পরে ইরানি হামলার পর ১১ মার্কিন সেনা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বলে সম্প্রতি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড নিশ্চিত করেছেএ আহতদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।